সারাদেশসকল সংবাদ

অবিলম্বে গ্রেফতার হয়রানি বন্ধ করুন || সংঘাতে যেতে চায় না হেফাজত || বাবুনগরী

হেফাজতে ইসলামের নেতাকর্মী, হক্কানী ওলামায়ে কেরাম, বুজুর্গানে দ্বীন, ছাত্রজনতা, তৌহিদী জনতাকে বেধড়কভাবে হয়রানি গ্রেফতার করা হচ্ছে দাবি করে হেফাজতে ইসলামের আমির আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী বলেছেন, মিথ্যা মামলা দিয়ে আমাদের যেসব ওলামায়ে কেরামসহ নির্দোষ মানুষকে গ্রেফতার করা হয়েছে তাদের অবিলম্বে নিঃশর্তে মুক্তি দান করুন।
অবিলম্বে গ্রেফতার হয়রানি বন্ধ করুন || সংঘাতে যেতে চায় না হেফাজত || বাবুনগরী
অবিলম্বে গ্রেফতার হয়রানি বন্ধ করুন || সংঘাতে যেতে চায় না হেফাজত || বাবুনগরী

সোমবার (১৯ এপ্রিল) রাতে নিজের ভেরিফাইড ফেসবুক পেইজ থেকে লাইভে এসে এসব কথা বলেন আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী।

বাবুনগরী বলেন, হেফাজতে ইসলামের উদ্দেশ্য কাউকে ক্ষমতায় বসানো বা ক্ষমতা থেকে নামানো নয়। নাউজুবিল্লাহ, এটা ডাহা মিথ্যাচার।

জনগণ এবং সরকারকে আমি বলবো আপনারা এসমস্ত গুজবে কান দেবেন না। হেফাজতে ইসলাম ২০১০ সালে প্রতিষ্ঠা লাভ করেছে।

এখন ২০২১, এই ১১ বছরে কেউ প্রমাণ দিতে পারবে না অমুক পার্টির সঙ্গে হেফাজতের সম্পর্ক ছিল। আমি হেফাজতে ইসলামের অবস্থান ক্লিয়ার করলাম।

এসব কিছুর পরে প্রশাসন মাহে রমজানে হেফাজতে ইসলামের নেতাকর্মী, হক্কানী ওলামায়ে কেরামদের বুজুর্গানে দ্বীন, দেশের ছাত্রজনতা, তৌহিদী জনতাকে হয়রানি করছে। এভাবে দেশ চলতে পারে না।

বাবুনগরী বলেন, হাটহাজারী মাদরাসার আশেপাশে কেউ ঘরে নাই। তারা এসব আন্দোলনে ছিল না। কিন্তু তারা ঘরে থাকতে পারে না। সব ঘর খালি।

মিথ্যা মামলা দিয়ে আমাদের যেসব ওলামায়ে কেরামসহ নির্দোষ মানুষকে গ্রেফতার করা হয়েছে তাদের অবিলম্বে নিঃশর্তে মুক্তি দান করুন।  

বাবুনগরী আরো বলেন, বড় বড় আলেম মাওলানা জুনায়েদ আল হাবিব, মাওলানা মামুনুল হক, মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাদী, মুফতি সাখাওয়াত হোসেন রাজি, মাওলানা মনজুরুল ইসলাম আফেন্দি, মুফতি ইলিয়াস হামিদীসহ ওলামায়ে কেরাম, তৌহিদী জনতা, ছাত্রজনতাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সারারাত বাহিরে বাহিরে ঘুরে, ঘরে আসতে পারে না। গ্রেফতার হয়রানির ভয়ে। সেহরির সময়, ইফতারির সময় ঘরে আসে তখন ধরে নিয়ে যায়।

মদিনানগর মোহাদ্দেস মাওলানা মুফতি বশির উল্লাহকে তারাবীর নামাজ পড়ার সময় ধরে নিয়ে গেছে। কেমন হয়রানি, কেমন নির্যাতন। এভাবেতো দেশ চলতে পারে না।  

