আন্তর্জাতিকসকল সংবাদ

গাঁজা পাতা খেয়ে আর নাই!!

গাঁজা পাতা খেয়ে আর নাই!!
ছবিঃ ফেসবুক হতে সংগৃহীত
গাঁজা পাতা খেয়ে আর নাই!!

 এক ঘটনা ঘটেছে কানাডার নিউ ব্রুন্সউইকের বাসিন্দা কলিন সুলিভানের বাড়িতে।
কানাডার ওই অঞ্চলে সামান্য পরিমাণে গাঁজা গাছের চাষ যেকোনও বাসিন্দাই নিজের বাড়ির বাগান অথবা টবে করতে পারেন। সরকার থেকেই এই বৈধতা দেয়া হয়েছে। সুলিভানও নিয়ম মেনেই নিজের জন্য বাড়িতে যত্ম করে গাঁজার গাছ পুঁতেছেন। মজার বিষয় হল, সুলিভান দু’দিন ধরেই লক্ষ্য করছিলেন একটা ইঁদুর এসে তার গাঁজা গাছের পাতা ঠুকরে ঠুকরে খাচ্ছে।

কলিন সুলিভানের শেয়ার করা ছবিগুলোয় দেখা যাচ্ছে ইঁদুরটির একটি খাঁচায় গাঁজা পাতার জঞ্জালে চিৎ হয়ে পড়ে থাকান্ডসহ ঠুকরে ঠুকরে তার গাঁজা পাতা খাওয়ার দৃশ্য। সুলিভানেরও দুষ্টু বুদ্ধি কম নয়, তিনিও ইঁদুরের সেই গাঁজা চুরি ও খেয়ে পড়ে থাকার ছবিগুলো ফেসবুকে ছেড়ে দিয়েছেন।


বেশ কয়েকটি শেয়ার করা ছবিগুলি নেটিজেনদের কাছেও হাসির খোরাক হয়েছে। ছবিগুলিতে দেখা যাচ্ছে গাঁজা পাতা চিবিয়ে ইঁদুরটি চিৎ হয়ে বেহুঁশ ভাবে পড়ে। আরও একটি শেয়ার করা ছবিতে দেখা গিয়েছে, সুলিভানের পুঁচকে সঙ্গীর গাঁজা পাতা খেয়ে ভালোরকমের নেশা হয়ে যাওয়ার দৃশ্য। ইঁদুরটি যে সেইসময় অন্য জগতে বিচরণ করছিল তা ছবিটিতে বেশ স্পষ্ট।

ছবিগুলি শেয়ার করে সুলিভান জানিয়েছেন, প্রতিদিন ইঁদুরটি ১টি করে মাঝারি সাইজের পাতা বেশ ভালোই খাচ্ছিল। সুলিভান নেশাপ্রেমী ইঁদুরের গাঁজা কেলেঙ্কারির কান্ড বেশ কয়েকটি পোস্টের মাধ্যমে ফেসবুকে শেয়ার করেছেন। ছবিগুলো শেয়ার করার সঙ্গে সুলিভান মজা করতেও ভোলেননি। তার কথায়, গাঁজা পাতার সঙ্গে ইঁদুরটি নাকি গাছের কান্ড এবং বীজও ঠুকরেছে। এরপরেই সেটার অবস্থা কাহিল হয়ে পড়েছিল। গাঁজা মূলত কাগজে পাকিয়ে নেশাখোররা টানে। তবে ইঁদুরটির এই পাতা চিবিয়ে খাওয়াকে সুলিভান ‘১২ স্টেপ চিপ’ পাওয়ার সম্মানের সঙ্গে তুলনা টেনেছেন। সুলিভান মজার ছলে জানিয়েছেন, ইঁদুরটিকে নাকি ওঠানোর জন্য তাঁকে সাহায্যই করতে হয়নি। সে নিজের থেকেই নাকি ঘুম থেকে উঠে খাঁচার থেকে বেরিয়ে এসেছে। সুলিভান তার ছোট্ট বন্ধুকে এই মনোবলের জন্য ভ‚য়সী প্রশংসা করতেও ভোলেননি। ইঁদুরটিকে ধীরে ধীরে সুস্থ করে তোলার পর জঙ্গলে ছেড়ে দেয়া হয়েছে।

সূত্র : নিউজ১৮

বে অব বেঙ্গল নিউজ

বে অব বেঙ্গল নিউজ - Bay of Bengal News

বে অব বেঙ্গল নিউজ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *