পিতা-মাতার ছাত্র রাজনীতির প্রতি অনিহা- দ্বাদশ শ্রেণীর শিক্ষার্থীর লেখনিতে
নাছির ইসলাম শান্তঃ বর্তমান সময়ে রাজনীতি হচ্চে বহুল আলোচিত একটি বিষয়। একটা সময় বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ধারন করে সবাই সুস্থ রাজনীতি করতো,কিন্তু বর্তমানে বঙ্গবন্ধুর এই আদর্শকেই বিকৃত করে দুনীতির পথ বেছে নিয়েছে কিছু উচ্চপদস্থ রাজনীতিবিদরা। যার কারনে দেশে লুটপাট, সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজি, খুন ইত্যাদি অপকর্ম বেড়েই চলেছে।ফলে দুষিত হচ্ছে সুস্থ রাজনীতি, এর ফলে দেখা দিচ্ছে মানুষের মধ্যে রাজনীতিক অনিহা। মূখ্য হলো পিতা-মাতার তাদের সন্তানের ছাত্র রাজনীতির প্রতি অনিহা।

মানুষ সামাজিক জীব। বেঁচে থাকার জন্য মানুষকে প্রতিনিয়ত সমাজের সাথে-পরিবারের সাথে এমনকি নিজের ইচ্ছার সাথে যুদ্ধ করে চলতে হয়। সময় যতো যাচ্ছে মানুষ ততোই আপডেটেড হচ্ছে। একটা সময় মানুষের মৌলিক চাহিদা ছিলো খাদ্য ও পানি, কিন্তু সভ্যতার সাথে সাথে মানুষের মৌলিক চাহিদা বেড়ে গেছে। বাংলাদেশের সংবিধান মতে মৌলিক চাহিদা বলতে খাদ্য, বাসস্থান, ওষুধ শিক্ষা, পোশাক ইত্যাদি বুঝায়। কিন্তু এর বাহিরেও মানুষের কিছু গুরুত্বপূর্ণ মৌলিক চাহিদা আছে যা হয়তো বইয়ের পাতায় এখনো স্পষ্ট উল্লেখ করা হয়নি বা ঠিক ভাবে প্রকাশ পায় নি।
বর্তমান পরিস্থিতিতে খেলাধুলা, প্রযুক্তি, রাজনীতি ও একধরনের মৌলিক চাহিদায় রুপান্তরিত হয়েছে। খেলাধুলা আর প্রযুক্তি এই দুইটা জিনিস সবাই সমান ভাবে ব্যাবহার করতে পারলেও রাজনীতিটা কিন্তু ব্যাবহার করতে পারে না, বিশেষ করে মধ্যেবিত্ত ছেলেদের ক্ষেত্রে উপরের সব গুলো মৌলিক চাহিদা বাবা/মা পূরন করলেও ছাত্র রাজনীতি নিয়ে কিন্তু পিতা/মাতার একটা অনিহা থেকেই যায়।
সন্তান কে ছাত্র রাজনীতি করা নিয়ে সাপোর্ট করা তো দূরের কথা উল্টা ছাত্র রাজনীতি করতে অনেক রকম বাধা দেওয়া হয়।বর্তমান পেক্ষাপটে কোনো পিতা-মাতাই চায় না তাদের সন্তান রাজনীতি করুক। এই মনোভাবকে এক প্রকার অনিহা বলা যায়। ছাত্র রাজনীতির প্রতি পিতা-মাতার এমন অনিহা কেনো সেটা নিয়ে আজকের এই লেখা।
অনিহা মানে কি?? সাধারনত অনিহা বলতে আমরা অনিচ্ছা, বাধা, অসম্মতি, অপ্রবৃত্তি, প্রতিরোধ, অনাগ্রহ এসব বুঝি। বর্তমানে রাজনীতির বেহালদশা দেখে কোনো পিতা-মাতাই চায় না তার সন্তান ছাত্র রাজনীতি করুক। বিশেষ করে এই সমস্যাটা মধ্যেবিত্ত পরিবারের ছেলেদের ক্ষেত্রে বেশি। এর প্রধান করান হচ্ছে দুনীতি।
