কাজের খোঁজে আসা নারীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের সময় চিৎকারে হাতেনাতে আটক ৩
বগুড়ার শেরপুরে কাজের খোঁজে আসা স্বামী পরিত্যক্তা এক নারীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। এসময় ধর্ষণের শিকার ওই নারীর চিৎকারে আশপাশের লোকজন এসে তিনজনকে হাতেনাতে আটক করেন। পরে গণধোলাই দিয়ে তাদের পুলিশে সোপর্দ করা হয়।
এ ঘটনায় শুক্রবার দুপুরে শেরপুর থানায় ভুক্তভোগী এই নারী বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছেন।
গ্রেপ্তাররা হলেন- উপজেলার কুসুম্বী ইউনিয়নের বাগড়া হঠাৎপাড়া গ্রামের আব্দুস সামাদের ছেলে মামুন প্রামাণিক (৩৫), একই গ্রামের আবুল সেখের ছেলে আব্দুল খালেক (২৮) ও পৌরশহরের উত্তরসাহাপাড়া এলাকার সাইফুল সরকারের ছেলে সোহাগ সরকার (২২)।
মামলা সূত্রে জানা যায়, জেলার ধুনট উপজেলার গোসাইবাড়ী ইউনিয়নের গোসাইবাড়ী চিতুলিয়া গ্রামের আবিন সরকারের স্বামী পরিত্যক্তা ওই নারী বাসা-বাড়িতে কাজের খোঁজে বৃহস্পতিবার বিকেলে শেরপুর শহরে আসেন।
সম্পর্কিয় খবর
স্কুলছাত্রীর অশ্লীল ছবিসহ ভিডিও করে ব্ল্যাকমেইল ।। যৌন নিপীড়নকারী শিক্ষক আটক
ফ্রান্সের আইনে ১৫ বছরের নিচে যৌন সম্পর্ক ধর্ষণ হিসেবে বিবেচ্য
এরপর শহরের একাধিক বাড়িতে কাজের খোঁজ করেন। একপর্যায়ে রাত নেমে এলে বাড়ি ফেরার উদ্দেশ্যে ধুনটমোড়স্থ সিএনজি অটোরিকশা স্ট্যান্ডে গাড়ির জন্য অপেক্ষা করছিলেন।
তখন রাত আটটার মতো বাজে। এসম গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা বাগড়া হঠাৎপাড়া গ্রামের একটি বাড়িতে কাজের সন্ধান দেন। সেইসঙ্গে ব্যাটারিচালিত একটি অটোরিকশাযোগে সেখানে তাকে নিয়ে যাওয়া হয়।
কিন্তু সেখানে পৌঁছার পর ওই বাড়িতে তাকে না নিয়ে একটি পুকুরপাড়ে নিয়ে যায় তারা। পরে প্রাণনাশের ভয় দেখিয়ে জোরপূর্বক ওই নারীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করতে থাকে। এসময় তার চিৎকারে আশপাশের লোকজন এসে তাদের হাতেনাতে আটক করেন। পরবর্তীতে তাদের পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
শেরপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আবুল কালাম আজাদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ধর্ষণের শিকার ওই নারী বাদী হয়ে থানায় মামলা দিয়েছেন। পরে তার ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য শুক্রবার দুপুরে বগুড়ায় শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। সেইসঙ্গে গ্রেপ্তার তিনজনকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।