লিমন সন্ত্রাসী হলে ছাত্রনেতারা তার জন্য মানববন্ধন করতোনাঃ নগরের সাবেক ও বর্তমান ছাত্রনেতারা
লিমন সন্ত্রাসী হলে ছাত্রনেতারা তার জন্য মানববন্ধন করতোনা বলেন ছাত্রনেতারা। নগর ছাত্রলীগের একাংশ আয়োজিত এক মানববন্ধনে সাবেক ও বর্তমান ছাত্রনেতারা তাদের বক্তব্যে এই কথা বলেন।

সাবেক ছাত্রলীগ নেতা সাইফুল লিমনের মুক্তির দাবিতে মানববন্ধন করেছেন চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগের বিভিন্ন কলেজ, থানা ও ওয়ার্ড সমূহ। চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক সনেট চক্রবর্তী স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে ইহা জানানো হয়।
আজ রবিবার সকাল ১১ টায় প্রেসক্লাবের সামনে চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি রেজাউল আলম রনির সভাপতিত্বে এবং সদস্য সুজয়মান বড়ুয়া জিতু ও উপধর্ম বিষয়ক সম্পাদক রাশেদ চৌধুরীর সঞ্চালনায় উক্ত মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর যুবলীগের সদস্য ও ৩১ নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর হাসান মুরাদ বিপ্লব,১৪ নং লালখান বাজার ওয়ার্ড এর সাবেক কাউন্সিলর আহমদ কবির মানিক, চট্টগ্রাম মহানগর যুবলীগের সদস্য জাবেদুল আলম সুমন।
উপস্থিত বক্তারা বলেন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের জামায়াত-শিবিরের আগ্রাসণ বিরোধি আন্দোলন সংগ্রামের প্রথম সারির নেতা, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সদস্য ও সহ সম্পাদক সাইফুল আলম লিমনকে পরিকল্পিতভাবে ষড়যন্ত্রমূলক ও মিথ্যা মামলা দিয়ে তার রাজনৈতিক সম্মান নষ্টের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে একটি কুচক্রী মহল। সাইফুল আলম লিমন যদি কিশোর গ্যাং হতো তবে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, সরকারি কমার্স কলেজ, চট্টগ্রাম কলেজ, মহসিন কলেজ, চট্টগ্রাম আইন কলেজ, বাকলিয়া সরকারি কলেজ, এনআইটি, চট্টগ্রাম পলিটেকনিক্যাল, পোর্ট সিটি ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়, ইউএসটিসি, ভেটেরিনারি বিশ্ববিদ্যালয় সহ চট্টগ্রামের প্রধান প্রধান শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা সাইফুল আলম লিমন এর মুক্তির দাবিতে রাজপথে আন্দোলন করতোনা। তারা বক্তব্যে সাইফুল আলম লিমনের নামে হওয়া মিথ্যা মামলা অভিলম্বে প্রত্যাহার ও তার নিঃশর্ত মুক্তির দাবি জানায়।

উক্ত মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুন, ইয়াছির আরাফাত; চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগের যুগ্ন-সাধারণ সম্পাদক ওয়াহেদ রাসেল, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা, রুবেল আহমেদ বাবু; চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি মনসুর আলম, সাবেক যুগ্ন-সাধারণ সম্পাদক আবু তোরাব পরশ; চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগের উপ-অর্থ সম্পাদক ইমরান আলী মাসুদ, উপ-আইন সম্পাদক মুনীর চোধুরী, উপ-ছাত্রবৃত্তি বিষয়ক সম্পাদক হুমায়ুন কবির আজাদ, উপ-তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক রায়হানুল কবীর শামীম, সহ-সম্পাদক অরভীন সাকিব ইভান, ওসমান গণি; সদস্য আবু সায়েম, ইফতেখার হোসেন শায়ান ও চুয়েট ছাত্রলীগের দপ্তর সম্পাদক ইফফাত হক নিশান।
এছাড়া উক্ত মানবন্ধনে চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগের বিভিন্ন কলেজ, ওয়ার্ড, থানা ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।