শিক্ষাঙ্গণচট্টগ্রামসকল সংবাদ

দরিদ্র মানুষের পাশে এসে দাঁড়ালেন চট্টগ্রামে: ভিশণ হান্টার্স গ্রুপ

চট্টগ্রাম: করোনার প্রভাবে অনেক দরিদ্র মানুষেরই এখন আয় রোজগার নেই। কষ্টের মাধ্যে জীবন যাপন করে যাচ্ছে হাজারো মানুষ। এইবার কিছু দরিদ্র মানুষের পাশে এসে দাঁড়ালেন চট্টগ্রাম পোর্ট সিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষার্থী দ্বারা প্রতিষ্ঠিত “ভিশন হান্টার্স গ্রুপ”।

দরিদ্র মানুষের পাশে এসে দাঁড়ালেন চট্টগ্রামে: ভিশণ হান্টার্স গ্রুপ
দরিদ্র মানুষের পাশে এসে দাঁড়ালেন চট্টগ্রামে: ভিশণ হান্টার্স গ্রুপ

মঙ্গলবার ভিশন হান্টার্স গ্রুপ এর পক্ষ থেকে সাধ্য অনু্যায়ী কিছু নতুন কাপড় চোপড় উপহার হিসেবে চট্টগ্রাম দেওয়ান বাজার, শান্তি নগর, বগারবিলে ১০০টি দরিদ্র মানুষের মাঝে প্রদান করা হয়।

এর আগেও বিভিন্ন অসহায় মানুষদের সাহায্যে এগিয়ে এসেছেন এই ভিশন হান্টার্স গ্রুপটি। ৩১ সদস্য বিশিষ্ট এই গ্রুপের কমিটির সবাই চট্টগ্রামের পোর্ট সিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র।

এই সময়ে উপস্থিত ভিশন হান্টার্স গ্রুপ এর সভাপতি কাজী হাসিবুল ইসলাম রকি তার বক্তব্যে বলেন প্রতিবারের মতো এই মহামারি করোনার সময় নিজের সাধ্য মতো সাধারণ মানুষদের পাশে এইভাবেই পাশে থাকতে চান। সাধারণ সম্পাদক সৈকত বিশ্বাস তার বক্তব্যে বলেন সংগঠন তার নিজ উদ্যোগে এইভাবে দরিদ্র মানুষদের সেবা এবং ভালোবাসা দিয়ে নিয়ে এগিয়ে যেতে চাই।

সাংগঠনিক সম্পাদক নাইমুল হাসান শিহাব তার বক্তব্যে বলেন একটি সমাজ দেশ পরিবর্তনের পিছনে শুধু ধনী ব্যক্তিদের নয় যুব সমাজের ও হাত রয়েছে। একটি যুব সমাজ সমাজকে একটি সুন্দর পরিবেশ উপহার দিতে পারে।এক একটি সমাজ সফল হওয়ার পিছনে যুব সমাজের ভূমিকা অপরিসীম। আজ আমরা ভিশন হান্টার্স গ্রুপ যেমন এগিয়ে এসেছি তেমিনি আমাদের এই সংগঠনের দেখাদেখি হাজারো সংগঠন এগিয়ে আসবে বলে মনে করেন ভিশন হান্টার্স গ্রুপ এর সাংগঠনিক সম্পাদক ও সহ-সভাপতি নরুল আবছার সাগর সহ গ্রুপের অন্যান্য সদস্যরা।

আরো উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট ব্যাবসায়ী আক্তার হোসেন,১৭নং ওয়ার্ড যুবলীগের আজাদ, উপস্থিত ছিলেন বন বিভাগের বাপন সেন, বিশেষ সহযোগিতায় ছিলেন প্রবাসী মিজানুর রহমান।

এছাড়াও আরো উপস্থিত ছিলেন সাকিব, বাপ্পি,রনি,লিমন,তানভীর, শুভ রয়, আজিজ, আরমান, রিফাত, সানি, হিমু, সৈকত, পার্থ, রাসেল, আসিফ, শফিকুল প্রমুখ

সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে বে অফ বেঙ্গল নিউজ জিজ্ঞেস করলে, উক্ত কর্মসূচি নিয়ে তাদের প্রত্যাশা কি?
তারা বলেন মহামারীর কারণে প্রতিটি শ্রেণীর মানুষের মধ্যে স্বাভাবিক জীবন যাপন করাটা অনেকটা কষ্টকর। উৎসব বলতে তাদের জীবনে কিছু নেই, নতুন কাপড় চোপড় নেই, নেই ভালো খাবার খাওয়ার ক্ষমতা। তাদের কাছে উৎসব কেবলই একটি শব্দ। তাই আমরা তাদের উৎসবের আমেজ অনুভব করাতে না পারলেও উৎসবের সময় যাতে আমাদের অল্প সহযোগিতায় তারা ভাল কাপড় পরিধান করতে পারে, ঐ চেষ্টাই আমরা চালিয়ে যাচ্ছি।

বে অব বেঙ্গল নিউজ - Bay of Bengal News

বে অব বেঙ্গল নিউজ