চট্টগ্রামসকল সংবাদ

রাজধানীতে র‌্যাবের সোর্স হত্যা মামলায় ২ আসামীর স্বীকারোক্তি…

রাজধানীর আগারগাঁওয়ে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‌্যাব) সোর্স কাশেম হত্যা মামলায় দু’জন দোষ স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন। আসামিরা হলেন- জাহাঙ্গীর হোসেন রাতুল ও ইব্রাহিম হোসেন রুবেল।

রাজধানীতে র‌্যাবের সোর্স হত্যা মামলায় ২ আসামীর স্বীকারোক্তি...
চিত্রঃ কাশেম হত্যা মামলার ৪ আসামি। (সংগৃহীত)

এছাড়া মামলার অপর দুই আসামি মাসুদ ও রেজাউলের তিন দিনের করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (১০ সেপ্টেম্বর) মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শেরেবাংলা নগর থানার এসআই আশিক রহমান গ্রেফতারকৃত আসামিদের আদালতে হাজির করেন। এ সময় রাতুল ও রুবেল স্বেচ্ছায় ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে সম্মত হওয়ায় তা রেকর্ডের আবেদন করেন তিনি।

অন্যদিকে মাসুদ ও রেজাউল করিমের সাত দিনের করে রিমান্ড আবেদন করেন তিনি।

ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শাহিনুর রহমান দুই আসামির জবানবন্দি রেকর্ড করেন এবং অন্য একজন বিচারক অপর দুই আসামির তিন দিনের করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

পূর্বে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা ও পটুয়াখালীতে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করে শেরে বাংলা নগর থানা পুলিশ। এ সময় তাদের কাছ থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত একটি সুইচ গিয়ার ছুরিও উদ্ধার করা হয়।

বিস্তারিত জানা যায়, গত ১ সেপ্টেম্বর প্রায় ১১শ’ গ্রাম গাঁজাসহ র‌্যাবের হাতে গ্রেফতার হন এক নারী মাদক ব্যবসায়ী ও তার ছেলে। সে নারী মাদক ব্যাবসায়ীর সাথে অনৈতিক সম্পর্ক ছিল মামলার আসামি রাতুলের।

গ্রেফতারকৃত নারী ধরা পড়ার পেছনে সোর্স কাশেম ওরফে কাইশ্যার (৩৫) হাত রয়েছে এমন ধারণার জের ধরেই কাশেমকে সুপরিকল্পিতভাবে হত্যার পরিকল্পনা করেন রাতুল। এবং গত ৫ সেপ্টেম্বর পরিকল্পনা অনুযায়ী কাশেমকে খুন করা হয়।

এব্যাপারে ডিসি হারুন বলেন, গত ৫ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় রাতুল মামাতো ভাই রেজাউলের সঙ্গে আড্ডা দিচ্ছিলেন পূর্ব-পরিচিত রুবেলের দোকানে। আড্ডার মাঝে এসে যোগ দেন রিকশাচালক মাসুদ। কথা প্রসঙ্গে কাশেমকে শিক্ষা দেওয়ার পরিকল্পনা করেন তারা।

এরপর রাতুল ও রুবেলের মোটরসাইকেলে করে চারজন মিলে খুঁজতে থাকেন কাশেমকে। এক পর্যায়ে উড়োজাহাজ ক্রসিং এলাকায় তারা কাশেমকে পেয়ে যান। ধারালো সুইচ গিয়ার বের করে ধাওয়া দিলে প্রাণ ভয়ে কাশেম দৌড়াতে থাকেন।

পরে পরিকল্পনা কমিশনের সামনের ফুটপাথে কাশেমকে ধরে ফেলেন তারা। সেখানেই সুইচ গিয়ার দিয়ে কাশেমকে উপর্যুপরি আঘাত করে তারা। এবং তাকে ওই অবস্থাতে ছেড়ে স্থান ত্যাগ করে তারা।

এরপর পথচারীরা উদ্ধার করে তাকে সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক কাশেমকে মৃত ঘোষণা করেন।

ঘটনার পরদিন ৬ সেপ্টেম্বর নিহতের স্ত্রী নাহার বাদী হয়ে শেরেবাংলা নগর থানায় এ ব্যাপারে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

ওয়াইএইচ / বিবিএন।

বে অব বেঙ্গল নিউজ - Bay of Bengal News

বে অব বেঙ্গল নিউজ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *