মাগুরায় সন্তানের আর্তনাদে মায়ের উন্নত চিকিৎসায় এগিয়ে এলেন যুবলীগ নেতা ফজলুর রহমান
ইফতার শেষে প্রতিদিনের ন্যায় অভুক্ত মানুষের দরজায় রাতের আধারে খাদ্যসামগ্রী পৌছে দিতে ব্যস্ত সময় পার করছিলেন মাগুরা জেলা আওয়ামী যুবলীগ আহবায়ক মো. ফজলুর রহমানের নেতৃত্বে হটলাইন টিমের সদস্যরা।
এমন সময় অজানা একটি ফোনে জানতে পারলেন “মা”-এর শারীরিক অবস্থা খুবই আশংকাজনক হওয়ায় একটি বাচ্চার আর্তনাদে হাসপাতালের পরিবেশ ভারী হয়ে উঠেছে কিন্তু দেখার কেউ নাই।
সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে ছুটে গিয়ে দেখলেন একটি ১২বছর বয়সি বাচ্চা বাবাকে জড়িয়ে ধরে আর্তনাদ করছে। কাছে গিয়ে জানতে পারলেন বাচ্চাটি বরিষাট গ্রামের হতদরিদ্র মো. জাকির মোল্যা ও জাহিদা বেগমের একমাত্র ছেলে তানভীর। কয়েকদিন আগে বাচ্চাটির মা জাহিদা বেগম বিষ খেয়ে মাগুরা ২৫০ শয্যা হাসপাতালে ভর্তি হয়। আজ শারীরিক অবস্থার মারাত্নক অবনতি হলে ডাক্তার দ্রুত ফরিদপুর নেবার পরামর্শ দিয়েছে কিন্তু দরিদ্র জাকির মোল্যার স্ত্রীকে বাঁচাতে ফরিদপুর নেবার মত সামর্থ্য না থাকায় মায়ের মৃত্যু আসন্ন ভেবে দিশেহারা সন্তানের এই আর্তনাদ।
মহামারি করোনা আতংকে যখন আপনজনেরাই দূরে থাকে তখন এই কথা জানামাত্রই এক অচেনা বাচ্চা ও মায়ের কথা ভেবে নিজে দায়িত্ব নিয়ে এ্যাম্বুলেন্স ভাড়া করে দিয়ে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানোসহ সেখানে উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন মানবতার দৃষ্টান্ত জেলা আওয়ামী যুবলীগ আহবায়ক মো. ফজলুর রহমান।
জাকির মোল্যা এবং তার সন্তান যেনো সীমাহীন সমুদ্রে খুজে পেলেন একটুকরো কাঠ। তারা বিশ্বাসই করতে পারে নাই এই বিপদে সুপারম্যানের মত কেউ একজন তাদের পাশে ছুটে এসে বাড়িয়ে দিবে সর্বোচ্চ সহযোগীতার হাত।
এ্যাম্বুলেন্সে তুলে দেবার পর জাকির মোল্যা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে মানবিক নেতা ফজলুর রহমানের কাছে এলে তিনি বলেন, “কৃতজ্ঞতা আমাকে নয়, কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করুন মহান সৃষ্টিকর্তার প্রতি এবং এই রমজান মাসে দোয়া করুন প্রিয়নেতা, মাগুরা ১ আসনের মাননীয় সংসদ সদস্য এ্যাড. সাইফুজ্জামান শিখর ভাইকে যিনি আমাকে আপনাদের পাশে থেকে সেবা করার নির্দেশ ও সুযোগ করে দিয়েছেন।”