দেশাবাসী, হেফাজতের নেতাকর্মী, তৌহিদী জনতার উদ্দেশে বাবুনগরী বলেন, আপনারা সবুর করুন, কোনো সংঘাত, ভাঙচুর জ্বালাও পোড়াও করবেন না। হেফাজত জালাও পোড়াওতে বিশ্বাস করে না। বরং হারাম মনে করে। আপনারা সবুর করুন।

হেফাজতে ইসলামের নেতাকর্মীদের ধৈর্য ধারণ করার নির্দেশনা দিয়েছেন দলটির আমির জুনায়েদ বাবুনগরী।

হেফাজতের আমির বাবুনগরী বলেন, শুধু দুনিয়ার হায়াত নয়, আসল হায়াত শুরু হবে মৃত্যুর পর থেকে। কবরের হায়াত, হাশরের হায়াত, আখেরাতের হায়াত, বেহেস্তের হায়াত। নিরাশ হবেন না। হতাশ হবেন না। হিম্মত, সাহস রাখুন, বালা মুসিবত বিপদের ওপর ধৈর্য ধারণ করুন। খবরদার কোনও ভাঙচুর করবেন না। জ্বালাও পোড়াও করবেন না। সংঘাতে যাবেন না।’
একটি হাদিসের উদ্ধৃতি দিয়ে জুনায়েদ বাবুনগরী বলেন, ‌‘এটাতো হযরত আদম (আ.) এর যুগ থেকে চলে আসতেছে। যাদের ঈমান আকিদা বেশি মজবুত তাদের ওপর আল্লাহর পক্ষ থেকে পরীক্ষাও শক্ত হয়। বিপদও শক্ত আছে। নবীগণের দ্বীন ও ঈমান সবচেয়ে বেশি শক্ত ছিল, তাই নবীরা বেশি বিপদের শিকার হয়েছেন। এরপর সাহাবায়ে কেরাম, তাদের দ্বীন ও ঈমান শক্ত ছিল বিধায় তারাও নবীদের পরে বেশি বিপদের মুখোমুখি হয়েছেন। এভাবে সিলসিলা চলতে থাকবে।’

বাবুনগরী বলেন, গত ২৬ মার্চ শুক্রবার কিছু দুর্ঘটনা হয়েছে। অথচ ২৬ মার্চ হেফাজতে ইসলামের কোনো কর্মসূচি ছিল না। আমাদের কোনো কমান্ড ছিল না। আমি নিজে হাটহাজারী মাদরাসায় ছিলাম না। দূরে সফরে ছিলাম।

এর আগে, বায়তুল মোকাররমেও কিছু মুসল্লি কেরামের মাজখানে কিছু অঘটন হয়েছে। ক্যাডাররা মুসল্লিদের মারধর করেছে। বায়তুল মোকাররম মসজিদের ভেতরে। এরপরে হাটহাজারীর ঘটনা ঘটেছে। যার জন্যে আমরা দুঃখিত। আবার ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়ও কিছু দুর্ঘটনা ঘটেছে।
এছাড়া বাবুনগরী বলেন, এসব কোনো ঘটনায় হেফাজতে ইসলামের কোনো কর্মসূচি ছিল না। কোনো কমান্ড ছিল না। ভারত প্রধান মোদি আসা উপলক্ষ্যে আমাদের হেফাজতে ইসলামের কোনো কর্মসূচি ছিল না। কিছু কিছু বক্তারা বক্তৃতায় কিছু বললেও হেফাজতের কোনো কর্মসূচি ছিল না। এ হলো হেফাজতের অবস্থান।
হেফাজত শান্তিশৃঙ্খলা চায়। সংঘাতে যেতে চায় না। হেফাজতে ইসলামের উদ্দেশ্য আল্লাহর জমিনে মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহর এজেন্ডা বাস্তবায়ন করা। কিছু কুচক্রি মহল নানা প্রকারে এসমস্ত গুজব রটাচ্ছে। সরকারের প্রতি আমার অনুরোধ আপনারা এসব গুজবে কান দেবেন না।

বে অব বেঙ্গল নিউজ / Bay of bengal news

বে অব বেঙ্গল নিউজ - Bay of Bengal News

বে অব বেঙ্গল নিউজ