বিনোদন

আজীবন সম্মাননা পেলেন : তানভীর মোকাম্মেল ও মোরশেদুল ইসলাম

আজীবন সম্মাননা পেলেন : তানভীর মোকাম্মেল ও মোরশেদুল ইসলাম
আজীবন সম্মাননা পেলেন : তানভীর মোকাম্মেল ও মোরশেদুল ইসলাম

চলচ্চিত্র সংস্কৃতিতে অবদান রাখার জন্য আজীবন সম্মাননা পেলেন চলচ্চিত্র পরিচালক তানভীর মোকাম্মেল এবং মোরশেদুল ইসলাম। গত শুক্রবার বাংলাদেশের স্বাধীন ধারার চলচ্চিত্র নির্মাতাদের সংগঠন বাংলাদেশ শর্ট ফিল্ম ফোরামের ৩ যুগ পদার্পণ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এ সম্মাননা প্রদান করা হয়।

শুক্রবার রাত আটটায় তানভীর মোকাম্মেল ও মোরশেদুল ইসলামকে স্মারক ও সম্মাননাপত্র প্রদানের পর উত্তরীয় পরিয়ে দেন মানজারে হাসীন মুরাদ ও নাসির উদ্দীন ইউসুফ। নিজেদের গড়া সংগঠনের পক্ষ থেকে সম্মাননা পেয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে মোরশেদুল ইসলাম বলেন, ‘যেকোনো সম্মাননা পেতে ভালো লাগে। শর্টফিল্ম ফোরামের সঙ্গে আমি শুরু থেকেই জড়িত। সময়ের সঙ্গে শর্টফিল্ম ফোরামের রূপ অনেক পাল্টেছে। এখানে আছে সফলতা আছে ব্যর্থতা। এখন যাঁরা কাজ করছেন, তাঁরা অনেকেই আমাদের বিকল্প ধারার আন্দোলন ছিল, সেটা দ্বারা অনুপ্রাণিত। এটাই আমাদের সাফল্য। আমার সেই প্রাণের সংগঠনের কাছ থেকে সম্মাননা পাওয়া আমার আনন্দ বাড়িয়ে দিয়েছে।’

আজীবন সম্মাননা পাওয়া গুণী দুই নির্মাতাই বাংলাদেশ শর্ট ফিল্ম ফোরামের সঙ্গে সূচনালগ্ন থেকে জড়িত। তানভীর মোকাম্মেল বাংলাদেশ শর্ট ফিল্ম ফোরামের প্রথম সভাপতি এবং মোরশেদুল ইসলাম ছিলেন সাধারণ সম্পাদক। বাংলাদেশের বিকল্প ধারার প্রথম দুই ছবির নির্মাতাও তারা। মোরশেদুল ইসলাম নির্মাণ করেন ‘আগামী’ আর তানভীর মোকাম্মেল ‘হুলিয়া’। এরপর থেকেই বিকল্প ধারার সিনেমা নির্মাণে আগ্রহী হয়ে ওঠেন তরুণ নির্মাতারা।

বাংলাদেশ শর্ট ফিল্ম ফোরামের সাধারণ সম্পাদক রাকিবুল হাসান অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন। বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় চিত্রশালা প্রাঙ্গণে বিকেল চারটায় সমবেত জাতীয় সংগীত এবং ৩৬টি বেলুন ওড়ানোর মাধ্যমে অনুষ্ঠানটি উদ্বোধন হয়। অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্বে “আগামী, হাজারিবাগ ইন শটস, পোস্টার, ইতি সালমা এবং বিস্মরণের নদী”—এই পাঁচ স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হয়। মুক্ত আলোচনায় অংশ নেন মানজারে হাসীন মুরাদ, নাসির উদ্দীন ইউসুফ, জাহিদুর রহিম অঞ্জন, জুনায়েদ হালিম, আমিনুর রহমান, জহিরুল ইসলাম কচিসহ অনেকে। সবশেষে বাংলাদেশ শর্ট ফিল্ম ফোরামের স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র নির্মাণ কর্মশালার আওতায় নির্মিত ‘বিপ্রতীপ’ এবং ‘যে গল্পের রং নেই’ নামে দুটি স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হয়।

বে অব বেঙ্গল নিউজ - Bay of Bengal News

বে অব বেঙ্গল নিউজ