প্রযুক্তিজাতীয়সকল সংবাদ

ড্রোন উড়াতে প্রয়োজন হবে না পূর্ব অনুমতির…

রাষ্ট্র, সামরিক এবং বিনোদনমূলক উদ্দেশ্যে ড্রোন উড়ানোর জন্য পূর্ব অনুমতির প্রয়োজন হবে না।

ড্রোন উড়াতে প্রয়োজন হবে না পূর্ব অনুমতির...
প্রতীকী চিত্রঃ ড্রোন।

১৪ সেপ্টেম্বর (সোমবার) মন্ত্রিসভা বৈঠকে ‘ড্রোন রেজিস্ট্রেশন এবং ফ্লাইং গাইডলাইন, ২০২০’ অনুমোদন কর হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার নিয়মিত সাপ্তাহিক বৈঠক মাননীয় অনুষ্ঠিত হয়। যেখানে এই অনুমোদন দেওয়াা হয়।

বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়াল সভায় যোগ দেন এবং তার মন্ত্রিসভার সহকর্মীরা রাজধানীর বাংলাদেশ সচিবালয় থেকে সংযুক্ত হয়েছিলেন।

মন্ত্রীপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বৈঠক শেষে গণমাধ্যমকে বলেন, বিনোদন বা খেলার উদ্দেশ্যে, রাষ্ট্রীয় ও সামরিক বাহিনীর কোন কারণে ড্রোন ব্যবহারে কোনও পূর্বানুমতির প্রয়োজন নেই। মন্ত্রিসভা আজ (১৪ সেপ্টেম্বর) ‘ড্রোন রেজিস্ট্রেশন অ্যান্ড ফ্লাইং গাইডলাইন, ২০২০’ অনুমোদন করেছে।

তিনি আরও বলেন, সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে সাত থেকে আট মাস আলোচনার পর এই নির্দেশিকা প্রণয়ন করা হয়েছে। প্রস্তাবিত নির্দেশিকায় ড্রোন উড়ানোর ক্ষেত্রে চারটি বিভাগ নির্ধারণ করা হয়েছে, তিনি আরও বলেন, ক ও ঘ বিভাগের ক্ষেত্রে বিনোদনমূলক খেলনা বা খেলার জন্য এবং রাষ্ট্র ও সেনাবাহিনীর কোন কারণে ড্রোন উড়ানোর জন্য কোন পূর্বানুমতির প্রয়োজন নাই।

এছাড়া পাঁচ কিলোগ্রামের কম এবং মাটি থেকে ৫০০ ফুটের কম উঁচুতে উড়তে পারবে এমন ড্রোন বিনোদনের উদ্দেশ্যে উড়াতে পারার কথা জানিয়েছেন খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব আরও বলেন, বিমানবন্দর এবং সামরিক স্থাপনা এলাকার মতো গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চলের (কেপিআই) উপর ড্রোন উড়ানোর ক্ষেত্রে আগাম অনুমতির প্রয়োজন হবে। গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চলের উপর ড্রোন উড়ানোর ক্ষেত্রে শুধুমাত্র বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ কাছ থেকে অনুমতি নেয়াই যথেষ্ট নয়, এজন্য নির্দিষ্ট কেপিআই কর্তৃপক্ষের অনুমতিও প্রয়োজন হবে।

এ ব্যাপারে সরকারের শীর্ষ আমলা বলেন, বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে ড্রোন উড়ানো যেমন যে কোন জমির উপর জরিপ চালানো এবং অবাণিজ্যিক উদ্দেশ্য যেমন গবেষণা বা কোন বই লেখার জন্য জরিপ পরিচালনা করা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আগাম অনুমতির প্রয়োজন হবে। বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (সিএএবি) ড্রোন উড়ানোর জন্য কোন কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিতে হবে, তা নির্ধারণ করবে।

এছাড়া এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সমস্ত এলাকা সবুজ, হলুদ এবং লাল অঞ্চলে বিভক্ত এবং ‘কি পয়েন্ট ইন্সটলেশন’-কেপিআই (গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চল) রেড জোন হিসেবে বিবেচিত হবে।

ওয়াইএইচ / বে অব বেঙ্গল নিউজ।

বে অব বেঙ্গল নিউজ - Bay of Bengal News

বে অব বেঙ্গল নিউজ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *