সকল সংবাদপ্রযুক্তি

মোবাইল-কম্পিউটার গেমসে বাড়ছে আসক্তি

করোনাকালে মন ভালো নেই শিশু-কিশোরদের। সময় কাটছে ঘরে বসেই। মাঠে যেতেও নানা শঙ্কা। ভরসা তাই কম্পিউটার কিংবা মোবাইল গেমসে। তাতে বাড়ছে মানসিক চাপ। মানসিক চাপ কমাতে সন্তানদের নিয়ে অভিভাবকদের বিভিন্ন ইনডোর গেমস খেলার পরামর্শ ক্রীড়া সংশ্লিষ্টদের। মনোরোগ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শিশু-কিশোরদের মানসিক অবসাদ ঘোচাতে অভিভাবকদের দিতে হবে পর্যাপ্ত সময়।

মোবাইল-কম্পিউটার গেমসে বাড়ছে আসক্তি
ছবি: মোবাইল-কম্পিউটার গেমসে বাড়ছে আসক্তি

রহিম,করিম,জমির। তিন ভাইয়ের যাপিত জীবন চার দেয়ালে বন্দী। কয়েক মাস আগেও খেলার মাঠে যে দুরন্তপনা ছিল তা আবদ্ধ হয়ে গেছে ঘরের মধ্যে। খেলা চলছে কম্পিউটার আর মোবাইল ফোনের স্ক্রিনেই।

করোনাকালে মাঠে খেলার চিরচেনা চিত্র অনেকটাই পাল্টে গেছে। নানারকম ডিভাইসে গেমস খেলে সময় কাটছে ঘণ্টার পর ঘণ্টা। প্রবল ইচ্ছে থাকা সত্ত্বেও স্বাস্থ্য সুরক্ষার কথা ভেবে মাঠে যেতে পারছেন না শিশু-কিশোররা।

তারা বলেন, করোনার জন্য ঘরে বসেই দিন কাটাই। আগের মতো বাইরে যেতে পারি না। ফুটবল খেলা বেশ পছন্দের, কিন্তু মাঠে যাওয়ার সুযোগ নেই। ঘরে থাকতে থাকতে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে যাচ্ছি।

তৃতীয় শ্রেণী পড়ুয়া রাগিব। কিছুদিন আগেও যার অবসর কাটতো বাড়ির পাশে খেলার মাঠে। তারও চোখ আটকে গেছে কম্পিউটারের পর্দায়। এমন বাস্তবতায় নিরুপায় অভিভাবকরা। নেতিবাচক দিক জেনেও বারণ করতে পারেন না মা।

একে তো করোনা আতঙ্ক, তার ওপর খোলা হাওয়ার পরশ নেই। যার ফলে মানসিক চাপ বাড়ছে শিশু-কিশোরদের। তবে ঘরোয়া পরিবেশে ইনডোর গেমস খেলা আয়োজনের তাগিদ ক্রীড়া সংশ্লিষ্টদের

ফুটবল কোচ শফিকুল ইসলাম মানিক বলেন, অনেক শিশু-কিশোর ঘরে বন্দী জীবন কাটাচ্ছে। এর ফলে তোরা মানসিক বিষাদে ভুগতে পারে। অভিভাবকদের উচিত তাদের সঙ্গে ঘরোয়া খেলায় অংশ নেয়া। লুডু, দাবা, ক্যারামের মতো খেলতে পারে। তাতে করে সময়টা ভালো কাটবে।

মনোরোগ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ইন্টারনেটভিত্তিক গেমসের কারণে শিশু-কিশোরদের মানসিক চাপ বাড়ছে। এ সংকট কাটাতে ব্যস্ততা ভুলে অভিভাবকদের পর্যাপ্ত সময় দেয়ার পরামর্শ।

মনোবিদ ফারহানা মিলি বলেন, করোনার এই সময়ে গৃহবন্দী শিশুরা মানসিক বিষাদে ভুগছে। অভিভাবকদের উচিত তাদের পর্যাপ্ত সময় দেয়া। তাদের সঙ্গে বেশি বেশি ইনডোর গেমসের ব্যবস্থা করা। এতে পারিবারিক বন্ধন দৃঢ় হবে।

তবে শিশুদের মানসিক অবসাদ তৈরি কিংবা মনোজগতে এর বিরূপ প্রভাব কাটাতে অভিভাবকদের প্রতি আহ্বান তাদের।

এম এ নাবিল / বে অফ বেঙ্গল নিউজ / স্টাফ রিপোর্টার

বে অব বেঙ্গল নিউজ - Bay of Bengal News

বে অব বেঙ্গল নিউজ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *