ঢাবি শিক্ষার্থী ধর্ষকের বিচার কার্যক্রম শুরু…
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষার্থী ধর্ষণ মামলায় আসামি মজনুর বিরুদ্ধে অভিযোগ (চার্জশিট) গঠন করেছেন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল। প্রায় ৭ মাস পর অভিযোগ গঠনের মধ্যে দিয়ে এ ঘটনার বিচার কাজ আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হলো।
বুধবার (২৬ আগস্ট) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭ এর বিচারক বেগম মোসাম্মৎ কামরুন্নাহারের আদালতে মামলার অভিযোগ গঠনের ভার্চুয়াল শুনানি শুরু হয়।
গত ৫ জানুয়ারি সন্ধ্যার পর সাড়ে ৫টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসে রওনা দেন ওই ছাত্রী। সন্ধ্যা ৭টার দিকে তিনি রাজধানীর কুর্মিটোলা বাসস্ট্যান্ডে বাস থেকে নামেন। এরপর একজন অজ্ঞাত ব্যক্তি তার মুখ চেপে ধরে সড়কের পেছনে নির্জন স্থানে নিয়ে যায়। সেখানে ধর্ষণের পাশাপাশি তাকে নির্যাতনও করা হয়। তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে ক্ষতচিহ্ন রয়েছে। ধর্ষণের একপর্যায়ে তিনি অজ্ঞান হয়ে পড়েন। রাত ১০টার দিকে নিজেকে একটি নির্জন জায়গায় নিজেকে আবিষ্কার করেন ওই ছাত্রী। পরে সিএনজি নিয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে আসেন। রাত ১২টার দিকে ওই ছাত্রীকে ঢামেক হাসপাতালের ওয়ানস্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) ভর্তি করান তার সহপাঠীরা।
৬ জানুয়ারি রাতে ধর্ষণের শিকার ওই ছাত্রীর বাবা ক্যান্টনমেন্ট থানায় মামলা দায়ের করলে প্রাথমিক যাচাই-বাছাই করে ঐ রাতেই নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৯ (১) ধারায় মামলা তালিকাভুক্ত করে থানা কর্তৃপক্ষ।
পরে ৮ জানুয়ারি ধর্ষক মজনুকে প্রেফতার করে র্যাব। আদালতে রিমান্ড মঞ্জুর করা হলে তাকে জিজ্ঞাসাবাদে জন্যে র্যাব হেফাজতে রিমান্ডে নিয়ে যাওয়া হয়। জিজ্ঞাসাবাদে ধর্ষণের কথা স্বীকার করেন মজনু।
১৬ জানুয়ারি আদালতে আইনি ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়ে ধর্ষণের দায় স্বীকার করেন মজনু।
বিবিএন / স্টাফ রিপোর্টার।