কাদের মির্জার বিরুদ্ধে তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ আদালতের
বসুরহাট পৌরসভা মেয়র কাদের মির্জার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার জন্যে কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

মঙ্গলবার (১৬ মার্চ) নোয়াখালীর ১নং সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট দ্রুত বিচার আদালতের বিচারক সোয়েব উদ্দিন খান নোয়াখালীর বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জাসহ পরস্পর বিরোধী দুই মামলায় ২৯৩ জনের বিরুদ্ধে ১০ দিনের মধ্যে তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণে আদেশ দিয়েছেন।
কাদের মির্জার আইনজীবী অ্যাডভোকেট হারুনর রশীদ হাওলাদর ও মিজানুর রহমান বাদলের আইনজীবী অ্যাডভোকেট শাহ মনজুরুল হাছান আদেশের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
প্রসঙ্গত, গত ৮ মার্চ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা খিজির হায়াত খানকে লাঞ্ছিত করা হয়। এই লাঞ্চিতের ঘটনায় তার স্ত্রী কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আরজুমান পারভীন বাদি হয়ে বসুরহাট পৌর মেয়র আবদুল কাদের মির্জাসহ ৯৭ জনের নাম উল্লেখ করে একটি মামলা করেছিলেন।
অপরদিকে একই সময়ে খিজির হায়াত খান কর্তৃক বসুরহাট পৌর মেয়র আবদুল কাদের মির্জার উপর হামলার কথা উল্লেখ আরেকটি মামলা করেছিলেন। ওই মামলায় ১৯৬ জনের নাম উল্লেখ করা হয় মামলাটি। কাদের মির্জার অনুসারী সিরাজপুর ২নং ওয়ার্ডের জিয়াউল হকের পুত্র ইকবাল হোসেন।
আদালত পরস্পর বিরোধী দুই মামলা গ্রহণ করেন ও কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে ১০ দিনের মধ্যে তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলার বাদি উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আরজুমান পারভীন সাংবাদিকদের জানান, প্রকাশ্যে সন্ত্রাসী নিয়ে হামলা চালিয়ে একজন মুক্তিযোদ্ধাকে আহত করেছেন কাদের মির্জা। আমি থানায় মামলা দিলেও কাদের মির্জার নাম দেখে মামলা নেয়নি পুলিশ। আদালতে মামলা করার পর তারা এখন আহত মুক্তিযোদ্ধার বিরুদ্ধে কাউন্টার মামলা দিয়ে ওসিকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।