নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা প্রত্যাহার
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে হোটেল রয়েল রিসোর্টে নারী নিয়ে হেফাজতের যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হকের আটক ও পরে তাকে হেফাজত কর্মীরা ছিনিয়ে নেওয়া এবং স্থানীয় আওয়ামী লীগ-যুবলীগ-স্বেচ্ছাসেবক ও ছাত্রলীগ কর্মীদের বাড়ি ও ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানে হামলার ঘটনায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে না পারার অভিযোগে সোনারগাঁ থানার ওসি রফিকুল ইসলামকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।
সোমবার (৫ এপ্রিল) গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন নারায়ণগঞ্জ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোস্তাফিজুর রহমান।
এদিকে সোনারগাঁ থানার ওসি মোস্তাফিজুর রহমানকে গতকাল রবিবার (৪ এপ্রিল) রাতে প্রত্যাহার করে নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে। কিন্তু সোনারগাঁ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হিসেবে কাউকে এখনো দায়িত্ব দেওয়া হয়নি বলে জানা যায়।
প্রসঙ্গত শনিবার (৩ এপ্রিল) মামুনুল হক তার কথিত দ্বিতীয় স্ত্রীকে নিয়ে সোনারগাঁয়ের হোটেল রয়্যাল রিসোর্টে ৫০১ নম্বর কক্ষে ওঠেন। পরে স্থানীয় লোকজন হোটেল ঘেরাও করে এবং ঐ কথিত স্ত্রী এবং মামুনুল হককে আটক করে এবং জিজ্ঞাসাবাদ করে। ঐ সময়ের অনেক গুলো ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে ভাইরাল হতে দেখা যায়।
এ ঘটনারই প্রেক্ষিতে হেফাজতের উগ্র নেতাকর্মীরা হোটেল রয়্যাল রিসোর্টে হামলা চালিয়ে মামুনুল হককে ছিনিয়ে নিয়ে যান। এসময় তারা আশে পাশের বিভিন্ন স্থাপনা ভাঙচুর ও ক্ষতিসাধন করেন।
কিন্তু এদিকে পুলিশ দাবি করছেন মামুনুলকে হেফাজতের স্থানীয় নেতাকর্মীদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছিল।
এ ঘটনার জের ধরে ঐ সময়ে স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের বাড়ি ও বিভিন্ন ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানে হামলার ঘটনার মত কাজ করেন।