‘মহানবীকে নিয়ে ব্যঙ্গ, ক্ষুদ্ধ মুসলিম বিশ্ব’
মঙ্গলবার (০১ সেপ্টেম্বার) মহানবী হযরত মোহাম্মদ সাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে অসম্মান করে আবারও ব্যঙ্গচিত্র প্রকাশ করেছে ইসলামবিরোধী কন্টেন্ট প্রকাশের জন্য বরাবরই কুখ্যাত ফরাসি ম্যাগাজিন শার্লি হেব্দো। তাদের জঘন্য এ আচরণের তীব্র প্রতিবাদ ও ক্ষোভ জানিয়েছে পুরো মুসলিম বিশ্ব।
২০০৬ সালে ব্যঙ্গাত্মক ওই কার্টুন প্রথম প্রকাশ হয় ড্যানিশ পত্রিকা জিল্যান্ডস পোস্টেনে। তখনও বিশ্বজুড়ে প্রতিবাদ, বিক্ষোভ করেন মুসলমানরা।
এক বিবৃতিতে ইরান, ফ্রান্সের ওই ম্যাগাজিনের কর্মকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে। বলা হয়, মহানবীকে নিয়ে কোনো ধরনের কটুক্তি, ব্যঙ্গাত্মক কার্টুন সহ্য করবে না মুসলিম বিশ্ব।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সায়েদ খাতিবজাদে স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে বলা হয়, মত প্রকাশের স্বাধীনতার অজুহাতে ফরাসি ম্যাগাজিন শার্লি হেব্দো মুসলমানদের ধর্মীয় অনুভূতি এবং একাত্মবাদী বিশ্বাসে আঘাত করেছে।
তিনি শার্লি হেব্দোর ন্যক্কারজনক কাজকে উস্কানিমূলক আখ্যা দিয়েছেন। বলেন, তারা বিশ্বের প্রায় ২শ’ কোটি মুসলমানের ইসলামি মূলবোধ এবং তাদের বিশ্বাসকে অসম্মান করেছে।
শার্লি হেব্দোর বিরুদ্ধে কোনো ধরনের ব্যবস্থা নিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ। ম্যাগাজিনের পক্ষ নিয়ে তিনি বলেন, শার্লি হেব্দোর বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ স্বাধীন মত প্রকাশের ওপর ভয়াবহ আঘাত।
খাতিবজাদে বলেন, মত প্রকাশের স্বাধীনতা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। তবে তা অবশ্যই সঠিক উপায়ে, শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান নিশ্চিত এবং সবার ধর্মীয় অনুভূতিকে সম্মান জানিয়ে করা উচিৎ।
ইরানের অনেক ধর্মীয় পণ্ডিতরা ফরাসি ম্যাগাজিনের ইসলাম ধর্মবিরোধী তৎপরতার নিন্দা জানিয়েছেন।
দেশটির কওম শহরের জ্যেষ্ঠ ধর্মবিশারদ মোহাম্মদ রেজা জারিয়ে খোরমিজি তুর্কি গণমাধ্যম আনাদোলু এজেন্সিকে বলেন, ফরাসি ম্যাগাজিন ইচ্ছাকৃতভাবে মুসলমানদের ধর্মীয় বিশ্বাসে আঘাত করেছে।
বলেন, এরকম ঘৃণিত কর্মকাণ্ড এটাই প্রথম নয়। আমাদের উচিৎ কঠোরভাবে এর প্রতিবাদ জানোনো, নিন্দা করা। এ ধরনের কাজ ইসলামবিরোধীরা করছে, মুলমানদের মূল্যবোধ এবং ইসলামের শীর্ষ ব্যক্তিদের অসম্মানের জন্য।
ইরানের জ্যেষ্ঠ কার্টুনিস্ট মাজয়ার বিজানি নিন্দা জানিয়ে বলেন, এধরনের ষড়যন্ত্র মুসলমান এবং ইসলামের শত্রুরা বহুদিন ধরে করে আসছে।
গেলো সপ্তাহে, সুইডেনে পবিত্র কুরআন শরিফকে অসম্মান করা হয়। এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানায় মুসলিম দেশগুলো।
ইরানের ইসলামি বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির প্রধান আয়াতুল্লাহ আলিরেজা আরাফি বলেন, হাস্যকর কর্মকাণ্ড। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উচিৎ কঠোরভাবে এর প্রতিবাদ জানানো। যাতে এমন উগ্রবাদী চিন্তা করার সাহস কেউ না পায়।
স্টাফ রিপোর্টার/বে অব বেঙ্গল নিউজ