হাটহাজারীতে তাণ্ডবের ঘটনায় হেফাজত নেতা হারুন ইজাহার গ্রেফতার
হাটহাজারীতে তাণ্ডবের ঘটনায় চট্টগ্রামের লালখানবাজারের একটি মাদরাসা থেকে হেফাজত নেতা মুফতি হারুন ইজাহারকে গ্রেফতার করেছে র্যাব।
বুধবার (২৮ এপ্রিল) রাত ১২টার দিকে নগরীর খুলশী থানার লালখানবাজারে জামেয়াতুল উলুম আল-ইসলামিয়া লালখান বাজার মাদরাসা থেকে হেফাজতে ইসলামের সদ্য বিলুপ্ত কমিটির শিক্ষা ও সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক হারুন ইজাহারকে আটক করে র্যাবের একটি টিম।
পরে নগরীর পতেঙ্গায় র্যাবের চট্টগ্রাম জোনের কার্যালয়ে নিয়ে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের পর হাটহাজারীতে তাণ্ডবের ঘটনায় গ্রেফতার দেখানো হয়েছে হারুন ইজাহারকে।
হারুনকে যে মাদ্রাসা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে সেই মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা হচ্ছেন মুফতি ইজহার।
হেফাজতে ইসলামের সাবেক নায়েবে আমির ও ইসলামী ঐক্যজোটের (একাংশ) সভাপতি মুফতি ইজাহারুল ইসলামের ছেলে তিনি।
এই পিতা-পুত্র জঙ্গি কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকাসহ নানা কারণে বেশ আলোচিত-সমালোচিত।
হারুন ইজাহারকে আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করে র্যাবের চট্টগ্রাম জোনের অধিনায়ক লে. কর্নেল মশিউর রহমান জুয়েল জানান, ‘আমরা হারুন ইজাহারকে আটক করেছি।
এরপর ২৬ মার্চ থেকে তিনদিন ধরে চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে চলা তাণ্ডব ও সহিংসতার বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় হারুনকে।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে হাটহাজারীতে তাণ্ডবের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় মদদ দাতা হিসেবে হারুন ইজাহারকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।’
২০১৩ সালের ৭ অক্টোবর গ্রেনেড বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছিল মুফতি ইজহার ও মুফতি হারুন ইজাহার পরিচালিত চট্টগ্রামের লালখান বাজার মাদ্রাসায়।
ওই বিস্ফোরণের ঘটনায় আহত হন কমপক্ষে পাঁচ জন। তাদের মধ্যে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুই জন মারা যান।
ওই মাদ্রাসায় অভিযান চালিয়ে চারটি তাজা গ্রেনেড এবং ১৮ বোতেল এসিড উদ্ধার করে পুলিশ। সেই ঘটনায় গ্রেফতার হয়ে দীর্ঘদিন কারাগারে ছিলেন মুফতি হারুন ইজাহার।
এ ঘটনায় তিনটি ও হেফাজতের নাশকতার ৮ মামলাসহ মোট ১১টি মামলা বিচারাধীন রয়েছে হারুন ইজাহারের বিরুদ্ধে।