নদীর কূলে রাজপ্রাসাদ
মিনহাজুল ইসলাম ইমন
নদীর কূলে রাজপ্রাসাদ
মিনহাজুল ইসলাম ইমন
নৌকা ছিলো তাদের রাজপ্রাসাদ, ঘুম হতো জলের ঢেউয়ে।
জীবন ছিলো সুন্দর, যান্ত্রিকতা তাদের কি বোধগম্য ছিলো?
না!
আজ তারা রাস্তার পাশে, তোমাদের বিরক্তির কারণ হয়ে ঘুরে।
হাত পাতে দুটি টাকার জন্য।তাদের দেখলে আমি কল্পনায় তাদের রাজপ্রাসাদ খুজে বেড়াই।
তারা পথ হারা। কেনো জানো?
তোমার সমাজ তাদের একটি নাম দিয়েছে বেদ,নিচুজাতের দোহাই দিয়ে তাদের নিচুই রেখে দিলে।তোমার সমাজ জিতে গেলো।
সারি সারি ডিঙ্গি নৌকা, ছোট করে ছালা ঘর।
আস্ত এক সংসার সাথে কয়েক সন্তান।
দিব্বি দিন কেটে জেতো তাদের।তারা মিথ্যাবাদী, কেন জানো?
কারণ তাদের একটা পেট আছে সবার মত।তাই তারা সিংঙ্গা দেয়,ছয় নয় বুঝিয়ে তাদের আহার জোগাড় করে।
ক্ষুধা যখন মূখ্য দুনিয়ায় রং তামশা গৌণ।
“হে মহাজীবন” কবিতায় সুকান্ত ভট্টাচার্যের একটা লাইন মনে করিয়ে দিচ্ছি,
“ক্ষুধার রাজ্যে পৃথিবী গদ্যময়, পূর্ণিমার চাঁদ যেন ঝলসানো রুটি”
দিন শেষ তারা ও রক্তে মাংসের একটি দেহ।
আমি এখনো হুমরা বাইদ্দা কে খুজে বেড়াই, খুজে বেড়ায়,
তার পালিত কন্যা মহুয়াকে। নদীর ধারে তাদের রাজপ্রাসাদ খুজি।
তারা হারিয়ে যায়নি, হারিয়েছে আমাদের ঐতিহ্যের একটি অংশ।
যান্ত্রিকতা আমাদের এত বেশি ব্যস্ত রেখেছে আমরা বুঝিনা কে আছে কে হারিয়ে যাচ্ছে।
ব্যস্ততা ব্যস্ততা বলে আমরা অনেক দূর চলে যাই একাকি।
ক্লান্ত দেহ যখন কিছুটা বিশ্রাম নিতে চায় তখন অনুভবে ফিরে আসে, প্রশ্ন জাগে একাকি কেন আমি!
এমনটা কখনো বলছি না, যে যান্ত্রিক হওয়া যাবেনা।
এমন যান্ত্রিক হওয়া থেকে না হওয়ায় শ্রেয়, যে যান্ত্রিকতা দিনশেষে অনুভবে শূন্যতা জাগায়।
লেখকঃ
মিনহাজুল ইসলাম ইমন
টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং ৩য় বর্ষের শিক্ষার্থী
পোর্ট সিটি ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি