ক্রিকেটখেলাধুলাসকল সংবাদ

জয়ের শিরোপা এবার মাহমুদুল্লাহ একাদশের

নাজমুল একাদশকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হলো মাহমুদুল্লাহ’র দল। ১৭৪ রানের লক্ষ্যে খুব সহজেই টপকে গেছে দলটি, ৩ উইকেটে করেছে ১৭৭ রান।

জয়ের শিরোপা এবার মাহমুদুল্লাহ একাদশের
সংগৃহীত চিত্র।

মিরপুরে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ১৭৩ রানে অলআউট হয় নাজমুল একাদশ। লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ২৯ ওভার ৪ বলে জয় নিশ্চিত হয় মাহমুদুল্লাহ একাদশের।

এদিকে বিসিবির সভাপতি নাজমুল হাসান জানিয়েছেন ১৫ নভেম্বর মাঠে গড়াবে ৫ দলের টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট। উক্ত টুর্ণামেন্টে সাকিব-আল হাসান খেলবেন তবে আসছেন না বিদেশি ক্রিকেটাররা।

দু’লীগ ম্যাচে নাজমুল একাদশের কাছে হারা মাহমুদুল্লাহর দল প্রতিশোধ নিয়েই হাতে তুলল ট্রফি। লড়াইটা ছিল মূলত নাজমুল একাদশের ব্যাটসম্যানের সাথে মাহমুদুল্লাহ’র দলের বোলারদের।

ফাইনালে ভয়ঙ্কর সুমন খান, রুবেলকে ছাড়িয়ে ম্যাচের হিরো এই ডানহাতি পেসার। তার বলে আঘাত পেয়ে মাঠ ছেড়েও রক্ষা পাননি সৌম্য সরকার। লেফট সুইংয়ে একে একে আরো ফিরিয়েছেন মুশফিক, নাঈম, আফিফ ও নাসিম আহমেদকে। সাইফুদ্দিন এরপর টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় বোলার হিসেবে নিয়েছেন ৫ উইকেট। রুবেল হোসেনও দুই উইকেট নিয়ে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারের তালিকায় ছুঁয়েছেন সাইফুদ্দিনকে।

নাজমুলের দলকে লড়াইয়ে রাখার যেটুকু কৃতিত্ব তার পুরোটাই ইরফান শুক্কুরের। ৬৪ রানে ৫ উইকেট হারানো দলকে খাদের কিনারা থেকে টেনে তুললেন আসর জুড়ে উজ্জ্বল এই তরুণ। তৌহিদ হৃদয়কে নিয়ে এ ব্যাটসম্যান এর ৭০ রানের জুটি অবশ্য যথেষ্ট ছিল না। তার ৭০ বলে ৭৫ রানের ইনিংস ২০০ রানের কোটায় নিতে পারেনি দলকে।

ছোট টার্গেটে মাহমুদুল্লাহ’র দল পথ হারায় নি। জয়ের ভিত গড়ে দেন আগের চার ম্যাচে মাত্র ৪৩ রান করা লিটন দাস। নিজেকে হারিয়ে খুঁজে ফেরা লিটন ৪৭ বলে তুলে নেন হাফ সেঞ্চুরি। ইমরুল কায়েস কে সঙ্গে নিয়ে লিটনের ৬৫ রানের জুটি। ৬৮ রানে লিটনের বিদায়ের পর বাকি কাজটুকু শেষ করেন মাহমুদুল্লাহ নিজে। ৫৩ রানে ইমরুল আর ২৩ রান করে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ।

উল্লেখ্য প্রস্তুতি টুর্নামেন্টের প্রাপ্তি বলতে সাইফুদ্দিন, তাসকিন, রুবেলদের মত পেসারদের রুদ্ররূপ আর আফিফ, ইরফান শুক্কুর, তৌহিদ হৃদয় ও শরিফুলদের মত তরুণদের পারফরম্যান্স।

ওয়াইএইচ / বে অব বেঙ্গল নিউজ / Bay of Bengal news

বে অব বেঙ্গল নিউজ - Bay of Bengal News

বে অব বেঙ্গল নিউজ