স্বাস্থ্য

বাচ্চাদের টোফেন সিরাপ এর কাজ কি

বাচ্চাদের টোফেন সিরাপ এর কাজ কী?

শীতের মরশুম প্রায় চলে এসেছে। এই সময়ে ছোট বাচ্চাদের নিয়ে মা বাবাদের চিন্তার শেষ থাকে না কারণ, মুহূর্তের অসতর্কতায় ও অনিয়ম এর ফলে সর্দি, কাশির মত বিশ্রী অসুখ করতে পারে বাচ্চাদের। এই অসুখ এড়ানোর জন্য প্রয়োজনীয় সচেতনতা তো অবলম্বন করতেই হবে, পাশাপাশি প্রতিকার এর ব্যবস্থা সম্পর্কেও জ্ঞান রাখতে হবে। অনেক বাবা মায়েদের মনে প্রশ্ন থাকে যে বাচ্চাদের টোফেন সিরাপ এর কাজ কী। আজকের এই প্রতিবেদনে আমরা বাচ্চাদের টোফেন সিরাপ এর কাজ কী সে বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব। তাই আপনি যদি বাচ্চার বাবা মা হন এবং বাচ্চাদের টোফেন সিরাপ এর কাজ কী ও এটি কখন, কীভাবে বাচ্চাদের সেবন করাতে হয় এসব তথ্য জানতে আগ্রহী থাকেন, তাদের শেষ পর্যন্ত প্রতিবেদনটি পড়তে হবে। 

বাচ্চাদের টোফেন সিরাপ এর কাজ কি

টোফেনসিরাপ: 

টোফেন সিরাপটি মূলত বাচ্চাদের ঔষধ। শীতের সময় অল্প অনিয়মেই বাচ্চাদের ঠাণ্ডা লেগে যায়। বাবা মায়েদের সে নিয়ে উৎকন্ঠার শেষ থাকে না। বাচ্চাদের ঠান্ডা বা সর্দি জাতীয় অসুখ বা কাশি হলে ও গলায় শ্লেষ্মা জমলে সাধারণত টোফেন সিরাপটি ব্যবহার করা হয়৷ এমন পরিস্থিতিতে ডাক্তাররাও সাধারণত টোফেন সিরাপ সাজেস্ট করে থাকেন। 

কারা টোফেন সিরাপটি ব্যবহার করতে পারবে

যেহেতু টোফেন সিরাপটি শিশুদের ঔষধ তাই সেই সকল বাচ্চা যাদের বয়স ১ থেকে ১২ বছরের মধ্যে তারা ঠান্ডা বা সর্দি জাতীয় অসুখ হলে টোফেন সিরাপ টি ব্যবহার করতে পারবে। 

যে বাচ্চার বয়স ১ ও ১ এর কম তাদের দিনে দুই বেলা অর্থাৎ সকালে ও রাতে হাফ চামচ করে টোফেন সিরাপ খাওয়াতে হবে। 

যে বাচ্চার বয়স ১ হতে ৩ বছরের মধ্যে তাদের সকালে ও রাতে দুই বেলা ১ চামচ করে টোফেন সিরাপ দেয়া যাবে।

যে বাচ্চার বয়স ৩ থেকে ৬ বছরের মধ্যে তাদের সকালে ও রাতে দুই বেলা দেড় চামচ টোফেন সিরাপ খাওয়ানো যাবে। 

যে বাচ্চাদের বয়স ৬ থেকে ১২ তাদের সকাল ও রাতে দুই চামচ করে এই টোফেন সিরাপ খাওয়ানো যাবে। 

তবে, বাচ্চাদের টোফেন সিরাপ এর কাজ কী ও কখন এটি বাচ্চাকে খাওয়ানো উচিত এবং খাওয়ানোর নিয়ম একজন পেশাদার চিকিৎসক বা শিশু বিশেষজ্ঞের থেকে পরামর্শ নিয়েই করা উচিত।

টোফেন সিরাপ এর দাম ও কোথায় পাওয়া যায় ? 

১০০ এমএল এর একটি টোফেন সিরাপ এর দাম ৬৫ টাকা। বাচ্চাদের বাবা মায়েদের কাছে এই টোফেন সিরাপ বেশ জনপ্রিয়। সহজলভ্য হওয়ার ফলে যে কোন ঔষধের দোকান থেকে সহজেই আপনি এই সিরাপটি কিনতে পারবেন। উল্লেখ্য যে, বাচ্চাকে অবশ্যই ভরা পেটে এই সিরাপটি খাওয়াতে হবে।

বাচ্চাদের টোফেন সিরাপ এর কাজ কী? 

