নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন জেএমবি ‘র ভারপ্রাপ্ত আমির রিমান্ড শেষে কারাগারে
নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন জামায়াতুল মুজাহিদিন বাংলাদেশের (জেএমবি) ভারপ্রাপ্ত আমির রেজাউল হক ওরফে রেজা ওরফে তানভীর মাহমুদ ওরফে শিহাব আহনাফকে ৭ দিনের রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
আদালতের সংশ্লিষ্ট থানার সাধারণ নিবন্ধন (জিআর) শাখা এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
সোমবার (১৯ এপ্রিল) মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশের পরিদর্শক রাইছুল আসামি রেজাউলকে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আশেক ইমামের আদালতে হাজির করেন।
গত ১১ এপ্রিল জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রেজাউলের সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। সেই রিমান্ড শেষে সোমবার আদালতে হাজির করে তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা।
আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত আসামিকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
শুনানি শেষে বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
গত ১০ এপ্রিল দুপুরে রাজধানীর বাড্ডা এলাকায় এক বিশেষ অভিযান চালিয়ে রেজাউলকে গ্রেফতার করে ডিএমপির কাউন্টার টেররিজম (সিটিটিসি) ইউনিট।
জানা গেছে, ২০০৫ সালে দেশজুড়ে সিরিজ বোমা হামলায় রেজাউল হক জড়িত ছিলেন। সিরিজ বোমা হামলার ঘটনায় ওই বছর গ্রেফতার হয়ে দীর্ঘদিন কারাগারে ছিলেন তিনি।
পরে ২০১৭ সালে জামিনে মুক্তি পেয়ে আবারও সাংগঠনিক কাজে সম্পৃক্ত হন।
সিটিটিসির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রহমত উল্লাহ চৌধুরী জানান, জেএমবির ভারপ্রাপ্ত আমিরের পদ ছাড়াও রেজাউল সংগঠনটির দাওয়াহ ও বায়তুলমাল বিভাগের প্রধান হিসেবে কাজ করতেন।
তিনি মূলত জেএমবির শীর্ষ নেতা সালাউদ্দিন সালেহীনের নির্দেশনায় বর্তমানে সংগঠনকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। সালেহীন অনেক দিন ধরে দেশের বাইরে পলাতক রয়েছেন।
রেজাউলকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের ভিত্তিতে সিটিটিসি জানায়, দেশব্যাপী সাংগঠনিক সফরের মাধ্যমে নতুন সদস্য সংগ্রহে দাওয়াতি কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছিলেন তিনি।
সারাদেশে জেএমবির সদস্যদের কাছ থেকে চাঁদার টাকায় পরিচালিত কথিত বায়তুলমাল তত্ত্বাবধান করেন রেজাউল। এর মাধ্যমে জেএমবির যেসব সদস্য কারাবন্দি তাদের পরিবারকে নিয়মিত অর্থসহায়তা করা হয়।
বিভিন্ন সময় অনলাইনে সারাদেশের জেএমবি সদস্যদের মধ্যে মৌলবাদী বিষয় নিয়ে বক্তব্য দিতেন রেজাউল।