বর্তমানে রাজনীতির যের ধরে দেশে চলছে লুটপাট, সন্ত্রাসী, ডাকাতি, ছিনতাই, মারামারি এমনকি খুনও। প্রতিনিয়ত এরকম খবর দেখতে ও শুনতে শুনতে মানুষের মনে একটা ভয় কাজ করছে। আর এই ভয় থেকেই ছাত্র রাজনীতির প্রতি মধ্যবিত্ত পরিবারের পিতা/মাতার অনিহা।
এ নিয়ে আমি আমার সমবয়সী কয়েকজন সহপাঠীর সাথে কথা বলি, তাদের অনেকের মতামত জানাত চেষ্টা করি দীর্ঘ এক মাস ধরে। তাদের মধ্যে একজনের মতামত আমি তুলে ধরলাম, “আমার ও সেইম কাহিনী। আমি ও একজন মধ্যেবিত্ত ঘরের ছেলে। পড়ালেখার পাশাপাশি ছাত্র রাজনীতির সাথে যুক্ত। অনেক ছোট থেকেই ছাত্র রাজনীতি করে আসছি, তাই চাইলে ও এখন আর এ পথ থেকে ফিরে আসতে পারবো না। কিন্তু পিতা-মাতার অনিচ্ছায় আর কতোদিন এভাবে ছাত্র রাজনীতি করতে হবে?এই প্রশ্নের উত্তর হয়তো আমার জানা নেই। পিতা-মাতার ছাত্র রাজনীতির প্রতি এমন অনিহার মূল কারন হচ্ছে, দুনীতি, দখলদারি, লুটপাট, ক্ষমতাশীন ব্যাক্তিদের ক্ষমতার অপব্যাবহার করা।”
বিষয়টি এবার একটু পরিষ্কার করে ব্যাখা করছি। মানুষ পাপ নিয়ে জন্মায় না। পরিবার, সমাজ, রাজনীতি ও পারিপার্শ্বিক অবস্থা তাকে পাপের দিকে ঠেলে দেয়। পাপিয়ার মতো ‘তথাকথিত রাজনীতিবিদেরা’ এর বড় উদাহরণ। তাঁদের মতো রাজনীতিবিদে ভরে গেছে দেশটা। রাজনীতির সঙ্গে ক্ষমতার অপব্যবহার ও বিত্তের সখ্য এতটাই প্রকট যে প্রকৃত রাজনীতি বা রাজনীতিবিদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। অর্থনীতিতে যেমন ‘ব্যাড মানি ড্রাইভস অ্যাওয়ে গুড মানি’, রাজনীতির চিত্রটাও তেমনি। ত্যাগী ও প্রকৃত রাজনীতিবিদদের অনেকেই দূরে সরে যাচ্ছেন, দুর্বৃত্তরা ক্রমে জায়গা পোক্ত করছেন।
এক্ষেত্রে উদাহরণ হিসেবে আওয়ামী লীগ কে বেছে নিলাম। যেহেতু বর্তমানে এই দেশের রাজনীতি বলতে আওয়ামী লীগ। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের একটি কথা মনে পড়ে গেল। তার মতে, “তাঁরা কাউয়া, অনুপ্রবেশকারী, হাইব্রিড বা ফার্মের মুরগি।” প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও বিভিন্ন সময় দলে অনুপ্রবেশকারীদের সতর্ক করেছেন। কিন্তু ক্ষমতাসীন দলেরই মাঠের কিছু নেতা সুবিধা গ্রহণসহ নানা বিবেচনায় প্রভাবশালীদের দলে ভেড়াচ্ছেন। এমনিতেই দল অনেক দিন ক্ষমতায় থাকায় স্থানীয় কিছু নেতা বেপরোয়া হয়ে উঠেছেন। তার ওপর অনুপ্রবেশকারীরা জায়গা করতে গেলে স্থানীয় রাজনীতিতে জটিল পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে।
