ফ্রেন্ডশিপ অর্গানাইজেশনের মাস ব্যাপী ইফতার সামগ্রী বিতরণ সম্পন্ন
দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম সেচ্ছাসেবী সংগঠন ফ্রেন্ডশিপ অর্গানাইজেশনের মাস ব্যাপী ইফতার সামগ্রী বিতরণ প্রজেক্ট কর্মসূচি আজ পবিত্র ২৮ রমজানে সম্পন্ন।
ফ্রেন্ডশিপ অর্গানাইজেশন বাংলাদেশের একটি অন্যতম বৃহৎ বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থা। ফ্রেন্ডশিপ অর্গানাইজেশনের এর পক্ষ থেকে আপনাদের সবাইকে পবিত্র মাহে রমজানের শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। ফ্রেন্ডশিপ এর মূল লক্ষ্য দেশের পিছিয়ে থাকা হতদরিদ্র ও সুবিধা বঞ্চিত অসহায় মানুষের কল্যাণে কাজ করে যাওয়া।
এ লক্ষ্যে “ ফ্রেন্ডশিপ অর্গানাইজেশন আর্তমানবতার সেবায় পবিত্র মাহে রমজানে ইফতার বিতরণের এক বিশেষ পরিকল্পনা ও কর্মসূচী হাতে নিয়েছে।
মহান আল্লাহ তা’য়ালার অসীম করুনা, মুক্তি ও নাজাতের বার্তা নিয়ে প্রতি বছর আসে পবিত্র মাহে রমজান। আমাদের দেশে অসংখ্য অসহায় ও দরিদ্র মানুষের বসবাস, তাঁরা সারাদিন রোজা রাখেন কিন্তু তাদের অনেকের পক্ষে ইফতার কেনার সামর্থ্য হয় না। এছাড়াও অনেক পথচারীর চলার পথে ইফতার করার সময় ও সুযোগ হয় না।
তাই সকল রোজাদারদের মাঝে ইফতার বিতরণের মাধ্যমে আমরা আমাদের সামাজিক ও নৈতিক দায়বদ্ধতা হতে কিছু করতে চেষ্টা করছি। আর তাই সেই লক্ষ্যে রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন টার্মিনাল, রেলষ্টেশন, বস্তি এলাকায় মাসব্যাপী আমাদের ইফতার, সেহেরি ও শুকনো খাবার বিতরণ কার্যক্রম চলবে ইন্শাল্লাহ।
ইন্টারন্যাশনাল ফ্রেন্ডশিপ অর্গানাইজেশনের দৃঢ় ভাবে বিশ্বাস করে আমরা সবাই যদি আমাদের নিজ নিজ অবস্থান থেকে অসহায় ও দরিদ্র মানুষের কল্যাণে এগিয়ে আসি তাহলেই একদিন ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত শান্তিময় এক মানবিক বাংলাদেশ সু-প্রতিষ্ঠিত হবে।
পবিত্র মাহে রমজান কে সামনে রেখে ৪ চার বিভাগে ২৪ হাজার পরিবার ইফতার সামগ্রী বিতরণ করেন।
অসহায় ও গরিব পরিবারের মাঝে খাদ্য বিতরণঃ
করোনা মহামারির এই দুর্যোগ মুহুর্তে সমাজের অসহায় ও হতদরিদ্র মানুষের আর্তসামাজিক অবস্থা অনেকটাই সংকটাপন্য পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে অতিবাহিত চলছে। পাশাপাশি জীবন জীবিকা ও পরিবারের মৌলিক চাহিদা মেটানোও খুবই কষ্ট সাধ্য হয়ে পড়েছে সাধারনের মানুষের পক্ষে।
অসহায় এতিম মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের মাঝে ইফতার ও সেহেরি বিতরণঃ
বাংলাদেশে মাদ্রাসা শিক্ষা ব্যবস্থার দু’টি প্রধান ধারা- আলিয়া এবং কওমি। এছাড়া হাফেজিয়া, ফোরাকানিয়া ও ইবতেদায়ী মাদ্রাসা আছে। আলিয়া এবং কওমি মাদ্রাসা দুটোই সরকার স্বীকৃত। বাংলাদেশের প্রধানত মসজিদকে কেন্দ্র করেই কওমি মাদ্রাসাগুলো গড়ে উঠেছে। এই মাদ্রাসার ছাত্ররা প্রধানত আবাসিক, লিল্লাহ বোডিং-এর আওতায় তাদের থাকা, খাওয়া এবং পড়াশুনার খরচ মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষই বহন করে। তবে তারা সরকারি কোনো সহযোগিতা বা অনুদান নেয় না। মুসলমানদের যাকাত, ফিতরা, কোরাবানির চামড়া, অনুদানের টাকায়ই মাদ্রাসাগুলো সাধারনত পরিচালিত হয়।
এসকল মাদ্রাসায় শিক্ষা নিতে আসা অধিকাংশ ছাত্ররাই নিম্নমধ্যবিত্ত কিংবা অস্বচ্ছল পরিবারের সন্তান। মাদ্রাসায় তাদের পড়াশোনার পাশাপাশি খাওয়া-দাওয়া, পোশাক-পরিচ্ছদসহ অন্যান্য খরচ বহন করে। তাই অনেক অস্বচ্ছল পরিবার মাদ্রাসায় পড়ানোর আগ্রহ দেখায়। তবে সকল মাদ্রাসায় অনুদান ও সহযোগিতার অর্থ পর্যাপ্ত না হওয়ায় ছাত্রদের প্রয়োজন মেটানো সম্ভব হয়ে উঠে না।
আবার অনেক মাদ্রাসায় ছাত্রদের খাবারের মানও ততোটা মানসম্মত নয়। আমাদের মুসলিম সমাজ ব্যবস্থার ভিত মজবুত রাখার জন্য মাদ্রাসা শিক্ষা খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে একদিন আলোর পথ দেখাবে এসকল ছোট্ট কান্ডারীরা। তাই আমাদের উচিৎ তাদের মৌলিক অধিকারের উপর সমাজ, রাষ্ট্র, ব্যাক্তি এবং প্রতিষ্ঠান সকলে নজরদারী বাড়ানো। কারন সৃষ্টিকর্তার আরাধনা করার সময় যেন তারা অনাহারে না থাকে। কারো সুন্দর পোশাক দেখে যেন তাদের বুক দীর্ঘশ্বাসে ভরে না যায়। তারা যেন খুশি মনে সৃষ্টিকর্তার আরাধনা করতে পারে।
আর তাই ঐ সকল মাদ্রসা শিক্ষার্থীদের সহায়তা সমাজের বৃত্তবান মানুষ হিসেবে করতে পারি আমরা সকলে। সামনে আসছে বহুল বরকতময় মাস রমজান। আসুন আমরা আমাদের সামর্থ্য অনুযায়ী তাদেরকে মন খুলে যার যার সামর্থ্য অনুযায়ী সাহায্য করি এবং রমজান মাসের পবিত্রতা পালন করি।
অসহায় ও গরিব পরিবারের মাঝে খাদ্য বিতরণঃ
করোনা মহামারির এই দুর্যোগ মুহুর্তে সমাজের অসহায় ও হতদরিদ্র মানুষের আর্তসামাজিক অবস্থা অনেকটাই সংকটাপন্য পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে অতিবাহিত হচ্ছে। পাশাপাশি জীবন জীবিকা ও পরিবারের মৌলিক চাহিদা মেটানোও খুবই কষ্ট সাধ্য হয়ে পড়েছে সাধারনের পক্ষে।