চট্টগ্রামজাতীয়সকল সংবাদ

(ভিডিও সহ) ধর্ষণের জন্য সংগঠন নাকি ব্যক্তি দায়ী – সাধারণ মানুষের মতামত

বে অফ বেঙ্গল নিউজ এর নিজস্ব প্রতিবেদন: প্রতিদিন অনেকগুলো ঘটনার মাঝে কিছু ন্যক্কারজনক ঘটনা হারিয়ে যায়। কিন্তু আবার কিছু ঘটনা সংবাদপত্রের মাধ্যমে কিংবা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়ার মাধ্যমে সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছায়। কিন্তু বেশিরভাগ মানুষের কাছে অজানা রয়ে যায় পুরো বছর জুড়ে কতগুলো ধর্ষণের মত ন্যাক্কারজনক ঘটনা ঘটেছে।

বাংলাদেশ ২০১৪ সালের জানুয়ারি মাস থেকে ২০১৯ সালের জুন মাস পর্যন্ত ৬ হাজার ৯৩০ জন নারী ধর্ষণ এর শিকার হয়েছেন। এরমধ্যে ২০% ধর্ষণের পর খুন হয়েছেন আর ২০% গণধর্ষণের শিকার হয়েছেন। বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের এক জরিপে এই রিপোর্ট প্রকাশ হয়েছে।

এই ধর্ষণের ঘটনার ক্ষেত্রে বর্তমানে ভাইরাল হচ্ছে ওই ধর্ষণের সংবাদগুলো কিংবা ঘটনাগুলো, যে ঘটনাগুলোর সাথে কোন ধর্নাঢ্য ব্যক্তি না হয় কোন সংগঠনের কর্মী জড়িত থাকছেন। এক্ষেত্রে সাধারণমানুষ ধর্ষণের জন্য কে দায়ী? ব্যক্তি নাকি সংগঠন? এ প্রশ্ন সমূহ নিয়ে মিশ্র চিন্তা ভাবনাই বিরূপ প্রতিক্রিয়া সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ করছেন।

বিরূপ কিংবা মিশ্র প্রতিক্রিয়ার অবসান ঘটাতে বে অব বেঙ্গল নিউজ নগরীর ফিনলে স্কয়ার, বিপ্লব উদ্যান, ২ নং গেট এলাকা জুড়ে বিভিন্ন সাধারন মানুষ ও শিক্ষার্থীদের কাছে জানার চেষ্টা করেন, তারা কি মনে করেন?
সংগঠন নাকি ব্যক্তি দায়ী?

এ প্রশ্নের উত্তর খোঁজার জন্য বে অব বেঙ্গল নিউজ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসাববিজ্ঞানের একজন ছাত্র মিজানুর রহমান কে জিজ্ঞেস করেছিলাম, কে দায়ী সংগঠন নাকি ব্যক্তি?
সে বলেন, অবশ্যই সংগঠন দায়ী নয় ব্যক্তি দায়ী। নিশ্চয়ই সংগঠন ন্যাক্কারজনক ঘটনার জন্য প্রতিষ্ঠিত হয় না। আমরা ১৯৫২ এবং ১৯৭১ এর সময়কালের সংগঠনগুলোকে দেখলে তা বুঝি। ব্যক্তির দায় কখনো সংগঠনের হতে পারো না।

আরেকজন ছাত্রী বলেন, সংগঠন অনেকগুলো ব্যক্তি নিয়ে গঠিত, সংগঠনে ভালো খারাপ থাকতে পারে। ব্যক্তির দায় কখনো সংগঠন নিবেনা, কিন্তু সংগঠনের অবশ্যই উচিত কর্মী বাছাইয়ের আগে তার আগের ইতিহাস জানা, তিনি মনে করেন একটি সংগঠন তার কর্মীকে সংগঠন থেকে বহিষ্কার করে ধর্ষণের শাস্তি নিরূপণ করতে পারেন না। তার মতে অবশ্যই সংগঠনের উচিত ওই ধর্ষক কর্মীকে আইনের হাতে তুলে দেওয়া।

(ভিডিও সহ) ধর্ষণের জন্য সংগঠন নাকি ব্যক্তি দায়ী - সাধারণ মানুষের মতামত
ছবি: ধর্ষণের জন্য ব্যক্তি তাই নাকি সংগঠন এর মতামত নেয়ার সময় তোলা ছবি।