বিএনপির তারেক জিয়া থেকে পাপিয়া, সাহেদ থেকে সাবরিনা, দুই ভাই বরকত-রুবেল, ক্যাসিনো কারবারি দুই ভাই এনাম-রুপন, শামীম-খালেদ—এমন সব ঘটনার পেছনেই রয়েছে কথিত রাজনীতি। মাঠের রাজনীতি তো আর নেই, এখন তা চলে গেছে পকেটে। এখন রাজনীতি মানে ক্ষমতার দাপট এবং বেপরোয়া দুর্নীতি।
দুর্নীতি কমাতে হলে সবার আগে রাজনৈতিক দুর্বৃত্তায়ন বন্ধ করা জরুরি। কিন্তু রাজনীতি তো ব্যবসায় পরিণত হয়েছে এবং তা খুবই লাভজনক ব্যবসা। সাংসদদের বেশির ভাগই এখন ব্যবসায়ী। টাকার জোরে সাংসদ হওয়ার ভূরি ভূরি নজির চারদিকে।
আসলে ক্ষমতায় থাকতে কেউ বোঝে না, যেমন বোঝেনি বিএনপি, জাতীয় পার্টি বা জামায়াতে ইসলামী। নব্বই-পরবর্তী সময়ে বিএনপি বা ২০০১ সালের পর বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের সেই দেখে নেওয়া বা পিষে ফেলার চেহারা অনেকেরই মনে আছে নিশ্চয়ই। হাওয়া ভবনের নাম সংবাদপত্রে লেখা যেত না, কৌশলে লিখতে হতো ‘একটি বিশেষ ভবন’। স্বৈরশাসক এইচ এম এরশাদের ৯ বছরের দুঃশাসন কেউ ভুলে যায়নি, দলটি এখন অস্তিত্বের সংকটে। মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতাকারী জামায়াতের হুংকার এবং দলটির দুই নেতার গাড়িতে জাতীয় পতাকা ওড়ার সেই দৃশ্য এ দেশের আপামর মুক্তিযোদ্ধার হৃদয়ে রক্তক্ষরণ ঘটিয়েছে।
ঐ অবস্থা থেকে আওয়ামী লীগের যাত্রা শুরু, যা প্রায় এক যুগ চলছে। এই সময়ে জঙ্গিবাদ অনেকটাই দমন হয়েছে, মানবতাবিরোধী বড় অপরাধীদের সাজা হয়েছে। দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন হচ্ছে, করোনাকালে চাপা পড়লেও ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছে অর্থনীতি। কিন্তু ‘লাভের গুড় পিঁপড়ায় খায়’ অবস্থা তৈরি হয়েছে। দেশের স্বাস্থ্য, শিক্ষা, আর্থিক, ব্যাংকসহ প্রভৃতি খাতে সামগ্রিকভাবে দুর্নীতি কমানো যাচ্ছে না। যেটুকু ভালো কাজ, যতটা উন্নয়ন—তার অনেকটাই দুর্নীতি ও দুর্বৃত্তায়িত রাজনীতি চুষে খাচ্ছে। এই রাজনীতিই এখন উন্নয়ন, গণতন্ত্র, মানবিকতা, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ও অগ্রগতির শত্রু।
এখন যাঁরা যত বড় মাপের দুর্বৃত্ত, তত বেশি ক্ষমতাবান। আদাব-সালাম বেশি পান তাঁরা। অস্ত্রধারী, স্তাবক ও লাঠিয়াল দিয়ে বেষ্টিত থাকেন। ত্রাস সৃষ্টি করা, মানুষকে ভয় দেখানো, চাঁদাবাজি, ধর্ষণ-গণধর্ষণ, খুন, অঙ্গচ্ছেদ, রগ কাটা, কবজি কর্তন, হত্যা, গুম, নির্যাতন—এসব অপরাধে বেশির ভাগ ক্ষেত্রে জড়িত হচ্ছেন ক্ষমতাসীন দলের নেতা-পাতিনেতাদের অনেকেই। এই পরিস্থিতিতে মনে পড়ছে বিচারপতি মুহাম্মদ হাবিবুর রহমানের একটি বক্তব্য, ‘রাষ্ট্র আজ বাজিকরদের হাতে চলে গেছে।
