আন্তর্জাতিকসকল সংবাদ

শান্তিতে এবছরের নোবেল পেলো ‘বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি’

শান্তিতে বছরের নোবেল পেয়েছে জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি) সংঘাত কবলিত দেশে ক্ষুধা নিবারণে কাজ করার কারণে তাদের এই স্বীকৃতি মিলেছে।

নোবেল।
প্রতীকী চিত্র: ডব্লিউ এফ পি।

বিজয়ের নাম ঘোষণার সময় নোবেল কমিটি বলছিল যে যতদিন না করোনার টিকা মিলছে ততদিন খাদ্যই হলো ভালো ভ্যাকসিন।

বিশ্বে গড়ে প্রতি ৯ জনের একজনের নেই পর্যাপ্ত খাদ্যের ব্যবস্থা। এ অবস্থায় ক্ষুধা মুক্ত পৃথিবী গড়তে ১৯৬১ সাল থেকেই বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে কাজ করে যাচ্ছে জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি ‘ ডব্লিউএফপি ‘। জরুরি অবস্থায় জীবন রক্ষা এবং খাদ্য সরবরাহের মাধ্যমে ৮৮ টিরও বেশি দেশে কাজ করছে সংস্থাটি। ২০১৯ সালে সব দেশের অন্তত ১০ কোটি মানুষকে সহায়তা দিয়েছে ডব্লিউএফপি।

বাংলাদেশ সময় বৃহস্পতিবার বিকেলে নরওয়ের অস্ট্রোর নোবেল ইনস্টিটিউটে সংবাদ সম্মেলনে শান্তিতে ১০১ তম বিজয়ীর নাম ঘোষণা করা হয়।

নোবেল কমিটির চেয়ারপারসন বেরিত রাইস অন্ডারসন উক্ত সম্মেলনে বলেন, ক্ষুধা ও সশস্ত্র সংঘাত একটি দুষ্টচক্র। এর ফলে খাদ্য নিরাপত্তা এবং ক্ষুধার্ত মানুষের সংখ্যা বেড়ে যায়। কেবল ক্ষুধার কারণেই সংঘাত লেগে যেতে পারে।

নোবেল কমিটি জানায় ক্ষুদাকে যুদ্ধ এবং সংঘাতের অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার বন্ধে জাতিসংঘের সদস্য রাষ্ট্রগুলো কে একত্রিত করার জন্য জোরালো অবদান রেখেছে সংস্থাটি।

নোবেল কমিটির চেয়ারপারসন আরো বলেন, ইয়েমেন, কঙ্গো, নাইজেরিয়া, দক্ষিণ সুদান ও বুর্কিনা ফাসোর মতো দেশগুলোতে সংঘাত ও করোনা মহামারীর কারণে অনাহারী মানুষের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। এই মহামারীর মধ্যেও সামর্থের সবটুকু উজাড় করে দিচ্ছে ডব্লিউ এফ পি। যতদিন না করোনার টিকা মিলছে ততদিন পর্যন্ত খাদ্যই হলো ভালো ভ্যাকসিন।

পুরস্কারপ্রাপ্তিতে সমগ্র বিশ্ববাসীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন ডব্লিউ এফ পি কর্মকর্তারা।

এ ব্যাপারে বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির নির্বাহী পরিচালক ডেবিড বেসলি বলেন, জীবনে এই প্রথম আমি ভাষাহীন বিশ্বাস করতে কষ্ট হচ্ছে। আমার এবং ডব্লিউএফপি পরিবারের জন্য অন্যতম আনন্দঘন মুহূর্ত। উ

ল্লেখ্য ১৯৭৪ সাল থেকেই বাংলাদেশ কাজ করছে কাজ করছে ডব্লিউএফপি। কেবল গেল বছর বাংলাদেশের ১৭ লক্ষ মানুষকে সহায়তা প্রদান করেছে সংস্থাটি।

ওয়াইএইচ / বে অব বেঙ্গল নিউজ।

বে অব বেঙ্গল নিউজ - Bay of Bengal News

বে অব বেঙ্গল নিউজ