শীতের মরশুমে বাচ্চাদের ঠান্ডা লাগা, সর্দি-জ্বর হওয়া বেশ সাধারণ বিষয়। কিন্তু, মা-বাবাকে এসময় অতিরিক্ত সতর্কতা অবলম্বন করতে হয়। তবে অনেক সময় সতর্ক থাকার পরেও বাচ্চার ঠান্ডা লাগাকে এড়ানো যায় না। ঠান্ডাজনিত অসুস্থতায় বাচ্চাকে স্বস্তি দিতে পারে এই টোফেন সিরাপটি। ঠান্ডা লেগে বাচ্চার শ্বাসকষ্ট ও সর্দির মত সমস্যায় টোফেন সিরাপ অনেক কাজের। টোফেন সিরাপ সেবনে বাচ্চার ঠান্ডাজনিত সমস্যা অনেকটা নিরাময় হয়। অনেক সময় দেখা যায় বাচ্চারা নিজের সমস্যার কথা ঠিক ভাবে বড়দের বোঝাতে পারে না। তাই বাচ্চাদের অসুস্থতার লক্ষণ বড়দের কে বুঝে নিতে হবে। প্রয়োজনে শিশু বিশেষজ্ঞের শরণাপন্ন হয়ে তার পরামর্শ নিতে হবে। ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী টোফেন সিরাপ বাচ্চাকে খাওয়ালে বাচ্চার সুস্থতা দ্রুত আসবে। তবে, অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিয়েই এই ধরণের ঔষধ বাচ্চাদের দেওয়া উচিত কারণ কোন বাচ্চার শারীরিক অবস্থায় কোন ঔষধ ভালো কাজ করবে তা চিকিৎসক ভালো বুঝবেন। সব ঔষধেরই কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া আছে। তাই যে কোন ঔষধ সেবনের পূর্বে ডাক্তারের থেকে পরামর্শ গ্রহণ করা জরুরি। 

কেন চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ঔষধ সেবন করা উচিত নয়: 

বাচ্চাদের টোফেন সিরাপ এর কাজ কী এবং কোন পরিস্থিতে তা বাচ্চাকে দিতে হবে সে বিষয়ে চিকিৎসক আপনাকে পরামর্শ দেবেন। কখনোই নিজের মন মর্জি অনুসারে ঔষধ এনে বাচ্চাকে খাওয়ানো ঠিক নয়। অনেকেই বাচ্চাদের জ্বর হলে বা ঠান্ডা লাগলে নিজের বুঝ মত ঔষধ ফার্মেসি থেকে কিনে এনে বাচ্চাকে দেয়। এই কাজটি একদম করা উচিত নয়। কারণ, সবাই যেমন সব খাবার সহ্য করতে পারে না যেমন: অনেকের চিংড়িতে বা বেগুনে এলার্জি থাকে। তেমন ভাবেই সব ঔষধ সবার শরীরের জন্য নয়। আর বাচ্চারা তো আরও বেশি সেনসেটিভ। অনেক সময়েই ঔষধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হতে এলার্জি বা মাথা ব্যথা শুরু হতে পারে। এমন অপ্রীতিকর অবস্থা এড়াতে ডাক্তারের থেকে পরামর্শ নিয়ে নিয়ম মেনে ঔষধ সেবন করতে হবে। তবে, টোফেন সিরাপ টি বেশ উপকারী এবং বাচ্চার যদি ঠান্ডা বা সর্দি জাতীয় সমস্যা হয় সেক্ষেত্রে প্রাথমিক ভাবে হাতের কাছে এই টোফেন সিরাপ থাকলে তা বাচ্চাকে নিয়ম মেনে সেবন করালে বাচ্চার ঠান্ডা ভাব কেটে যাবে।

ঔষধ সেবন এর পূর্বে সতর্কতা:

যে কোন ঔষধ সেবনের পূর্বে তার মেয়াদ দেখে নেবেন। বাচ্চাদের ক্ষেত্রে দ্বিগুণ সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।

আমরা জানি যে সিজন চেঞ্জের সময় বা শীতের মরশুমে একটু অনিয়ম হলে বাচ্চাদের ঠান্ডা লাগা,  সর্দি অনিবার্য। ঠান্ডা নিরাময় না করলে শ্বাসকষ্ট এবং তা থেকে নিউমোনিয়া পর্যন্ত হতে পারে। বাবা মায়েদের সুবিধার্থে আজকের প্রতিবেদনে বাচ্চাদের টোফেন সিরাপ এর কাজ কী তা নিয়ে আমরা বিস্তারিত আলোচনা করেছি।