জাতীয়রাজনীতিসকল সংবাদ

বিদেশ যাচ্ছে খালেদা জিয়া!

বিদেশ যাচ্ছে খালেদা জিয়া!
ছবিঃ খালেদা জিয়া

চিকিৎসার জন্য লন্ডনের কথাই বেশি উচ্চারিত হচ্ছে। বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব আইনজীবী মাহবুবউদ্দীন খোকন আজ শনিবার রাতে বিএনপি চেয়ারপারসনের বাসার সামনে সাংবাদিকদের বলেন, পরিবার খালেদা জিয়ার দেশে বিদেশে উন্নত চিকিৎসার জন্য সাজার মেয়াদ স্থগিত আরও বাড়ানোর জন্য আবেদন করেছেন।

গত মঙ্গলবার বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিতের মেয়াদ বাড়ানো এবং দেশে-বিদেশে চিকিৎসার সুযোগ দিতে আবেদন করেছেন তাঁর পরিবারের সদস্যরা। আবেদনে সই করেছেন খালেদা জিয়ার ভাই শামীম ইস্কান্দর।এ সংক্রান্ত আবেদন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পরিবারের পক্ষ থেকে জমা দেওয়া হয়েছে।

বিএনপির একটি দায়িত্বশীল সূত্র সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন, এবারের আবেদন সাজা স্থগিতের মেয়াদ বাড়ানোর পাশাপাশি দলীয় চেয়ারপারসন যেন বিদেশে গিয়ে চিকিৎসা নিতে পারেন সে ব্যাপারে সরকারের অনুমতি চাওয়া হয়েছে। সূত্রের দাবি, সরকার তাদের আবেদন মঞ্জুর করবেন বলে তাদের বিশ্বাস।

দুর্নীতির মামলায় সাজার রায়ের পর বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি কারাবন্দী হন। চলতি বছরের ২৫ মার্চ তিনি সরকারের নির্বাহী আদেশে ছয় মাসের জন্য মুক্তি পান। এই সময় তাঁর সাজা স্থগিত রেখেছে সরকার। আগামী ২৪ সেপ্টেম্বর খালেদা জিয়ার মুক্তির ছয় মাস শেষ হবে। বিএনপির চেয়ারপারসনের পরিবারের একটি ঘনিষ্ঠ সূত্র বলেন, খালেদা জিয়া খুবই অসুস্থ। তারা তাঁর মুক্তি চেয়েছিলেন চিকিৎসা করাবেন বলে। কিন্তু যখন তিনি মুক্তি পান তখন করোনা মহামারির কারণে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেওয়াটা সম্ভব হয়নি। তা ছাড়া বিএনপি চেয়ারপারসন সর্বশেষ চিকিৎসা নিয়েছেন যুক্তরাজ্যের লন্ডনে। এর আগে যুক্তরাষ্ট্রেও চিকিৎসা নিয়েছেন। গত প্রায় বছর ফলোআপ চিকিৎসা হচ্ছে না। এ কারণে এবার আরও লম্বা সময়ের জন্য খালেদা জিয়ার মুক্তির মেয়াদ বাড়ানোর আবেদন করেছেন। তাঁর চান যেন খালেদা জিয়ার স্থায়ী জামিন দেওয়া হয়। সে ব্যাপারে সরকারপ্রধান যেন ব্যবস্থা নেন। ছয় মাসের জন্য খালেদা জিয়াকে মুক্তি দেওয়া হলেও সরকার সেখানে শর্ত জুড়ে দেয়। সেখানে বলা হয় খালেদা জিয়া বিদেশ যেতে পারবেন না। এবার এই শর্তটি বাতিল চান পরিবার।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র জানায়, খালেদা জিয়ার পরিবারের আবেদনটি তারা পেয়েছেন। যেহেতু ছয় মাস মেয়াদ শেষ হচ্ছে তাই তা বাড়ানোর জন্য পরিবারের পক্ষ থেকে আবেদন করা হয়েছে। তিনি বলেন, আবেদনটি আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।

এরপর আরও কিছু ধাপ রয়েছে। সেগুলো শেষ করে প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদনের জন্য পাঠানো হবে। তারপর সিদ্ধান্ত পাওয়া যাবে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, ‘আমাদের কাছে আবেদন করেছেন। যেহেতু মুক্তির ছয় মাস শেষ হতে চলেছে। আবেদনে পরিবার মেয়াদ বাড়ানোর কথা বলেছেন।’ ২০১৭ সালের ১৫ জুলাই খালেদা জিয়া সর্বশেষ লন্ডনে গিয়ে চোখের ও পায়ের চিকিৎসা নিয়েছিলেন। তিন মাস সেখানে অবস্থান করে ১৮ অক্টোবর দেশে ফেরেন।

বিবিএন

বে অব বেঙ্গল নিউজ - Bay of Bengal News

বে অব বেঙ্গল নিউজ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *