প্রায় ৪ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অজর্ন; প্রদীপ দম্পতির বিরুদ্ধে দুদকের মামলা…
কক্সবাজারের টেকনাফ থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশ ও তাঁর স্ত্রী চুমকি কারণের বিরুদ্ধে ৩ কোটি ৯৫ লক্ষ ০৫ হাজার ৬৩৫ টাকার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও মানিলন্ডারিংয়ের অভিযোগে মামলা দায়েরের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুদক।
দুর্নীতি দমন কমিশনের সমন্বিত জেলা কার্যালয়, চট্টগ্রাম-২ এর সহকারী পরিচালক মো. রিয়াজউদদ্দিন অভিযোগ সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আসা অভিযোগের অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা ছিলেন। তাঁর অনুসন্ধান প্রতিবেদনের ভিত্তিতে কমিশন টেকনাফ থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা প্রদীপ কুমার দাশ (ওসি) ও তাঁর স্ত্রী চুমকি কারণের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
উল্লেখ্য,গত বছরের ১২ই মে দুদকে সম্পদের হিসাব বিবরণী দাখিল করেন প্রদীপ কুমার ও তার স্ত্রী। স্থাবর -অস্থাবর মিলিয়ে মোট ৪ কোটি ২২ লাখ ৪৮ হাজার ৮৬৯ টাকার সম্পদ দেখান, যার সব টাই প্রদীপের স্ত্রীর নামে। জানা যায়,দৃশ্যমান কোন আয়ের উস নেই প্রদীপের স্ত্রী চুমকি কারণের। অথচ,চট্টগ্রাম নগরীর পাথর ঘাটার” লক্ষীকুঞ্জ “নামের ৬ তলা বাড়ীটি তার নামে।
অনুসন্ধানে, দুদক তার বৈধ ও গ্রহন যোগ্য আয় পেয়েছে ৪৯ লক্ষ ১৩হাজার টাকা।বাকী ৩ কোটি ৯৫ লক্ষ ০৫ হাজার ৬৩৫ টাকার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন এবং ঘুষ-দুর্নীতির মাধ্যমে অর্জিত বলে এজেহারে উল্লেখ করা হয়েছে। অভিযোগে বলা হয়েছে, আসামিগণ অসৎ উদ্দেশ্যে একে অপরের সহযোগিতায় অর্পিত ক্ষমতার অপব্যবহার করে দুর্নীতি দমন কমিশনে দাখিলকৃত সম্পদ বিবরণীতে ১৩,১৩, ১৭৫.০০ টাকার সম্পদ অর্জনের তথ্য গোপনপূর্বক মিথ্যা তথ্য প্রদান এবং ৩,৯৫, ০৫,৬৩৫.০০ টাকার সম্পদ জ্ঞাতসারে মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর সম্পৃক্ত অপরাধ ‘ঘুষ ও দুর্নীতি’র মাধ্যমে জ্ঞাত আয়ের উৎসের সাথে অসঙ্গতিপূর্ণভাবে অর্জনপূর্বক উক্ত অবৈধ সম্পদ স্থানান্তর, হস্তান্তর ও রূপান্তর করে ভোগদখলে রাখার অপরাধে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন,২০০৪ এর ২৬ (২) ধারা, ২৭ (১) ধারা, মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪ (২) ধারা, ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২)ধারাসহ দণ্ডবিধির ১০৯ ধারায় চট্টগ্রামে মামলাটি দায়ের করা হয়েছে।
সূত্রঃ দুদক(দুর্নীতি দমন কমিশন)
বিশেষ প্রতিবেদক
আমির চৌধুরী/বিবিএন