আন্তর্জাতিকজাতীয়সকল সংবাদ

শান্তিরক্ষী প্রেরণকারী দেশ হিসেবে শীর্ষ স্থান বাংলাদেশেরই দখলে

শান্তিরক্ষী প্রেরণকারী দেশ হিসেবে শীর্ষ স্থান বাংলাদেশেরই দখলে

জাতিসংঘ শান্তিরক্ষীদের প্রতীক ‘ব্লু হেলমেট’। কয়েক দশক ধরে শান্তি মিশনে গৌরবের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে আসছেন বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীরা। জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী প্রেরণকারী দেশ হিসেবে আবার বাংলাদেশের নাম প্রথমে উঠে এলো। বর্তমানে শান্তিরক্ষী প্রেরণকারী দেশ হিসেবে বাংলাদেশ শীর্ষে অবস্থান করছে। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ইথিওপিয়া। তালিকায় বর্তমানে পাকিস্তানের অবস্থান পঞ্চম। সশস্ত্র বাহিনী ও পুলিশ মিলে বর্তমানে ছয় হাজার ৭৩১ জন বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী বিশ্ব শান্তিরক্ষায় নিয়োজিত রয়েছেন।

শান্তিরক্ষী প্রেরণকারী দেশ হিসেবে শীর্ষ স্থান বাংলাদেশেরই দখলে

জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনের অধীনে বিশ্বের নানা প্রান্তে যারা শান্তিরক্ষী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন, তারা ‘ব্লু হেলমেটধারী’ হিসেবে পরিচিত।

আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) পরিচালক লে. কর্নেল আবদুল্লাহ ইবনে জায়েদ সমকালকে বলেন, শীর্ষ শান্তিরক্ষী প্রেরণকারী দেশ হওয়াটা অবশ্যই গর্বের। বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীরা বিশ্ব শান্তিরক্ষায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে প্রতিনিয়ত দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন।

নানা ভয়-শঙ্কা ও প্রতিকূল পরিবেশ মোকাবিলা করে সংঘাতপূর্ণ বিভিন্ন এলাকায় শান্তির বার্তা ছড়িয়ে দিচ্ছেন বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীরা। আফ্রিকাসহ বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে জাতিগত সংঘাত মোকাবিলায় তারা রাখছেন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। সংঘাতময় বিভিন্ন দেশের রাস্তাঘাট, স্থাপনা নির্মাণ ও  চিকিৎসাসেবায় বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীরা অনুকরণীয় দায়িত্ব পালন করছেন।

এছাড়াও আইএসপিআরের অপর এক বিজ্ঞপ্তিতে গতকাল শনিবার জানানো হয়, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর মেজর জেনারেল মো. মাঈন উল্লাহ চৌধুরী সাউথ সুদানে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনের ডেপুটি ফোর্স কমান্ডার হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন।

উল্লেখ্য, ১৯৮৮ সালে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী মিশনে প্রথমবারের মতো অংশ নিয়েছিলেন বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীরা। ওই বছর ইরান-ইরাক সামরিক পর্যবেক্ষক দলে ১৫ জন সামরিক পর্যবেক্ষক পাঠায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। সেই থেকে শুরু শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে লাল-সবুজের বাংলাদেশের যাত্রা। এর পর যত দিন পার হয়েছে, ততই আন্তর্জাতিক শান্তিরক্ষায় দেশের সাফল্যে নতুন নতুন পালক যুক্ত হয়েছে, যা বিশ্বে বাংলাদেশকে নতুন এক মর্যাদায় নিয়ে গেছে। নৌবাহিনী ও বিমানবাহিনী শান্তিরক্ষী মিশনে যোগ দেয় ১৯৯৩ সালে। আর পুলিশ নামিবিয়া মিশনের মধ্য দিয়ে ১৯৮৯ সালে শান্তিরক্ষী মিশনে যাত্রা শুরু করে। পুরুষের পাশাপাশি বাংলাদেশি নারী শান্তিরক্ষীরাও ব্লু হেলমেটধারী হিসেবে নিজেদের যোগ্যতার সাক্ষর রাখছেন।

বে অব বেঙ্গল নিউজ

বে অব বেঙ্গল নিউজ - Bay of Bengal News

বে অব বেঙ্গল নিউজ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *