নিষিদ্ধ হলেও কাঁঠালবাড়ী-শিমুলিয়া নৌরুটে রাতে চলছে লঞ্চ
সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী সন্ধ্যা ছয়টা থেকে সকাল ছয়টা পর্যন্ত লঞ্চ চলাচলে নিষেধাজ্ঞা থাকলেও প্রতিনিয়ত কাঁঠালবাড়ী-শিমুলিয়া নৌরুটে রাতের আধারে যাত্রী নিয়ে চলছে লঞ্চ।
পদ্মা সেতুর চ্যানেল মুখে ড্রেজার পাইপ এর সাথে গত ২৭ সেপ্টেম্বর রাতে ধাক্কা লাগে এম ভি শ্রেষ্ঠ ২ লঞ্চের। এতে কিছু সময়ের মধ্যে লঞ্চের তলা ফেটে প্রায় অর্ধেক ডুবে যায়। লঞ্চ মাস্টারের কৌশল বেঁচে যান প্রায় আড়াইশো যাত্রী।
অভিযোগ উত্তাল পদ্মায় রাতের আঁধারে লঞ্চ চালাচ্ছেন একশ্রেণীর অসাধু মালিক সাথে জড়িত বিআইডব্লিউটিএ-র কিছু কর্মকর্তা। যদিও লঞ্চ মালিক বিআইডব্লিউটিএ-র দাবি নির্দিষ্ট সময় মেনে লঞ্চ চলছে। নদীতে নাব্যতা থাকায় দুর্ঘটনায় পড়তে হচ্ছে।
এ ব্যাপারে কাঠালবাড়ি ঘাট এর লঞ্চ মালিক সমিতির সভাপতি বিএম আতাহার বেপারী বলেন, বিআইডব্লিউটিএ-র ড্রেজার বিভাগের কাছে আমাদের একটি আবেদন লঞ্চ চলাচলের রুটটি যেনো তারা ক্লিয়ার করে দেন যাতে করে আমরা স্বাভাবিকভাবে চলাচল করতে পারি।
এদিকে বিআইডব্লিউটিএ এর পরিবহন পরিদর্শক আখতার হোসেন বলেন, প্রত্যেকটা লঞ্চের জীবন বাঁচানোর সরঞ্জামাদি আছে কিনা এবং লঞ্চের ধারণক্ষমতা আছে কিনা তা আমরা এখান থেকে দেখেই লঞ্চ আমরা ছেড়ে দেই এবং সন্ধ্যা ছয়টা হলে সঙ্গে সঙ্গে আমরা লঞ্চ বন্ধ করে দেই।
রাতের আঁধারে শুধু লঞ্চ নয় স্পিডবোটেও পার হচ্ছেন যাত্রীরা। তথ্য বলছে এ জন্য প্রতি বছর ২০ থেকে ২৫ টি দুর্ঘটনায় হতাহতের ঘটনা ঘটে।
ওয়াইএইচ / বে অব বেঙ্গল নিউজ / Bay of Bengal news