সারাদেশ

কৃষকদের প্রণোদনার সরকারি সার ও বীজ পাচার কালে জনতার হাতে আটক

ময়মনসিংহের ধোবাউড়ায় কৃষকদের জন্য প্রণোদনার সরকারি সার ও বীজ পাচার কালে আটক করেছে জনতা। পরে কৃষি অফিসের কর্মকর্তারা ও পুলিশ গিয়ে ঘটনাস্থল থেকে বীজ ও সারগুলো উদ্ধার করে। কৃষি বিভাগ বলছে- প্রকৃত কৃষকদের দেওয়া হয়েছিল সার ও বীজগুলো।

কিন্তু সেগুলো বিক্রির উদ্দেশ্যে কীভাবে যাচ্ছিল তা অনুসন্ধানে কাজ করছে উপজেলা প্রশাসন।

কৃষকদের প্রণোদনার সরকারি সার ও বীজ পাচার কালে জনতার হাতে আটক
কৃষকদের প্রণোদনার সরকারি সার ও বীজ পাচার কালে জনতার হাতে আটক
মঙ্গলবার (২০ এপ্রিল) প্রান্তিক কৃষকদের আউষ প্রণোদনা হিসেবে ধোবাউড়া সদর ইউনিয়নের ১১০ জন কৃষকের মাঝে প্রণোদনা বিতরণ করা হয়। ৫ কেজি করে বীজ ধান ও দুই প্রকারের ৩০ কেজি সার বিতরণ করা হয় প্রত্যেক কৃষকের মাঝে।

কিন্তু বিকেল ৫টার দিকে তিনটি রিকশাভর্তি সার ও বীজ সরকারি গোডাউন থেকে উপজেলা সদর বাজারে যাওয়ার পথে স্থানীয় মানুষের সন্দেহ হয়।

সদর বাজারে সার ও বীজবাহী রিকশাগুলো আটকের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান উপজেলা কৃষি অফিসার। ঘটনাস্থলে যায় পুলিশও। পরে তিনটি রিকশা ভর্তি সার ও বীজ উদ্ধার করে ফের কৃষি বিভাগের গোডাউনে নেওয়া হয়।

এর মধ্যে ছিল ৩৬ প্যাকেট (প্রতি প্যাকেটে ১০ কেজি) বীজ ধান ও ২৮ বস্তা সার। উদ্ধার হওয়া ধান বীজ অন্তত ৭২ জন কৃষকের মধ্যে বিতরণ করার কথা ছিলো। ২৮ বস্তা সার পেতেন ৩৬ জন কৃষক।

কিন্তু প্রকৃত কৃষকদের মাঝে সার ও বীজ বিতরণ না করে অসাধু চক্রের মাধ্যমে সেগুলো পাচার করা হচ্ছিল বলে অভিযোগ করেন স্থানীয়রা। 

রিকশার চালকরা কৃষি বিভাগকে জানিয়েছেন, সার ও বীজ ৭ জন মেম্বার ধোবাউড়ার গো’ হাটায় নিয়ে যেতে বলেন তাদের। গোডাউন থেকে মালামালগুলো তারা নিয়ে গো’ হাটার দিকেই যাচ্ছিলেন। পথে তাদের আটক করে সাধারণ মানুষ। কিন্তু রিকশা চালকরা ইউপি সদস্যদের নাম বলতে পারেননি।’ 

বিষয়টি নিয়ে ধোবউড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. এরশাদুল হকের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। 

উপজেলা কৃষি অফিসার গোলাম সরোয়ার তুষার বলেন, কয়েকজন মেম্বারের তালিকার কিছু লোক ছিলো। তাদের পরিচিত লোকজনের বরাদ্দগুলো হতে পারে। তবে প্রকৃত কৃষকদের মাঝেই সার ও বীজ বিতরণ করেছিলেন। তার মাস্টার রোলও তাদের কাছে সংরক্ষিত রয়েছে। কৃষি বিভাগের কোনো কর্মী এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত নন। 
তিনি আরো বলেন, সার ও বীজ স্থানীয় লোকজন আটক করে খবর দিলে সেগুলো তারা উদ্ধার করে নিয়ে আসেন। কৃষকরা চুক্তি করে হয়তো সেগুলো বিক্রির জন্য নিয়ে যাচ্ছিল। কারা এমনটি করেছে তাদের শনাক্ত করতে চেষ্টা চালাচ্ছেন তারা।

ধোবাউড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার রাফিকুজ্জামান বলেন, কারা এ ধরণের ঘটনার সঙ্গে জড়িত তাদের শনাক্ত করার চেষ্টা চলছে। তদন্ত করে যারা জড়িতদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বে অব বেঙ্গল নিউজ / Bay of bengal news

বে অব বেঙ্গল নিউজ - Bay of Bengal News

বে অব বেঙ্গল নিউজ