সকল সংবাদ

নিখোঁজের ৪ দিনের মাথায় স্কুলছাত্রের অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার…

নিখোঁজের ৪ দিনের মাথায় স্কুলছাত্রের অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার...
প্রতীকী চিত্র।

নিখোঁজের ৪ দিনের মাথায় স্কুলছাত্র মিরাজ খা (১৫) এর ক্ষতবিক্ষত অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার হয়েছে৷ মাথায় কপালের দাগ ও পরনের প্যান্ট দেখে শনাক্ত করা হয়েছে লাশটি।

নিহত স্কুলছাত্র মিরাজ খা গোয়ালন্দ উপজেলার উত্তর চর পাচুরিয়া গ্রামের সিরাজ খার ছেলে। সে দৌলতদিয়া মডেল হাই স্কুলের মানবিক বিভাগের ৯ম শ্রেণির ছাত্র ছিলো।

রাজবাড়ী জেলার গোয়ালন্দ উপজেলার কাওয়ালজানি পদ্মার দূর্গম চরে বালিতে পুঁতে রাখা অবস্থায় উদ্ধার হয় লাশটি। লাশের দুই হাত বিচ্ছিন্ন করে নিয়েছে হত্যাকারীরা। মিরাজের কপালের কাটা চিহ্ন ও পরনের প্যান্ট দেখে লাশটি শনাক্ত করেছে তার পরিবার।

মিরাজের আত্মীয় ও দেবগ্রাম ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ড সদস্য আব্দুস সালাম জানান, গত বৃহস্পতিবার (২৭ আগষ্ট) রাত ৮টার দিকে বাড়িতে ভাত খাচ্ছিলো মিরাজ। মোবাইলে কারও ফোন পেয়ে জরুরী কাজ আছে বলে সে বাড়ি থেকে বের হয়। এরপর থেকে মিরাজের আর কোন খবর ছিলো না।

পরের দিন শুক্রবার (২৮ আগষ্ট) মিরাজের বাবা সিরাজ খা গোয়ালন্দ ঘাট থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। সোমবার (৩১ আগষ্ট) লাশ উদ্ধারের পরে তারা মিরাজের কপালে থাকা কাটা দাগ ও পরনের প্যান্ট দেখে লাশটি মিরাজের বলে শনাক্ত করেন।

নিহত মিরাজের আপন বড় ভাই সেলিম খা বলেন, গত বছর দেবগ্রাম থেকে বাড়ি সরিয়ে আমরা উত্তর চরপাচুরিয়ায় বাড়ি করে বসবাস শুরু করি। আমাদের সাথে তো কারও কোন শত্রুতা নাই। আমার ছোট ভাই মিরাজকে কে বা কারা এমন নৃশংস্বভাবে হত্যা করলো আমরা বুঝতে পারছি না। এই হত্যার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।

এবিষয়ে গোয়ালন্দ ঘাট থানার ইন্সেপেক্টর (তদন্ত) মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল তায়াবীর জানান, দুই হাত বিচ্ছিন্ন লাশটির পরিচয় প্রাথমিকভাবে শনাক্ত করা সম্ভব হচ্ছিলো না। লাশের সুরতহাল রিপোর্ট শেষে ময়নাতদন্তের জন্য রাজবাড়ী সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।

তিনি আরও জানান, নিখোঁজ স্কুলছাত্র মিরাজের পরিবার লাশটি শনাক্ত করলে সোমবার রাতে অজ্ঞাত কয়েকজনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের হয়। 

হত্যাকাণ্ডের প্রকৃত কারণ অনুসন্ধান ও জড়িতদের গ্রেফতারে পুলিশি অভিযান চলছেও বলে জানান তিনি।

বিবিএন / স্টাফ রিপোর্টার।

বে অব বেঙ্গল নিউজ - Bay of Bengal News

বে অব বেঙ্গল নিউজ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *