সকল সংবাদ

বিএনপি নেত্রীর চাঁদাবাজির মামলায় ডাঃ শাহাদাতের রিমান্ড নাকচ । ডিভিশনের সুবিধা দেয়ার নির্দেশ

বিএনপি নেত্রীর চাঁদাবাজির মামলায় গ্রেপ্তার চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক ডাঃ শাহাদাত হোসনকে ১০ দিনের রিমান্ডে চেয়েছিল পুলিশ। তবে আদালত সেই আবেদন নাকচ করে উল্টো তাকে কারাগারে ডিভিশন দেওয়ার আদেশ দিয়েছেন। 

বুধবার (৩১ মার্চ) চট্টগ্রাম মহানগর হাকিম মহিউদ্দীন মুরাদের আদালত এ আদেশ দেন।

বিএনপি নেত্রীর চাঁদাবাজির মামলায় ডাঃ শাহাদাতের রিমান্ড নাকচ । ডিভিশনের সুবিধা দেয়ার নির্দেশ
বিএনপি নেত্রীর চাঁদাবাজির মামলায় ডা. শাহাদতকে রিমান্ড নাকচ , ডিভিশনের সুবিধা দিতে নির্দেশ

একই আদালতে কোতোয়ালী থানার নাশকতার মামলায় সাত দিনের রিমান্ড আবেদনের শুনানি শেষে বিএনপির কারাবন্দী ১১ নেতাকর্মীকে এক দিনের রিমান্ডে নেওয়ার অনুমতি পায় পুলিশ। তবে একই মামলায় গ্রেপ্তার পাঁচ নেত্রীর রিমান্ড মঞ্জুর করেননি আদালত। 

আসামিদের আইনজীবী বদরুল আনোয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘আদালত ডাঃ শাহাদাতের রিমান্ড না মঞ্জুর করেছেন। একই সঙ্গে আমাদের করা আবেদনে তাকে কারাগারে ডিভিশন বন্দীর সুযোগ-সুবিধা দিতে নির্দেশ দিয়েছেন। 

গতকাল মঙ্গলবার ডাঃ শাহাদাতসহ আসামিদের আদালতে হাজির করে রিমান্ডের আবেদন করেছিল পুলিশ। আদালত আজকে সে বিষয়ে শুনানির সময় দিয়ে প্রত্যেককে কারাগারে পাঠিয়েছিলেন। 

গত সোমবার (২৯ মার্চ) দুপুর ৩টা থেকে মোদিবিরোধী বিক্ষোভে হেফাজত-পুলিশ সংঘর্ষের প্রতিবাদে বিএনপি যে কর্মসূচি দিয়েছে তা পালন করতে এসে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়েছিল বিএনপি। এ সময় ককটেলবাজি, অগ্নিসংযোগের পাশাপাশি পুলিশের ওপরও হামলার অভিযোগ রয়েছে বিএনপির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে। 

তাদের হামলা থেকে বাদ যায়নি পুলিশ বক্স, পুলিশের নিরাপত্তার কাজে ব্যবহৃত ঢাল ও স্বয়ং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরাও— এমন দাবি পুলিশের। 

ওই হামলার পর নগর বিএনপির আহ্বায়ক ডা. শাহাদাতসহ ১৮ নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ওই দিন গভীর রাতে সংঘর্ষের ঘটনায় দু’টি মামলা দায়ের করা হয়। একটি কোতোয়ালী থানা পুলিশের পক্ষ থেকে অন্যটি ট্রাফিক বিভাগের পক্ষ থেকে। 

প্রত্যেক মামলাতেই নগর বিএনপির আহ্বায়ক ডাঃ শাহাদাত হোসেন, দক্ষিণ জেলার আহ্বায়ক আবু সুফিয়ান ও নগর কমিটির সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর, নগর যুবদলের সভাপতি-সেক্রেটারি, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি-সেক্রেটারি, ছাত্রদলের সভাপতি-সেক্রেটারিসহ নগর বিএনপির শীর্ষ ৫৮ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এ ছাড়া অজ্ঞাতনামা আরও ৫০ থেকে ৬০ জনকে আসামি করা হয়েছে। 

তবে ট্রাফিকের পুলিশ বক্সে হামলার ঘটনায় দায়ের মামলায় নাসিমন ভবন থেকে গ্রেপ্তার ১৫ জনকে আসামি না করে এজহার নামীয় আসামি করা হয়েছে ৪৩ জনকে।  

অন্যদিকে নগর বিএনপির মহিলা বিষয়ক সহ-সম্পাদক ডা. লুসি খান সিটি নির্বাচনের সময় কোটি টাকা চাঁদা দাবি করেছেন দাবি করে নগর বিএনপির আহ্বায়ক ডা. শাহাদাত হোসেনসহ তিনজনের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির মামলা দায়ের করেছিলেন চকবাজার থানায়। সেই মামলায় বর্তমানে কারাগারে আছেন ডা. শাহাদাত। তাকে কোতোয়ালীর দুই মামলায়ও গ্রেপ্তার দেখানো হবে বলে জানা গেছে।

বে অব বেঙ্গল নিউজ / BAY OF BENGAL NEWS

বে অব বেঙ্গল নিউজ - Bay of Bengal News

বে অব বেঙ্গল নিউজ