রকলিজেন্ড আইয়ুব বাচ্চু’র সব গানের মেধাস্বত্ত্ব সংরক্ষণের কাজ চলছে
আইয়ুব বাচ্চুর প্রয়াণের পর একাধিক সূত্র অনুযায়ী জানা যায়, মৃত্যুর পর থেকে অনৈতিকভাবে আইয়ুব বাচ্চুর গান ডিজিটালী বিক্রি করে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে অনেকেইএকাধিক তথ্যসূত্রে এর প্রমাণও পাওয়া গিয়েছে।
তাই এবারে এলআরবি ও আইয়ুব বাচ্চু’র সবকটি গান তার পরিবার সংরক্ষণের দায়িত্ব নিয়েছেন এ ব্যাপারে সকল প্রয়োজনীয় নথি ও কার্যকর পদক্ষেপ নিয়েছে আইয়ুব বাচ্চু পরিবার। খুব শিগগিরই চুড়ান্ত নোটিশসহ ও এ বিষয়ে আইয়ুব বাচ্চু পরিবার সংবাদ সম্মেলণের মাধ্যমে গণমাধ্যমকে জানাবেন। মিউজিক ইন্ডাষ্ট্রিতে গত কয়েকবছরে মেধাস্বত্ব সংরক্ষণের যতটা তাগিদ ছিল এই বৈশ্বিক করোনা সংকটে সকল শিল্পী কুশলীরা আরো বেশি তত্পর হয়েছেন।সকলেই নড়েচড়ে বসেছেন তাদের মেধাস্বত্ত্ব সংরক্ষণের ব্যাপারে। খুবই প্রয়োজনীয় ও সময়োপযোগী এই উদ্যোগে বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনায় খানিক দেরিতে হলেও বাংলাদেশের শিল্পী কুশলীরা সচেতন হয়েছেন।
শিল্পী, গীতিকার ও সুরকার সকলের ভেতরে এক দারুণ বোধদয় তৈরি হয়েছে। এই উদ্যোগে একাধিক সংগঠনও গড়ে উঠছে। গীতিকবি জুলফিকার রাসেল-এর উদ্যোগে ‘গীতিকবি সংঘ’ নামে একটি সংগঠনের মাধ্যমে একজোট হয়েছেন দেশের অধিকাংশ গীতিকারবৃন্দ। সংগীত পরিচালকদেরও আলাদা সংগঠন তৈরি হয়েছে সম্প্রতি। পাশাপাশি বামবা সভাপতি রকস্টার হামিন আহমেদের উদ্যোগে বিএলসিপিএস নামের একটি সংঘবদ্ধ প্লাটফর্ম তাদের সদস্য সংযুক্তি ও কার্যক্রম শুরু করেছে। উল্লেখ্য, হামিন আহমেদ গত প্রায় ১ যুগেরও বেশি সময় শিল্পীদের মেধাস্বত্ত্ব সংরক্ষণের কাজে লড়ে যাচ্ছেন। সবচেয়ে আশার কথা হলো গানের সকল পর্যায়ের কর্মীরা সচেতন হয়েছেন।এছাড়া সম্প্রতি কাভার সং গাওয়া নিয়েও একধরণের বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছিল। সেটিও বামবা সভাপতি একাধিক ইন্টারভিউতে স্পষ্ট করেছেন।
আর এলআরবি নামে কোনো ব্যান্ডের অস্তিত্ব থাকবে কী না। বা থাকলেও কিভাবে থাকবে সেই প্রশ্নের জবাবই খুঁজছে এখন অনেকেই। সেই বিষয়েও এলআরবির পরিবার একটি সুষ্ঠূ দিক নির্দেশনা ও ঘোষণা দেবেন বলে জানা যায়।সঙ্গীতাঙ্গণের এই উদ্যোগে একাট্টা হয়ে নিজেদের এই তৎপরতাগুলো সফল হলে শিল্পীরা দুস্থ শব্দের লজ্জা থেকে মুক্তি পাবেন বলে সকলেই প্রত্যাশা করছেন।
এসি/বিবিএন /স্টাফ রিপোর্টার।