পোর্ট কানেকটিং রোডের অলংকার থেকে সাগরিকা মাজার অংশে কার্পেটিং কাজের উদ্বোধনঃ প্রশাসক সুজন

বহুল প্রতিক্ষিত পোর্ট কানেকটিং রোডের অলংকার থেকে সাগরিকা মাজার অংশে কার্পেটিং কাজের উদ্বোধন করছেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক আলহাজ্ব মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজন।
আজ ২৬ নভেম্বর ২০২০ইং বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় পোর্ট কানেকটিং রোডের অলংকার থেকে কলকা সিএনজি অংশে কার্পেটিং কাজের শুভ উদ্বোধন করা হয়। সম্মানিত নগরবাসীর ঐকান্তিক সহযোগিতা কামনা করছেন প্রশাসক সুজন।
চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজন আজ বিকেলে পোর্ট কানেক্টিং রোডের নির্মাণ কাজ পরিদর্শন করেন। তিনি এই সময় ঠিকাদারদের কাজের গুণগত মান রক্ষা করে আগামী ডিসেম্বরের মাসের ৩০ তারিখের মধ্যে কাজ সম্পন্ন করার নির্দেশনা দেন।
তিনি কাজে নিয়োজিত প্রকৌশলীদের সার্বক্ষণিকভাবে কাজের উপর দৃষ্টি রাখার পরামর্শ দেন।
তিনি বলেন, পোর্ট কানেক্টিং রোড চট্টগ্রামের লাইফ লাইন এবং জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ সড়ক স্থাপনা। এই সড়কটির উপর দেশের অর্থনৈতিক গতি ও অগ্রগতি নির্ভরশীল তাই সড়কটির নির্মাণকাজ নিয়ে টালবাহানা বা একে জিম্মি করা চলবে না। চট্টগ্রাম বন্দর মুখী এই সড়ক দিয়ে সকল আমদানী-রফতানী পণ্য পরিবহন চলাচল করে। এ ছাড়া ইপিজেড’র মালামাল পরিবহনগুলোও এ রাস্তার উপর দিয়ে চলাচল করে। ফলে এর ধারণ ক্ষমতার উপর বাড়তি চাপ সৃষ্টি হয়। অদূর ভবিষ্যতে বে-টার্মিনাল এবং মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্র বন্দর বাস্তবায়ন হলে এ সড়কটির গুরুত্ব বৃদ্ধি পাবে এবং সড়কটির উপর চাপও বাড়বে। আন্ত: দেশীয় রিজিওনাল কানেক্টিভিটি কার্যক্রম এই রাস্তাটির উপর অনেকাংশ নির্ভরশীল।
তিনি এ প্রসঙ্গে উল্লেখ বলেন, গুরুত্ব বিবেচনায় এই চট্টগ্রাম নগরীর এটা একমাত্র সড়ক যার উপর নিভরশীল আমদানী-রফতানী খাত। তাই এর দায়-দায়িত্ব ও রক্ষণাবেক্ষণের বিষয় শুধু সিটি কর্পোরেশনের একার নয়। তাই এ জন্যে বন্দর, কাস্টমস ও ইপিজেডগুলোর আয়ের একটি অংশ সার্ভিস চার্জ হিসেবে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রাপ্য।
তিনি আশা প্রকাশ করেন, চট্টগ্রাম বন্দর, ইপিজেড সহ যে সকল সরকারী সংস্থা চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের সড়কগুলোর উপর চলাচল করে সে-গুলোর রক্ষণাবেক্ষণের জন্য চসিককে সার্ভিস চার্জ প্রদানের প্রস্তাবনা আমলে আনবেন।
তিনি আরো বলেন, পোর্ট কানেক্টিং রোডে ৩টি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান কাজ করছে। যে ঠিকাদার যেখানে কাজ করছে সেখানে সে ঠিকাদারের সাইট অফিস রাখতে হবে।
তিনি সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারদের কাজের কর্ম পরিকল্পনা এবং অগ্রগতির তথ্য সম্বলিত বোর্ড জনসম্মুখে টাঙিয়ে রাখার নির্দেশনা দেন এবং ধুলোবালিতে যাতে মানুষের দুর্ভোগ না হয় সেজন্য প্রতিদিন ৩ বেলা পানি ছিটানোর নির্দেশনা দেন।
এ সময় প্রশাসকের একান্ত সচিব মুহাম্মদ আবুল হাশেম, প্রকৌশলী মির্জা ফজলুল কাদের, উপ-সহকারী প্রকৌশলী সুমন সেন ও ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারাসহ এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
বে অব বেঙ্গল নিউজ /BAY OF BENGAL NEWS