সকল সংবাদ

ওসি প্রদীপের হাতে নির্যাতনের শিকার সাংবাদিক ফরিদুল মোস্তফা জামিনে মুক্ত: মুখ খোললেন

ওসি প্রদীপের হাতে নির্যাতনের শিকার সাংবাদিক ফরিদুল মোস্তফা জামিনে মুক্ত: মুখ খোললেন
ছবিঃ সংগৃহিত।

দীর্ঘ ১১ মাস ৫ দিন কারাভোগের পর জামিনে মুক্ত হলেন সাংবাদিক ফরিদুল মোস্তফা খান। গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে তিনি কক্সবাজার জেলা কারাগার থেকে মুক্ত হন। কক্সবাজার জেলা কারাগারের জেল সুপার মো. মোকাম্মেল হোসেন এ তথ্য জানান। তাকে মিথ্যে ৬টি মামলা দিয়ে কারাগারে পাঠিয়েছিল কক্সবাজারের টেকনাফ থানা পুলিশের বরখাস্ত হওয়া ওসি প্রদীপ কুমার দাশ।

এ সময় স্ত্রী হাসিনা আকতার, বোন ফাতেমা আকতার বেবি, সালমা আকতার, মেয়ে সোমাইয়া মোস্তফা, ছেলে শাহেদ মোস্তফা, সাজেদুল মোস্তফাসহ স্বজনরা সাংবাদিক ফরিদুল মোস্তফা খানকে কারাফটক থেকে নিয়ে যান। ফরিদুল মোস্তফা কক্সবাজারের স্থানীয় দৈনিক ‘কক্সবাজার বাণী’র সম্পাদক।

এর আগে দুপুরে টেকনাফ থানায় দায়ের করা এসটি-২৮১/২০২০, জিআর-৫৭৭/২০১৯ মামলার শুনানি শেষে পরবর্তী ধার্য তারিখ পর্যন্ত ফরিদুলকে জামিন দেন যুগ্ম জেলা জজ ১ম আদালতের বিচারক মাহমুদুল হাসান। কক্সবাজার জেলা বারের সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট আবুল কালাম ছিদ্দিকী, সিনিয়র আইনজীবী মোহাম্মদ আবদুল মন্নান ও অ্যাডভোকেট রেজাউল করিম রেজা মামলার শুনানিতে অংশ নেন। মামলাটির বাদী ছিলেন টেকনাফের হোয়াইক্যংয়ের বাসিন্দা আবুল কালাম আজাদ। ফরিদুল মোস্তফা খানের আইনজীবী মোহাম্মদ আবদুল মন্নান বলেন, জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমাইল ফৌজদারি মিস মামলার মূলে জিআর ১০২৫/২০১৯, (অবৈধ দুটি অস্ত্র ও ৫ রাউন্ড গুলি) এবং জিআর ১০২৬/২০১৯ (৪ হাজার পিস ইয়াবা) পুলিশের সাজানো মামলা দুটি শুনানি শেষে বুধবার সাংবাদিক ফরিদুলকে জামিন দেন বিচারক। এ মামলা দুটি ২০১৯ সালের ২২ সেপ্টেম্বর ফরিদুলের বিরুদ্ধে কক্সবাজার সদর মডেল থানায় দায়ের করেছিল পুলিশ। এর আগে গত ১ মার্চ জিআর ১০২৭/২০১৯ (বিদেশি মদ উদ্ধার) মামলায় জামিন দেন একই আদালত। পারিবারিক সূত্র জানায়, ২০১৯ সালের ২১ সেপ্টেম্বর রাজধানীর মিরপুরের বাসা থেকে সাংবাদিক ফরিদুল মোস্তফা খানকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এরপর কক্সবাজার শহরের সমিতিপাড়ার বাড়িতে কথিত অভিযান চালানো হয়। ওই সময় গুলিসহ দুটি অস্ত্র, চার হাজার ইয়াবা ও বিপুল পরিমাণ বিদেশী মদের বোতল উদ্ধার দেখায় পুলিশ। কিন্তু এর অনেক আগেই ভিটে বাড়িটি বিক্রি করে দেয়া হয়েছিল। গত বছরের ৩০ জুন ফরিদুল মোস্তফার বিরুদ্ধে টেকনাফ থানায় চাঁদাবাজি মামলা হলে আত্মরক্ষায় ঢাকায় আত্মগোপনে চলে যান তিনি।

তখন নিরাপত্তা চেয়ে প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, পুলিশের মহাপরিদর্শক বরাবর গত বছরের ২৮ জুলাই পৃথক আবেদনও করেন। সাংবাদিক ফরিদের পরিবারের দাবি, ওই আবেদনের তদন্ত না করে উল্টো টেকনাফ থানা ও কক্সবাজার সদর থানা পুলিশের একটি বিশেষ টিম মিরপুর থানার পুলিশের সহায়তায় ‘ওয়ারেন্ট’ দেখিয়ে তাকে গ্রেফতার করে। আইন অনুযায়ী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কারাগারে না পাঠিয়ে অমানবিকভাবে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালায়।

বে অব বেঙ্গল নিউজ - Bay of Bengal News

বে অব বেঙ্গল নিউজ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *