বীজ বপন এ ব্যবহৃত হচ্ছে ড্রোন
পাখির মতো সারি বেঁধে উঠছে ড্রোন। চোখের নিমিষে মাটিতে ফেলে যাচ্ছে একের পর এক বীজ। অল্প সময়ে হেক্টর এরপর হেক্টর জমিতে বীজ বপনের এমন পদ্ধতি ব্যবহার করছেন উন্নত বিশ্বে প্রভৃতি বিজ্ঞানীরা।
ম্যানগ্রোভ পাহাড় এমনকি সমুদ্রপাড়ে পতিত বিস্তীর্ণ জমিতে অধিক পরিমাণে বীজ বপনের জন্য জনপ্রিয় এই ড্রোন। সিদ ফায়ারিং নামেও পরিচিত এই জনপ্রিয় ড্রোনটি। আকাশে উঠছে ড্রোন, হঠাৎ দেখে কেউ ভাবতে পারেন গুপ্তচর হিসেবে নিচ্ছে তথ্য অথবা কেউ ছবি তুলছে বিচিত্র কিছুর।
কিন্তু মানুষের এমন ভাবনা কে পাল্টে দিয়ে একই ড্রোন দিয়ে জমিতে বপন করছে বীজ। মূলত সময় এবং খরচ বাঁচাতে কৃষি এখন প্রযুক্তি নির্ভর হচ্ছে। যেখানে গুরুত্বপূর্ণ জনপ্রিয় অবস্থানে আছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ড্রোন যাকে বলা হয় সিড ফায়ারিং ড্রোন।
ন্যাশনাল জিওগ্রাফি বলছে ইচ্ছা করে বৃক্ষ নিধন ও দাবানলের কারণে গত ২০ বছরে বিশ্ব হারিয়েছে প্রায় ৫ লক্ষ বর্গ মাইল বন। বায়ো কার্বন প্রকৌশলীদের বিকাশ বিশ্বাস এই অবস্থার উত্তরণ সম্ভব কেবল নতুন বৃক্ষ রোপনের মাধ্যমে কেবল গাছ নয়, রোপন করা যেতে পারে মাইলের পর মাইল ঘাস।
তাই অস্বাভাবিক মাত্রায় বৃক্ষ নিধনের বিপরীতে বিস্তীর্ণ বনায়নে ব্যবহার হচ্ছে সিড ফায়ারিং ড্রোনের। যুক্তরাজ্যসহ কদর বেড়েছে আয়ারল্যান্ড মায়ানমার যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, ভারতসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে নাম দেয়া হয়েছে সিড ফায়ারিং ড্রোন।
এই সিড ফায়ারিং ড্রোন দিয়ে নিমিষেই ম্যানগ্রোভ সহ পতিত অনেক জমিতে মাইলের পর মাইল নিমিষেই বপন করা যাবে বীজ।
বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, দশটি ড্রোন সক্ষম দিনে ৪ লক্ষ চারা রোপণে। প্রয়োজন মাত্র দু’জন কর্মীর। রোপণের জন্য প্রথমে ড্রোন তুলে নেয় নির্ধারিত স্থানের ছবি স্যাটেলাইটের ছবি ও তথ্যের মাধ্যমে মাটির গুনাগুন করে নেওয়া হয় যাচাই। পর্যাপ্ত পুষ্টি সমৃদ্ধ পডে অঙ্কুরিত বীজ গুলোকে নিয়ে আকাশে উড়াল দেয় ড্রোন। নির্ধারিত অবস্থান এলেই যথেষ্ট চাপ প্রয়োগ করা হয় আর তাতেই বীজগুলো পর্যাপ্ত গতিতে গেঁথে যায় মাটিতে। মিনিটে প্রায় নির্দিষ্ট দূরত্ব পরপর এভাবে মিনিটে প্রায় ১২০ টি বীজ মাটিতে রোপন করতে সক্ষম এই ড্রোন। ওজন মত গতি বাড়িয়ে বা কমিয়ে ব্যবহার করা যাবে এসব ড্রোন।