চট্টগ্রামসকল সংবাদ

হত্যাকাণ্ডের পাঁচ বছর পর স্ত্রী হত্যার অভিযোগে পিল্টু গ্রেফতার

মামলার পুনঃতদন্তে হত্যাকাণ্ডের পাঁচ বছর পর স্ত্রী হত্যার অভিযোগে শেখ নওশেদ সরোয়ার পিল্টু নামের একজনকে গ্রেফতার করে নগর গোয়েন্দা পুলিশ। পুলিশ বলছে, মামলার প্রধান অভিযুক্ত হলেও তিনি ছিলেন ‘ধরা-ছোঁয়ার বাইরে’।

হত্যাকাণ্ডের পাঁচ বছর পর স্ত্রী হত্যার অভিযোগে পিল্টু গ্রেফতার
চিত্রঃ শেখ নওশেদ সরোয়ার পিল্টু

২০১৫ সালে দ্বিতীয় স্ত্রী কানিজ ফাতেমা সুমাইয়া হত্যাকাণ্ডের অভিযোগে নওশেদের বিরুদ্ধে মামলা হয়। সুমাইয়ার মা দিলরুবা বেগমের করা ওই মামলায় অভিযোগ করা হয়, ওই বছরের এপ্রিল মাসে নিজ বাসা থেকে স্বামীর সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে নিখোঁজ হন সুমাইয়া। এক দিন পর তার পোড়া লাশ পাওয়া যায় চন্দনাইশ উপজেলা থেকে। মামলায় নওশেদ ছাড়াও তার প্রথম স্ত্রী ও ভাইসহ চারজনকে আসামি করা হয়েছিল।

তবে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) আড়াই বছর পর ২০১৭ সালের নভেম্বরে পাঁচ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয়। সেখানে নওশেদের প্রথম স্ত্রী ফরিদা ইয়াসমিন পরী ও বড় ভাই প্রিন্সকে আসামির তালিকা থেকে বাদ দিলে আদালত মহানগর গোয়েন্দা পুলিশকে পুনঃতদন্তের নির্দেশ দেয়।

পেশায় ব্যবসায়ী এই ব্যক্তি নিজেকে চট্টগ্রামের বন্দর থানা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি, আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক উপ-কমিটির সাবেক সদস্য হিসেবে পরিচয় দেন। পাশাপাশি তিনি বঙ্গবন্ধু সৈনিক লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক বলেও দাবি করেন। চট্টগ্রামের এক সাংসদের ভাগ্নে পরিচয়েও প্রভাব খাটানোর চেষ্টাও করেন। তবে নওশেদের রাজনৈতিক পরিচয়ের বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

এ ব্যাপারে নগর গোয়েন্দা পুলিশের উপ-কমিশনার (দক্ষিণ) আলী হোসেন গণমাধ্যমকে জানান, শুক্রবার নগরীর খুলশী এলাকা থেকে নওশাদ সরোয়ার পিল্টুকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য এক দিনের হেফাজতে আনার অনুমতি পেয়েছে পুলিশ।

উল্লেখ্য সিআইডির দেওয়া অভিযোগপত্রে বলা হয়, সুমাইয়া তার স্বামী নওশেদের প্রথম বিয়ের খবর জানার পর ২০১৪ সালে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুন্যালে একটি মামলা করেন। তার জেরে নওশেদ তার কর্মচারীদের নিয়ে সুমাইয়াকে হত্যা করে এবং লাশ গুম করার জন্য চন্দনাইশ উপজেলার সুচিয়া গ্রামের শ্মশানের পাশে দাহ্য পদার্থ দিয়ে লাশের চেহারাসহ শরীরের বিভিন্ন অংশ পুড়িয়ে ফেলে। পরবর্তীতে ডিএনএ পরীক্ষা করে তা শনাক্ত করা হয়েছিল সেটা সুমাইয়ার লাশ।

ওয়াইএইচ / বে অব বেঙ্গল নিউজ / bay of bengal news / bbn / বিবিএন

বে অব বেঙ্গল নিউজ - Bay of Bengal News

বে অব বেঙ্গল নিউজ