রাজপথ দখলে রাখার জন্য রাজনৈতিক দলগুলো সন্ত্রাসী পোষে, এটা নতুন কিছু নয়। সরকারি দলের পক্ষে এই কাজটা করা বেশ সহজ। ফলে মাস্তানেরা সচরাচর ক্ষমতাসীন রাজনীতির সঙ্গেই থাকে। টেন্ডারবাজি, চাঁদাবাজি, দখল, তদবিরসহ নানা অপকর্মের সঙ্গে যুক্ত হয়ে অর্থবিত্তের মালিক হওয়া সহজ।
ফুটপাতের ঠিকাদার হিসেবে পরিচিতদের অনেকেই গত এক দশকে শতকোটি টাকার মালিক হয়েছেন। অবৈধ পথে অর্থ উপার্জন করে মাস্তানদের অনেকেই সাংসদ, উপজেলা বা পৌরসভার চেয়ারম্যান, সিটি করপোরেশনের মেয়র, কাউন্সিলর, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পদে অধিষ্ঠিত হয়েছেন। রাজনীতিতে ক্রমাগতভাবে মাস্তান ও বিত্তবানেরা আসতে থাকায় সৎ, যোগ্য ও জনকল্যাণে নিবেদিত নেতা-কর্মীরা এই অঙ্গনে হয় কোণঠাসা, না হয় বিতাড়িত।
সংসদ সচিবালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ১৯৭৩ সালে ব্যবসায়ী এমপির সংখ্যা ছিল ১৮ শতাংশ। ১৯৯১ সালে ৩৮ শতাংশ ব্যবসায়ী সাংসদ নির্বাচিত হন। ১৯৯৬ সালে ৪৩ শতাংশ, ২০০১ সালে ৫৮ শতাংশ, ২০০৮ সালে ৫৭ শতাংশ এবং ২০১৪ সালে ৫৯ শতাংশ এমপি সাংসদ হন। বেসরকারি একটি গবেষণা অনুযায়ী, এখনকার সংসদে ৬১ শতাংশ সাংসদ ব্যবসায়ী। এভাবে আইনজীবী, শিক্ষক, কৃষিজীবীসহ অন্য পেশার প্রাধান্য সংসদে ক্রমাগত কমেছে, বেড়েছে ব্যবসায়ীদের অংশগ্রহণ। ( এই তথ্যটি গুগল থেকে সংগ্রহীত)
ক্ষমতাসীন দলের নেতাদের বাণী-বিবৃতির সঙ্গে বাস্তবতার মিল খুঁজে পাওয়া যায় না। তাঁদের বক্তৃতা-বিবৃতির প্রতিক্রিয়া যদি তাঁরা বুঝতেন বা বোঝার চেষ্টা করতেন, তাহলে এগুলো আর বলতেন না। সরকার দলীয় কিছু নেতার ক্ষমতার দম্ভে বড় বড় কথা, আর সরকারবিরোধীদের বক্তৃতায় তর্জন-গর্জন ভাব-এসবই এখনকার রাজনীতি। এই রাজনীতি মানুষের জন্য নয় বা দলের জন্য নয়; নিজেদের জন্য, আরও স্পষ্টভাবে বললে নিজেদের আখের গোছানোর জন্য। যত বড় কথা, বাস্তবে কাজ কিন্তু তত কম।
দুর্নীতি কমাতে হলে সবার আগে রাজনৈতিক দুর্বৃত্তায়ন বন্ধ করা জরুরি। কিন্তু রাজনীতি তো ব্যবসায় পরিণত হয়েছে এবং তা খুবই লাভজনক ব্যবসা। সাংসদদের বেশির ভাগই এখন ব্যবসায়ী। টাকার জোরে সাংসদ হওয়ার ভূরি ভূরি নজির চারদিকে। নইলে কুয়েতে গ্রেপ্তার হওয়া কাজী শহিদ ইসলাম ওরফে পাপুল ও তাঁর স্ত্রীর সংসদ সদস্য হওয়ার কথা নয়। এমন অসংখ্য দৃষ্টান্ত আছে, যাঁরা আজ প্রভাব ও টাকার জোরে সাংসদ বা জনপ্রতিনিধি। সৎ ও ভালো মানুষের পক্ষে প্রভাবশালী ও বিত্তবানের সঙ্গে পরিচ্ছন্ন রাজনীতি করে পেরে ওঠার কথা নয়, পারেনও না।
