এইচএসসি পরীক্ষার জন্য শিক্ষার্থীদের দেওয়া রেজিস্ট্রেশন ফি ফেরত দেয়ার কোনো সুযোগ নেই…

বুধবার (৭ অক্টোবর) এ সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছিলেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি জানিয়েছেন বছর সরাসরি উচ্চ মাধ্যমিক (এইচএসসি) বা সমমান পরীক্ষা হবে না।জেএসসি-এসএসসি পরীক্ষার ভিত্তিতে শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন করা হবে।

এর পর প্রশ্ন উঠেছিল, শিক্ষার্থীরা এইচএসসি পরীক্ষার ফরম পূরণের টাকা ফেরত পাবেন কিনা এ বিষয়ে।ইতিমধ্যে, অনেক শিক্ষার্থী-অভিভাবক ফরম পূরণের টাকা ফেরত দেয়ার দাবি তুলেছেন। তবে আন্তঃশিক্ষা সমন্বয় বোর্ড জানিয়েছে, এ অর্থ নানা খাতে ব্যয় হয়েছে বিধায় তা আর ফেরত দেয়া সম্ভব নয়।

তথ্য মতে জানা গেছে, এইচএসসির পরীক্ষার ফরম পূরণের জন্য গত বছরের নভেম্বরে পরীক্ষার কেন্দ্র ফি সহ বিজ্ঞানের শিক্ষার্থীদের থেকে জন প্রতি ২৫০০ টাকা করে নেওয়া হয়েছিল। এইচএসসির পরীক্ষার মানবিক ও বাণিজ্য শাখার শিক্ষার্থীদের থেকে জন প্রতি ১৯৪০ টাকা করে ফি দিতে হয়েছিল। এর মধ্যে বিজ্ঞানের শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে কেন্দ্র ফি ও ব্যবহারিক ফি বাবদ জন প্রতি ৮০৫ টাকা করে। এবং মানবিক ও বাণিজ্যের শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে জন প্রতি ৪৪৫ টাকা করে ফি নেয়া হয়েছিল বলে জানা যায়।

কেন্দ্রের ফি থেকে ট্যাগ অফিসারের সম্মানীসহ অন্যান্য ব্যয় নির্বাহ করতে বলা হয়ছিল। কিন্তু যাদের ব্যবহারিক বিষয় আছে তাদের টাকার সঙ্গে প্রতি পত্রের জন্য আরও ২৫ টাকা করে দিতে হয়েছিল।

এছাড়া,এইচএসসির ব্যবহারিক পরীক্ষার উত্তরপত্র মূল্যায়নের জন্য অভ্যন্তরীণ পরীক্ষক এবং বহিরাগত পরীক্ষকের জন্য শিক্ষার্থীদের থেকে পত্র প্রতি ২৫ টাকা করে কেটে নেয়া হয়েছিল বলে জানা গেছে।

এছাড়া আরো জানা যায়, এইচএসসির পরীক্ষার ফরম পূরণের জন্য একজন নিয়মিত শিক্ষার্থীকে প্রতি পত্রের জন্য ১০০ টাকা ও ব্যবহারিক প্রতি পত্রের জন্য ২৫ টাকা। এছাড়া একাডেমিক ট্রান্সক্রিপ্ট ফি বাবদ জন প্রতি ৫০ টাকা করে, সনদ ফি বাবদ জন প্রতি ১০০ টাকা করে দিতে হয়েছিল।এছাড়া রোভার স্কাউট বা গার্লস গাইড ফি বাবদ জন প্রতি ১৫ টাকা এবং জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ ফি বাবদ জন প্রতি ৫ টাকা করে দিতে হয়েছিল বলে জানা যায়।

শিক্ষার্থীরা এসএসসি পরীক্ষার ফরম পূরণের টাকা ফেরত পাবে কিনা এই ব্যাপারে জানতে চাইলে গণমাধ্যমকে আন্তঃশিক্ষা সমন্বয় বোর্ডের সভাপতি ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মু. জিয়াউল হক জানিয়েছেন, এইচএসসি পরীক্ষার জন্য শিক্ষার্থীদের দেওয়া রেজিস্ট্রেশন ফি ফেরত দেয়ার কোনো সুযোগ নেই।

তিনি আরো জানান, এইচএসসি পরীক্ষা নেয়ার সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছিল ও প্রশ্নপত্র-উত্তরপত্র বা ওএমআর সিট তৈরি করার জন্য এবং পরীক্ষার সময়সূচিসহ সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছিল। এতে অনেক অর্থ ব্যয় হয়েছে। এইচএসসির পরীক্ষার শিক্ষার্থীদের রেজিস্ট্রেশন থেকে পাওয়া অর্থ দিয়েই এসব কাজ করতে হয়েছে বলে জানান অধ্যাপক মু. জিয়াউল হক।

এসি/বে অব বেঙ্গল নিউজ/স্টাফ রিপোর্টার।