ইতিহাসের পাতায়সকল সংবাদ

নাটোরের অবিসংবাদিত নেতা সংকর গোবিন্দ চৌধুরীর সাথে শেখ হাসিনা

১৯৮৬ সালে নাটোরের অবিসংবাদিত নেতা শংকর গোবিন্দ চৌধুরীর সাথে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
নাটোরের অবিসংবাদিত নেতা সংকর গোবিন্দ চৌধুরীর সাথে শেখ হাসিনা
১৯৮৬ সালে নাটোরের অবিসংবাদিত নেতা শংকর গোবিন্দ চৌধুরীর সাথে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

শংকর গোবিন্দ চৌধুরী ৭০ এর ঐতিহাসিক নির্বাচনে নাটোর থেকে এমপি নির্বাচিত হন মুসলিম লীগের প্রার্থীকে হারিয়ে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঘনিষ্ঠ সহচর ছিলেন তিনি। এমপি নির্বাচিত হওয়ার ৭ই মার্চের ঐতিহাসিক ভাষনে উপস্থিত ছিলেন। তিনি অত্যন্ত দানশীল ও জনগনবান্ধব নেতা ছিলেন। তার বাসা সবসময় নেতা কর্মীদের জন্য খোলা থাকতো।

ভাবনী গ্রামের শহীদ সুলতান পাটোয়ারীর ছেলে জয়নাল আবেদীন জানান, বঙ্গবন্ধুর ডাকে সারা দিয়ে সারা দেশের মত নাটোরেও সাবেক সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগ নেতা ভাবনী গ্রামের সম্ভান্ত পরিবারের সদস্য প্রয়াত শংকর গোবিন্দ চৌধুরীর নেতৃত্বে এলাকার নারী-পুরুষ মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে অবস্থান নেয়। এই কারণে পাকবাহিনী ও তাদের দোসররা হত্যার নেশায় মেতে উঠে বিশেষ করে তার এলাকায়।

১৯৮১ সালে দুর্বৃত্তরা তাকে চলন্ত সীমান্ত এক্সপ্রেস ট্রেন থেকে ফেলে দিয়েছিল হত্যার উদ্দেশ্যে। সাক্ষাৎ মৃত্যুর হাত থেকে বেঁচে গিয়েছিলেন, তবে প্রচণ্ড আঘাত পেয়েছিলেন। দীর্ঘদিন দেশে ও দেশের বাইরে চিকিৎসা শেষে নাটোরে ফিরে আসেন। তিনি একাধিকবার নাটোর পৌরসভার চেয়ারম্যান ছিলেন। ১৯৭০ সালের ঐতিহাসিক সাধারণ নির্বাচনে তিনি নাটোর সদর আসন থেকে প্রথম সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। মুক্তিযুদ্ধের সময় তিনি ৭নং সেক্টরের জোনাল কাউন্সিলের ভাইস-চেয়ারম্যান ছিলেন।

দুবার তাঁকে হত্যার চেষ্টা হয়েছে। শেষজীবনে তো প্রায় পঙ্গু হয়ে গিয়েছিলেন তিনি। মনের প্রবল জোর নিয়ে চলাফেরা করতেন। জীবননাশের হুমকি সব সময়ই ছিল। কিন্তু তারপরও তাঁর বাড়িতে কোনো নিরাপত্তার ব্যবস্থা করতে দেখা যায়নি। বাড়ি ছিল আজীবন অবারিত। চেনা-অচেনা মানুষ ঢুকছে-বেরোচ্ছে ভোর থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত। বাইরের চলাফেরায়ও কোনো বাড়তি সতর্কতা দেখা যায়নি। মানুষের মধ্যেই তিনি নিজের নিরাপত্তা খুঁজে নিয়েছিলেন।

তার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ বিএনপি ও অন্য দলের নেতাদের সাথে তার খুব ভালো সম্পর্ক ছিলো।

১৯৯১ এর নির্বাচনে আওয়ামীলীগ জয় লাভ না করতে পারলেও শংকর গোবিন্দ চৌধুরী নাটোর থেকে নির্বাচিত হন সংসদ সদস্য হিসেবে। নাটোরে অসংখ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান তার হাতে গড়া।

তিনি মারা যান ১৯৯৫ সালে। তার নাটোরের ইতিহাসে অসামান্য অবদানের জন্য ১৯৯৮ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নাটোর জেলা স্টেডিয়ামের নামকরন করেন শংকর গোবিন্দ চৌধুরী স্টেডিয়াম হিসেবে।

সেই স্টেডিয়ামের বর্তমান একটি ছবি সাথে যুক্ত করলাম।

বে অব বেঙ্গল নিউজ - Bay of Bengal News

বে অব বেঙ্গল নিউজ