চট্টগ্রামসকল সংবাদস্বাস্থ্য

এখানে কোন টেস্ট নাই, সব টেস্ট বাহিরেঃ চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল (ভিডিও)

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল (চমেক) এ রোগী ও স্বজনদের লাঞ্চনা-বঞ্চনা বাড়ছে।সীমাহীন দুর্ভোগ, লাগামহীন দুর্নীতি। এমন অভিযোগে একটি (গোপনে করা) ভিডিও ভাইরাল হয়ে পড়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।

ভিডিওতে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসলাতালের ডিউটিরত একজন কর্মকর্তা একজন রোগীর স্বজনকে বলছেন ”এখানে কোন টেস্ট নাই, সব টেস্ট বাহিরে।”
এমন অহরহ অভিযোগ চমেক হাসপাতালের সেবার বিরুদ্ধে। অথচ চমেকে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির মেডিকেল রয়েছে।

ভাইরাল ওই ভিডিও’র স্ট্যাটাস এ ক্ষোভ প্রকাশ করে লিখাঃ
চট্টগ্রাম মেডিকেলে জরুরী বিভাগে রোগী নিয়ে যাওয়ার সাথে সাথে টিকেট নিতে হবে। টিকেট ১০টাকা, টিকেট নেওয়ার পর, যদি রোগী ভর্তি করতে হয়। লিখা ১৫টাকা কিন্তু টিকেট ২০টাকা। টিকেট নেওয়ার পর রোগীকে হুইল চেয়ারে করে ওয়ার্ডে নিয়ে গেলে ১০০টাকা, আর রোগীর অবস্থা খারাপ হলে ট্রলি দিয়ে নিতে ২০০টাকা,ওয়ার্ডে নিয়ে যাওয়ার পর রোগীর সাথে ১জনের বেশি প্রবেশ করলে জন প্রতি ২০টাকা, ৫০টাকা হলে বেড আছে। না হয় মাটিতে। রোগী ভর্তি শেষ। এবার ডাক্তারের পালা। ডাক্তার আসবে রোগী দেখবে।তারপর শুরু হবে পরিক্ষা। প্রথমে কমপক্ষে ৪টি পরিক্ষা সাথে ১বস্তা স্যালাইন ও কিছু ঔষধ। পরিক্ষার রিপোর্ট আসা পর্যন্ত স্যালাইন আর ঔষধ চলবে।

রিপোর্ট আসার পর আরেক ডাক্তার আসবে সে দেখে আবার অন্য পরিক্ষা দিবে।এভাবে প্রতিদিন ডাক্তার পরিবর্তন হবে আর একটার পর একটা পরিক্ষা দিবে।পরীক্ষা করাতে হুইলচেয়ারে নিয়ে গেলে ১০০টাকা আর ট্রলিতে নেওয়া লাগলে ২০০টাকা ওয়ার্ড বয়কে দিতে হবে। আর প্রতিদিন নতুন নতুন ঔষধ যোগ হবে।প্রতিদিন রোগীর সাথে দেখা করতে আসলে দারোয়ানকে খুশি করতে হবে।সব পরীক্ষা শেষ। এবার অপারেশন এর পালা।অপারেশন করতে ৬০০০ থেকে ৭০০০ টাকার ঔষধ কিনে ডাক্তারের হাতে দিতে হবে। যাহা অফেরতযোগ্য।অপারেশনে যদি রোগী মারা যায়। টাকা এবং মানুষ সব শেষ। হাতে ভিক্ষার বাটি।

আর অপারেশন যদি সাক্সেস হয়।অপারেশন থিয়েটারের বয়কে খুশি করতে হবে।দারোয়ানকে খুশি করতে হবে। এবং প্রতিদিন ড্রেসিং করার জন্য ও খাওয়ার ঔষধ কিনতে হবে রোগী সুস্থ্য। এবার রিলিস দেওয়ার পালা।নার্সকে খুশি করতে হবে। দারোয়ানকে খুশি করতে হবে। ওয়ার্ড বয়কে খুশি করতে হবে। সবাইকে খুশি করে লেংটা হয়ে হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। তারপর বাহিরে এসে দেখবেন জাতির সেই ব্যানার ঝুলে আছে,আমি ও আমরা সবাই সাধু!!

রোগী ওই স্বজনের সাথে বে অব বেঙ্গল  নিউজ  যোগাযোগ করলে তিনি জানান, আমি নিজে গত কিছুদিন আগে আব্বুকে নিয়ে মেডিকেলে ছিলাম তখন টেস্টগুলো করানোর জন্য ব্লাড ব্যাংকে গিয়েছিলাম সেই মুহূর্তে আমি ভিডিওটা করেছিলাম।

তিনি আরো বলেন, ‌চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সীমাহীন দূর্নীতি আমাদের প্রাপ্য সেবা থেকে আমাদের বঞ্চিত করছে।তাদের ব্যবহার অশোভনী,যেন কেউ কথা বলতে না পারে।তারা সব টেস্ট বাহির থেকে অর্থ্যাৎ প্রাইভেট  ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও প্রাইভেট ল্যাবের নাম লিখে দেয়।সরকারি হাসপাতালে এ সেবা নাই এমন বলে দেয় সরাসরি; এমনকি ব্লাড টেস্ট এর মতন সাধারণ সেবাও। আমার আব্বুকে নিয়ে আমি অনেকদিন ছিলাম। বেশি অত্যাচার।আমি প্রতিবাদ জানিয়েছি।বেশিরভাগ মানুষই প্রতিবাদ জানায় না।আর প্রতিবাদ করেও প্রতিকার পাওয়া দূর্লভ।

‌অভিযোগ করা রোগীর স্বজন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত একজন শিক্ষার্থী।

আরসি/ বে অব বেঙ্গল নিউজ/ Bay of Bengal news/ স্টাফ রিপোর্টার

বে অব বেঙ্গল নিউজ - Bay of Bengal News

বে অব বেঙ্গল নিউজ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *