ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পরিচয়ে ২৭ নারীর সঙ্গে প্রতারণাঃ গ্রেফতার ১…
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের নাম ব্যবহার করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম (ফেসবুকে) ভুয়া একাউন্ট খুলে প্রতারণার অভিযোগে বরগুনায় মোস্তাফিজুর রহমান বাদল নামে এক ব্যক্তিকে আটক করেছে পুলিশ।পুলিশ জানায়, তার বিরুদ্ধে ভুয়া ফেসবুক অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে ২৭ জন নারীর সঙ্গে প্রতারণা করার অভিযোগ রয়েছে।
বরগুনা পৌর শহরের কাঠপট্টি এলাকা থেকে শনিবার (৫ সেপ্টেম্বর) রাত ৮টার দিকে বাদলকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তার বাড়ি বরগুনা সদর উপজেলার ঢলুয়া ইউনিয়নের চরকগাছিয়া এলাকায়। জানা যায়, ওই এলাকার মজিদ দফাদারের ছেলে তিনি। এছাড়া কাঠপট্টি এলাকায় তার ফার্মেসির ব্যবসা রয়েছে বলেও জানা যায়।
বরগুনা থানা পুলিশ জানান, বাদলের চেহারার কিছুটা ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবু সাইদের চেহারার সঙ্গে মিলে। যার সুযোগ নিয়ে আটককৃত ব্যাক্তি অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের নামে একটি ফেসবুক আইডি ব্যবহার করে আসছেন। সম্প্রতি বিষয়টি পুলিশ সুপার আবু সাইদের নজরে আসে। তিনি তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তা নিয়ে বাদল এ কাজটি করে আসছে নিশ্চিত হয়ে বরগুনা পুলিশকে বিষয়টি জানান। শনিবার রাত ৮টার দিকে অভিযান চালিয়ে নিজের ওষুধের দোকান থেকে তাকে আটক করা হয়।
এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবু সাইদ বলেন, সম্প্রতি বিষয়টি আমার নজরে এলে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় আমি ওই ব্যক্তি ও তার অবস্থান নিশ্চিত হই। বিষয়টি আমি বরগুনা পুলিশকে অবহিত করে তাদের সহায়তা কামনা করেছিলাম।
এছাড়া তার বিরুদ্ধে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিধিমোতাবেক মামলা দায়ের করা হবে বলেও বলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবু সাইদ।
এবিষয়ে বরগুনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তরিকুল ইসলাম অরুন গণমাধ্যমকে জানান, প্রতারক বাদল এডিশনাল এসপি পরিচয়ে অন্তত ২৭ জন নারীর সঙ্গে ফেসবুকে সম্পর্ক গড়ে তোলে এবং মেসেঞ্জারে আপত্তিকর ছবি ভিডিও আদান প্রদান করে।
এছাড়া তাকে রোববার আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে বলেও জানান বরগুনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তরিকুল ইসলাম অরুন।
স্টাফ রিপোর্টার / বিবিএন।