হাটহাজারীতে উপজেলা প্রশাসনের ডাকবাংলোতে আগুন । বিক্ষুব্ধ হেফাজত কর্মীরা
চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে থমথমে পরিবেশ বিরাজ করছে। থমথমে এলাকা জুড়ে ক্ষণে ক্ষণে বাড়ছে উত্তেজনা। দু’দিন ধরে হাটহাজারি মাদ্রাসার ছাত্ররা ও হেফাজত কর্মীরা চট্টগ্রাম-খাগড়াছড়ি সড়ক অবরোধ করে রেখেছে। প্রশাসন সরাতে পারেনি তাদের।
বিপুল পরিমাণ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়নের পরেও শনিবার (২৭ মার্চ) রাতে উপজেলা প্রশাসনের ডাকবাংলোতে আগুন ধরিয়ে দেয় দুর্বৃত্তরা।
শনিবার (২৭ মার্চ) রাত ৮ টার দিকে এ হামলা চালানো হয় বলে জানা যায়। এসময় তারা উপজেলা প্রশাসনের ডাকবাংলোর নতুন ভবনে হামলাচালায়। এসময় তারা আগুন জ্বালিয়ে দেয়। তাছাড়া আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়া হয় তিনটি মোটরসাইকেল।
হাটহাজারী উপজেলা প্রশাসনের ডাকবাংলোর কেয়ারটেকার সৈয়দ আলাউদ্দিন বাদল গণমাধ্যমকে জানান, রাতে হঠাৎ একদল দুর্বৃত্ত ডাকবাংলোয় ঢুকে পড়ে ও ভাঙচুর করে। এসময় দুর্বৃতরা ৩ টি মোটরসাইকেলে আগুন জ্বালিয়ে দেয়। মাদ্রাসার ছাত্র ও হেফাজত কর্মীদের বিক্ষোভের কারণে দোকানপাট বন্ধ ছিল, হামলাকারীরা আগুন দিয়ে পালিয়ে যায়।
এর আগে, শুক্রবার (২৬ মার্চ) জুমার নামাজের পর ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরের বিরোধীতায় হাটহাজারী বড় মাদ্রাসা থেকে কয়েক হাজার ছাত্র ও হেফাজত কর্মী মিছিল নিয়ে বের হয়। এরপর তারা ইউনিয়ন ভূমি অফিস, হাটহাজারী থানা ও ডাক বাংলোতে হামলা চালায়। এসময় তারা ভূমি অফিসে অগ্নিসংযোগও করে। আগুন নেভাতে ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা এলে। হেফাজত কর্মীরা তাদের ভূমি অফিসে প্রবেশে বাধা দেয়। এসময় হেফাজত-পুলিশের সংঘর্ষে গুলিতে নিহত হন চারজন। তাদের মরদেহ পুলিশি পাহারায় নিজ নিজ এলাকায় পৌঁছে দিচ্ছে পুলিশ বলে জানা যায়।