লাদাখ সীমান্তে চীন-ভারত সংঘর্ষ…
লাদাখের গালওয়ান উপত্যকায় চীন-ভারত সীমান্ত এলাকায় চীন ও ভারতীয় সেনার মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ ঘটেছে। কিন্তু এ ঘটনার ব্যাপারে দু’দেশের সেনাদের দু’ধরনের মন্তব্য বরাবরের মতই।
ভারতীয় গণমাধ্যম সূত্রে জানা যায়, পূর্ব লাদাখের প্যাংগং লেক, গালওয়ান-সহ প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় বিপুল সেনা মোতায়েন করে আগ্রাসন শুরু করেছিল চীন। তার জেরে গালওয়ান উপত্যকায় ঘটেছে এই রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ।
এ ব্যাপারে ভারতীয় সেনা সূত্রের দাবি, চিনের বাহিনীই প্রথম গুলি চালিয়েছে। ভারত শুধু তার জবাব দিয়েছে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্যাংগং লেক এলাকায় বিপুল সশস্ত্র বাহিনী মোতায়েন করতে শুরু করেছে ভারত।
ভারতীয় সেনা সূত্রমতে, সোমবার (৭ সেপ্টেম্বর) রাতে চিনের তরফেই প্ররোচনা দেওয়া শুরু হয়। চিনের সেনাবাহিনী ভারতের দখলে থাকা একটি পাহাড়ের চূড়া দখলের চেষ্টা করে। কিন্তু ওই চূড়ায় মোতায়েন রয়েছে ভারতীয় সেনা। ওই অভিযানের সময় শূন্যে গুলি চালায় চিনের বাহিনী। পাল্টা জবাব হিসেবে সতর্কতামূলক গুলি চালায় ভারতীয় সেনাবাহিনীও। সেনার একটি সূত্রের বক্তব্য, সময়মতো দু’পক্ষেরই উচ্চ পর্যায়ের আধিকারিকরা হস্তক্ষেপ না করলে ঘটনাটি মারাত্মক সংঘর্ষের আকার নিতে পারত।
এ ব্যাপারে চীনের দাবি, ভারত প্রথম গুলি চালিয়েছে। পিএলএ-র এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, স্থিতাবস্থা বজায় রাখতে চিনের সেনাবাহিনীও ভারতের গুলি চালানোর জবাব দিয়েছে। তিনি বলেন, ‘‘ভারতীয় সেনা প্যাংগং লেকের দক্ষিণ পাড়ে এবং শেনপাও পার্বত্য এলাকায় বেআইনি ভাবে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা অতিক্রম করে ঢুকে পড়ে। সেই অভিযানের সময় চিনের টহলরত বাহিনীর উপর এলোপাথাড়ি গুলি চালায় ভারতীয় সেনা। তার জেরে স্থিতাবস্থা ফেরাতে পাল্টা পদক্ষেপ করতে বাধ্য হয় পিএলএ।’’
প্রসঙ্গত, এই উত্তেজনার সূত্রপাত গত ২৯-৩০ অগস্ট রাতে। চুক্তি অনুযায়ী লাদাখে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় রাতে কোনও অভিযান চালানো যায় না। কিন্তু ভারতীয় সেনা সূত্রে খবর, ওই রাতে চীন সেনাবাহিনী সেই সে সবের তোয়াক্কা না করে স্থিতাবস্থা নষ্ট করার চেষ্টা করে। প্যাংগং লেকের দক্ষিণ পাড়ে বিপুল সেনা মোতায়েন করেছে চীন। রাতে ওই বাহিনী পশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে শুরু করে এবং এলাকা দখলের চেষ্টা করে। তবে ভারতীয় সেনা তা রুখে দিয়েছিল।
ওয়াইএইচ / বিবিএন।