মানি লন্ডারিং মামলায় জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি গ্রেপ্তার
দুই হাজার কোটি টাকা পাচারের মামলায় শুক্রবার (২১ আগস্ট) বিকেলে ঢাকার উত্তরা এলাকার ১২ নম্বর সেক্টর থেকে ফরিদপুর জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি নিশান মাহামুদ শামীমকে গ্রেপ্তার করা হয়। নিশান মাহমুদ ফরিদপুর শহরের মধ্য আলিপুর মহল্লার কামাল মুন্সির ছেলে।
শনিবার (২২শে আগস্ট) মানি লন্ডারিং আইনে কাফরুল থানায় সিআইডির দায়ের করা মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডি,ঢাকা এর সহকারী পুলিশ সুপার উত্তম কুমার বিশ্বাস সাংবাদিকদের বলেন, ‘মানি লন্ডারিং মামলায় গ্রেফতার হওয়া জেলা ছাত্রলীগের সভাপতির সাত দিনের রিমান্ডের আবেদন জানিয়ে শনিবার দুপুরে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন আদালতে সোপর্দ করে সিআইডি। আদালত শুনানি শেষে তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।’
প্রসঙ্গত, গত ১৬ মে রাতে ফরিদপুর শহরের মোল্লা বাড়ি সড়কে অবস্থিত জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সুবল চন্দ্র সাহার বাড়িতে দুই দফা হামলার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় সুবল সাহা গত ১৬ মে ফরিদপুর কোতোয়ালী থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। গত ৭ জুন পুলিশের বিশেষ অভিযানে ওই মামলার আসামি হিসেবে শহর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন বরকত ও তার ভাই ফরিদপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি ইমতিয়াজ হাসান রুবেলসহ নয়জনকে গ্রেফতার করে।
তদন্তের সূত্র ধরে ঢাকার কাফরুল থানায় পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) এর পরিদর্শক এস এম মিরাজ আল মাহমুদ বাদী হয়ে গত ২৬ জুন ঢাকার কাফরুল থানায় দুই হাজার কোটি টাকা পাচারের অভিযোগ এনে বরকত ও রুবেলের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন। মানিল্ডারিং এর ওই মামলায় গত শুক্রবার গ্রেফতার করা হয় জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি নিশান মাহমুদ শামীমকে। সিআইডি সূত্রে জানা গেছে, রুবেল-বরকতের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী ছাত্রলীগের সভাপতি নিশান মাহমুদ শামীমকে গ্রেফতার করা হয়। এ ছাড়া নিশান মাহমুদের বিরুদ্ধে হামলা ও চাঁদাবাজির মামলা রয়েছে।
এদিকে সংগঠনের নীতি আদর্শ ও শৃঙ্খলা পরিপন্থী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে ফরিদপুর জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি নিশান মাহমুদ শামীম ও সাধারণ সম্পাদক মো. সাইফুল ইসলাম জীবনকে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ থেকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে।
এসি/বিবিএন/স্টাফ রিপোর্টার