তিনি আশা করেন সরকারের কাছে ধর্ষকের সর্বোচ্চ শাস্তি যেন মৃত্যুদণ্ড হয়। ওই ছাত্রীকে সিলেট এমসি কলেজে ছাত্রলীগ নামধারী কিংবা ছাত্রলীগের নাম ভেঙ্গে যে সকল ছাত্র ন্যক্কারজনক ধর্ষণকাণ্ড কিংবা গণধর্ষণ করেছেন ওই গণধর্ষণের জন্য ছাত্রলীগ দায়ী কিনা তা জানতে চাইলে, তিনি ছাত্রলীগ নিয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি না হলেও তিনি বিশ্বাস করেন সংগঠন দায়ী না তবে সংগঠনের অবশ্যই কর্মী বাছাইয়ের আগে পূর্ব ইতিহাস যাচাই বাছাই করা উচিত।

একজন ব্যবসায়ী মোঃ মহিউদ্দিন চৌধুরী তুহিন বে অফ বেঙ্গল নিউজকে বলেন, তিনি মনে করেন সংগঠন দায়ী না ব্যক্তি দায়ী। কিন্তু সংগঠনের অবশ্যই ওই ব্যক্তিকে আশ্রয় প্রশ্রয় দেওয়া যাবে না। তিনি বিশ্বাস করেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চাইলে ধর্ষকের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড করতে পারেন। আর তিনি মনে করেন সংগঠনের সাংগঠনিক চর্চা সঠিকভাবে হলে, কর্মীরা এই ধরনের কাজ থেকে বিরত থাকবেন। সংগঠনের সাংগঠনিক কার্যক্রমের চর্চার অভাবে সাংগঠনিক কর্মীদের চিন্তার অবক্ষয় ঘটে থাকে বলে তিনি মনে করেন।

আরেকজন এডভোকেট মঞ্জুরুল আলম চৌধুরী বেঙ্গল নিউজকে বলেন, ব্যক্তির দায় কখনো সংগঠনের না। ব্যক্তির দায় শুধু ব্যাক্তিরই। তিনি মনে করেন সুষ্ঠুভাবে তদন্ত হলে প্রশাসন সঠিকভাবে পদক্ষেপ নিলে ধর্ষণের শাস্তি ধর্ষক অবশ্যই পাবেন।

অর্ক নামের একজন চাকরিজীবী বে অব বেঙ্গল নিউজকে বলেন, ধর্ষক অবশ্যই দায়ী ধর্ষকের শাস্তি অবশ্যই ফাঁসি হওয়া উচিত, সংগঠন কখনো দায়ী হতে পারে না কারণ সংগঠন সেটা যে সংগঠন নিয়োগ প্রতিষ্ঠিত হয় না কোন ন্যাক্কারজনক ঘটনা দায় নিতে।

আর একজন সাধারন মানুষ কৌশিক বলেন, ধর্ষকের শাস্তি অবশ্যই ফাঁসি হওয়া উচিত, রাজনৈতিক আশ্রয় প্রশ্রয় নিয়ে কেউ ধর্ষণ করলে তার দায় সংগঠন নিবেনা কিন্তু যারা আশ্রয় প্রশ্রয় দেয় এবং ধর্ষণ করে রাজনৈতিক সংগঠনের প্রভাব খাটিয়ে তারা নিশ্চয়ই বিকৃত মস্তিষ্কের। তিনি আশা করেন সংগঠনটির কখনো এসব বিকৃত মস্তিস্কের মানুষ কে প্রশ্রয় দিবেন এবং তাদের দায় নেবে না আর তাদের সর্বোচ্চ শাস্তির আহ্বান জানাবে।

এভাবে বে অব বেঙ্গল নিউজ, ১৫ জন সাধারণ মানুষ ও শিক্ষার্থীর সাথে কথা বলে, সকলের কাছে জানতে পারেন ব্যক্তির দায় সংগঠনের না। কিন্তু সংগঠন এই ধরনের ব্যক্তি কে আশ্রয় প্রশ্রয় দিবেন না বলে তারা বিশ্বাস করেন। তারা বিশ্বাস করেন যে কোন সংগঠনই কোন একটি আদর্শ নিয়ে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, নিশ্চয়ই কোন খারাপ কার্যক্রমে লিপ্ত হওয়ার জন্য নয়।

বে অব বেঙ্গল নিউজ / চট্টগ্রাম / ডাব্লিউ বি বি ও


বে অব বেঙ্গল নিউজ - Bay of Bengal News

বে অব বেঙ্গল নিউজ