নারায়ণগঞ্জে মসজিদে বিস্ফোরণের ঘটনায় গ্রেফতার তিতাসের আট কর্মকর্তা-কর্মচারী ২দিনের রিমান্ডে…
নারায়ণগঞ্জে মসজিদে বিস্ফোরণ ও হতাহতের ঘটনায় তিতাসের নারায়ণগঞ্জ আঞ্চলিক কার্যালয় থেকে সাময়িক বরখাস্ত হওয়া চার প্রকৌশলীসহ প্রতিষ্ঠানটির আট কর্মকর্তা-কর্মচারীকে গ্রেপ্তারের পর আদালতে হাজির করে ৫ দিনের রিমান্ডের আবেদন করলে, শুনানি শেষে প্রত্যেককে দুই দিনের করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন নারায়ণগঞ্জের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কাউসার আলমের আদালত।
এর আগে শনিবার সকালে ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তিতাসের ওই আটজনকে আটক করে সিআইডি পুলিশ।পরে নারায়ণগঞ্জের পশ্চিম তল্লার বাইতুস সালাত জামে মসজিদে সংঘটিত বিস্ফোরণের ঘটনায় ফতুল্লা মডেল থানায় করা মামলায় তাদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
এদিকে সিআইডি প্রাথমিক তদন্ত ও সাক্ষ্য প্রমাণে তাদের বিরুদ্ধে অবহেলার প্রমাণ পেয়েছে বলে জানানো হয়েছে। মামলার মূল রহস্য উদ্ঘাটন করার জন্য তাদের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে।
শনিবার বিকালে আদালতে তাদের হাজির করে গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তিদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঁচ দিনের রিমান্ডের আবেদন জানিয়েছিল সিআইডি।
নারায়ণগঞ্জের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কাউসার আলমের আদালত শুনানি শেষে প্রত্যেককে দুই দিনের করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) অভিযানে গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন-তিতাস নারায়ণগঞ্জ আঞ্চলিক কার্যালয়ের ফতুল্লা অঞ্চলের ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী মো. সিরাজুল ইসলাম, উপ-ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী মাহমুদুর রহমান রাব্বি, সহকারী প্রকৌশলী এসএম হাসান শাহরিয়ার, সহকারি প্রকৌশলী মানিক মিয়া, সিনিয়র সুপারভাইজার মো. মুনিবুর রহমান চৌধুরী, সিনিয়র উন্নয়নকারী মো. আইউব আলী, হেলপার মো. হানিফ মিয়া ওকর্মচারী মো. ইসমাইল প্রধান।
এর আগে মসজিদে জমে থাকা গ্যাসের বিস্ফোরণে হতাহতের ঘটনার ৩ দিন পর গত ৭ সেপ্টেম্বর ওই ৮ জনকে দায়িত্বে অবহেলার কারণে সাময়িক বরখাস্ত করে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়।
এদিকে সিআইডি প্রাথমিক তদন্ত ও সাক্ষ্য প্রমাণে তাদের বিরুদ্ধে অবহেলার প্রমাণ পেয়েছে বলে জানানো হয়েছে। মামলার মূল রহস্য উদ্ঘাটন করার জন্য তাদের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ৪ সেপ্টেম্বর রাতে এশার নামাজ চলাকালে পশ্চিম তল্লার বাইতুস সালাত জামে মসজিদে জমে থাকা গ্যাসের বিস্ফোরণ থেকে সৃষ্ট অগ্নিকাণ্ডে মসজিদের ভেতরে ৩৪ জন দগ্ধ হন। ওই ঘটনায় মসজিদের আশপাশে থাকা আরও ৩ জন দগ্ধ হন।
দগ্ধ ৩৭ জনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শেখ হাসিনা বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটে নিয়ে গেলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার পর্যন্ত ৩৩ জন মারা যান। চিকিৎসাধীন বাকি ৩ জনের অবস্থাও আশঙ্কাজনক।
এসি/বিবিএন /স্টাফ রিপোর্টার।