বীরশ্রেষ্ঠ মোস্তফা কামালের মা মালেকা বেগমের মৃত্যু
মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৭টার পর ভোলা সদর উপজেলার আলীনগর ইউনিয়নের মৌটুপি গ্রামে নিজের বাড়িতে তার মৃত্যু হয়।
মালেকা বেগম দীর্ঘদিন ধরেই কিডনি জটিলতা, রক্তশূন্যতাসহ বার্ধক্যজনিত বিভিন্ন সমস্যায় ভুগছিলেন। গত অগাস্টে তাকে হেলিকপ্টারে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে নিয়েও চিকিৎসা দিতে হয়েছিল।
সেখান থেকে গত ৩ সেপ্টেম্বর ভোলার বাড়িতে ফেরেন মালেকা বেগম। তার পাঁচ দিনের মাথায় তার মৃত্যু হল।
মঙ্গলবার বিকেলে আছরের নামাজের পর স্থানীয় বীরশ্রেষ্ঠ ঈদগাহ মাঠে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে মালেকা বেগমকে সমাহিত করা হয়।
বীরশ্রেষ্ঠ মোস্তফা কামাল ১৯৪৭ সালের ১৬ ডিসেম্বর ভোলার দৌলতখান উপজেলার হাজীপুর গ্রামে জম্মগ্রহণ করেন। তার বাবার নাম হাবিবুর রহমান।
প্রয়াত হাবিলদার হাবিবুর রহমান ও মালেকা বেগমের দুই ছেলে ও তিন মেয়ের মধ্যে মোস্তফা কামাল ছিলেন সবার বড়।
মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে ১৯৭১ সালের ১৮ এপ্রিল পাকিস্তানি বাহিনীর সঙ্গে লড়াইয়ে নিজের জীবন দিয়ে অনেক সহযোদ্ধার জীবন বাঁচিয়েছিলেন মোস্তফা কামাল।
স্বাধীনতাযুদ্ধের যে সাতজন বীরকে সরকার বাংলাদেশের সর্বোচ্চ সামরিক সম্মান ‘বীরশ্রেষ্ঠ’উপাধিতে ভূষিত করেছে, মোস্তফা কামাল তাদেরই একজন।
১৯৮২ সালে মেঘনা নদীর ভাঙনে দৌলতখানের বাড়িটি বিলীন হয়ে গেলে সদর উপজেলার আলীনগর ইউনিয়নের মৌটুপী গ্রামে চলে আসে মোস্তফা কামালের পরিবার।
পরে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সেখানে ৯২ শতাংশ জমিতে ‘শহীদ স্মরণিকা’ নামে একতলা পাকা ভবন নির্মাণ করে দেয়।