দুর্নীতি বন্ধ করতে প্রয়োজন রাজনৈতিক সদিচ্ছা। তার আগে রাজনৈতিক দুর্বৃত্তায়ন বন্ধ করতে হবে। দূর্নীতিবাজ তথাকথিত, রাজনীতিবিদদের ক্ষমতার সিঁড়িতে উঠতে দেওয়া যাবে না। পাশাপাশি তদারকি প্রতিষ্ঠানগুলো কার্যকর করতে হবে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের ভূমিকা কি যথেষ্ট? দুর্নীতি দমন কমিশন কি নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালন করতে পারছে? যারা দুর্নীতি করে এবং যারা এটাকে প্রশ্রয় দেয়—উভয়ই অপরাধী। প্রশ্রয়দাতাদেরও খুঁজে বের করতে হবে। আবার বের করলেই হবে না, ধরতে হবে।
বেসিক ব্যাংক কারা চুষে খেয়েছে, তাদের দেখে না দেখার ভান করলে হবে না। আসল রাঘববোয়াল কারা—তা কি কারও অজানা? একদিকে অজানা দুর্নীতি খুঁজতে হবে, আর জানা দুর্নীতি চাপা দেওয়ার চেষ্টা থেকে বিরত থাকতে হবে। রাজনীতির দুর্বৃত্তায়ন বন্ধ হলেই দেশ দুর্নীতিমুক্ত হবে, এটা বলা যায় না, তবে সিংহভাগ দুর্নীতি তো বন্ধ হবে। রাজনীতিতে দুর্বৃত্তায়ন বন্ধ হলে প্রশাসনিক দুর্নীতিসহ পুলিশ, বিচারালয়সহ সব ক্ষেত্রে দুর্নীতির লাগাম টেনে ধরা যাবে।
অতঃপর বুঝতেই পারছেন বিগত কয়েক দশক ধরে চলতে থাকা দুনীতির জন্যই মানুষের মনে ছাত্র রাজনীতি/রাজনীতি নিয়ে একটা ঘৃনা বা অনিহা কাজ করছে। ছাত্র রাজনীতির প্রতি এই অনিহা দূর করার জন্য সবার আগে সরকারকে দূর্নীতির প্রতি কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে এবং তার পাশাপাশি সুস্থ রাজনীতির ব্যাবস্থা করতে হবে। সাথে স্কুল, কলেজের বইয়ে রাজনীতি নিয়ে একটা আলাদা চ্যাপ্টার তৈরি করতে হবে।যেখানে থাকবে বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতা নিয়ে সব সংগ্রাম এর কথা, থাকবে ছাত্র রাজনীতির গঠনতন্ত্র, সংগঠনের সাংগঠনিক কার্যক্রম ও পদ-পদবীর সঠিক ব্যবহার। আর পাশাপাশি রাজনীতি নিয়ে চর্চা থাকা বাধ্যতা মূলক।
হয়তো এসব দেখে মানুষের রাজনীতি নিয়ে যে ভয় সেটা আসতে আসতে কমতে থাকবে,চলে যাবে রাজনীতির প্রতি মানুষের অনিহা। সমাজে আবার উঠে আসবে শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী, মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী, জিল্লুর রহমান ও সৈয়দ আশরাফদের মত রাজনীতিবিদ।
নাছির ইসলাম শান্ত
শিক্ষার্থী (দ্বাদশ শ্রেণী)
পাহাড়তলী ইউনিভার্সিটি ডিগ্রি কলেজ, চট্টগ্রাম।