টেকনাফে বিপুল পরিমাণ আগ্নেয়াস্ত্রসহ ডাকাত দলের ৪ সদস্য আটক….
কক্সবাজারের টেকনাফে দেশে তৈরি ৬টি অস্ত্র, ১০ রাউন্ড তাজা কার্তুজ ও অন্যান্য সরঞ্জামসহ ‘ডাকাত দলের’ ৪ সদস্যকে আটক করেছে বিজিবি।
শনিবার সকাল ৮ টার দিকে টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নের উলুমারী গ্রামে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।
বিজিবির জানায়, ডাকাতির প্রস্তুতিকালে তাদের আটক করা হয়েছে। এসময় ডাকাত চক্রের আরো ৬-৭ জন পালিয়ে গেছে।
টেকনাফ ব্যাটালিয়ন (২ বিজিবি) অধিনায়ক লে. কর্নেল মোহাম্মদ ফয়সল হাসান খান এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, আটকরা হলেন, উলুমারি গ্রামের মৃত আবুল হোসেনের ছেলে নুরুল আমিন (৩২), মৃত মো: শফির ছেলে আনোয়ার হোসেন (২১), মৃত রুহুল আমিনের ছেলে জাফর আলম (৪২) ও রঙ্গিখালী গ্রামের মৃত মোজাফ্ফর আহমেদের ছেলে নজির আহম্মদ (৫০)।
টেকনাফের ২ বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে.কর্নেল মোহাম্মদ ফয়সল হাসান খান বলেন, বিশ্বস্থ সূত্রে বিজিবি জানতে পারে উলুমারি গ্রামের একটি সংঘবদ্ধ ডাকাতদল আগ্নেয়াস্ত্রসহ ডাকাতি করার উদ্দেশে কুখ্যাত ডাকাত নুরুল আমিনের বাড়িসহ ৪টি বাড়িতে অবস্থান করে ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে বিজিবির একটি দল সেখানে অভিযান চালায় এবং বাড়িগুলো চার দিক থেকে ঘেরাও করে।
বিজিবির উপস্থিতি টের পেয়ে মৃত নুরুল আমিনের ছেলে জাফর আলমের বসতঘরসহ আরও ২টি বসতঘর থেকে ৬-৭ জন ডাকাত পালিয়ে যায়। তবে টহল দল নুরুল আমিনের বাড়ি থেকে প্যারাসুট ফ্লেয়ার নিয়ে আলোচনার সময় ৪ জনকে আটক করতে সক্ষম হয়। পরে বসতবাড়ি তল্লাশী করে ৬টি দেশে তৈরী এক নলা বন্দুক, ১০ রাউন্ড তাজা কার্তুজ, ৯ রাউন্ড গুলির খোসা, চার রাউন্ড রাইফেলের এ্যামুনেশন, চার রাউন্ড এলএমজি এ্যামুনেশন, চার রাউন্ড প্যারাসুট ফ্লেয়ার, একটি পুলিশ বেল্ট ও একটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়।
তিনি আরও জানান, এ অভিযানের বিষয়ে সংশ্লিষ্ট আইনে মামলা দায়েরের পর উদ্ধারকৃত আগ্নেয়াস্ত্রসহ আটককৃতদের টেকনাফ মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
অবৈধ অস্ত্র বহনের দায়ে গ্রেফতারকৃত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলছে বলেও জানান লে. কর্নেল মোহাম্মদ ফয়সল হাসান খান।
এসি/বিবিএন /স্টাফ রিপোর্টার।