দম আটকানো ম্যাচে জয় পেল লিভারপুল
চোখের পলকেই কিছু না কিছু হয়ে যাচ্ছিল। দুটি দল যখন আক্রমণকেই মূল মন্ত্র ভেবে নামে তখন ফুটবলটা চোখের জন্য কতটা আরামদায়ক হয়ে ওঠে সেটা বোঝা গেল আজ। একদিকে প্রেসিং ফুটবলকে আশ্রয় করে নামা বর্তমান চ্যাম্পিয়ন লিভারপুল। ওদিকে মার্সেলো বিয়েলসার কোচিং দর্শন আত্মস্থ করে চ্যাম্পিয়নশিপ জয় করে আসা লিডস।
এমন এক ম্যাচে ফেবারিট তকমা নিয়ে নামা লিভারপুলকে স্তব্ধ করে দিল লিডস। ইটের জবাব পাটকেল দিয়েই দিচ্ছিল লিডস। কিন্তু শেষ মুহূর্তের এক ভুলে লিভারপুলকে আটকানো হলো না। ৪-৩ গোলে হেরে গেল লিডস।
অ্যানফিল্ডে গত কয়েক মৌসুমে পাত্তা পায়নি কোনো ইংলিশ দল। কিন্তু নবাগত বলেই হয়তো অ্যানফিল্ড নিয়ে জুজু দেখা যায়নি লিডসের মাঝে। ম্যাচের শুরুতে মিনিট কয়েকই শুধু লিভারপুলের টানা প্রেসিংয়ের সামনে ছন্নছাড়া মনে হয়েছিল লিডসকে। সেই ভাবটা কেটে ওঠার আগেই গোল খেয়ে বসল তারা।
৩ মিনিটে নিজের আদায় করা পেনাল্টি থেকে দলকে এগিয়ে দিলেন মোহাম্মদ সালাহ।
কিন্তু সে আনন্দ খুব বেশিক্ষণ স্থায়ী হলো না। ১২ মিনিটে জ্যাক হ্যারিসন প্রায় মাঝমাঠ থেকে উড়ে আসা বল দারুণ দক্ষতায় নিয়ন্ত্রণে নিলে। লিভারপুল রাইটব্যাক আলেক্সান্ডার আরনল্ডকে বোকা বানিয়ে দারুণ এক শটে সমতা ফেরালেন লিডস মিডফিল্ডার।
২০ মিনিটে দলকে এগিয়ে দিলেন ভার্জিল ফন ডাইক। রবার্টসনের ক্রস থেকে জোরালো হেডে এগিয়ে দেওয়া ডাইক মিনিট দশেক পরই খলনায়ক বনে গেছেন। তাঁর এক ভুলে বল পেয়ে লিডসকে সমতা এনে দিয়েছেন প্যাট্রিক ব্যামফোর্ড। তবে লিভারপুলকে খুব বেশিক্ষণ দুশ্চিন্তায় থাকতে দেননি সালাহ। দারুণ এক শটে ৩৩ মিনিটেই আবারও লিভারপুলকে (৩-২) এগিয়ে দিলেন সালাহ।
দ্বিতীয়ার্ধেও খেলার গতি কমেনি। লিভারপুলের মাঠে এসে প্রতিপক্ষ গুটিয়ে থাকে। কিন্তু লিডস প্রতিপক্ষের ডি-বক্সেও পাঁচজন পাঠাতে ভয় করেনি। এরই ফল মিলল ৬৬ মিনিটে। নিজেদের অর্ধে থ্রো-ইন পেয়েছিল লিভারপুল। প্রেসিং করে বল কেড়ে লিডস। ডি-বক্সে দারুণ দক্ষতা দেখিয়ে সমতা ফেরালেন ক্লিচ।
৮৭ মিনিটে কপাল পুড়ল লিডসের। প্রথমার্ধে ৩ মিনিটে এবারই দলে ঢোকা কচ পেনাল্টি উপহার দিয়েছিলেন, দ্বিতীয়ার্ধের খেলা শেষ হওয়ার তিন মিনিট আগে দিলেন আরেক নবাগত। রেকর্ড গড়ে যাকে দলে এনেছে লিডস, সেই রদ্রিগো পেনাল্টি উপহার দিলেন ফাবিনহোকে ফাউল করে। পেনাল্টি থেকে গোল করতে কোনো ভুল হয়নি সালাহর।
স্টাফ রিপোর্টার/বে অব বেঙ্গল নিউজ