ছাত্রলীগ পরিচয়ধারীর অনৈতিক কর্মকাণ্ডে বিরক্ত চকরিয়া পৌরসভার তৃণমূল ছাত্রলীগ
ইত্তেহাদুল ইসলাম সুজন। নিজেকে পরিচয় দেন চকরিয়া পৌরসভা ছাত্রলীগের নেতা হিসেবে। কিন্তু রাজনীতির আড়ালে জড়িয়ে পড়েছেন নানা অনৈতিক কার্যকলাপে।
ইত্তেহাদুল ইসলাম সুজনের বিরুদ্ধে স্থানীয় পর্যায়ে রয়েছে নানা অভিযোগ। নিজেকে ছাত্রলীগ নেতা দাবি করলেও সুজন বিবাহিত বলে গুঞ্জন আছে। সূত্রমতে তার স্ত্রীর নাম রেখা মনি। তিনি কক্সবাজার সদর উপজেলার দক্ষিণ ডিক্কুল এলাকার হারুনর রশীদের কন্যা। স্ত্রীর সাথে সুজনের ঘুরে বেড়ানোর বিভিন্ন স্থিরচিত্র একাধিক সময় প্রকাশ্যে এসেছে।
এদিকে ৮ জুলাই চকরিয়া উপজেলা ও পৌরসভা ছাত্রলীগের কমিটি বিলুপ্ত করে কক্সবাজার জেলা ছাত্রলীগ। এরপর থেকেই নতুন কমিটিতে শীর্ষ পদ বাগিয়ে নিতে দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছেন সুজন। গুঞ্জন আছে মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে পদ পাওয়ার জন্য জোড়ালো চেষ্টা চালাচ্ছে সুজন।
এছাড়াও সুজনের বিরুদ্ধে কিশোর গ্যাং নিয়ন্ত্রণ, মাদক ব্যবসা, চোরাই মোটরসাইকেল চক্রের সাথে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ রয়েছে। সাংবাদিকের উপর হামলাসহ ফৌজদারি অপরাধে জড়িত থাকার অভিযোগে সুজনের বিরুদ্ধে ১৪৩ /৪৪৭ /৪২৭ /৩০৭ /৩২৪/৩২৩/৩৭৯/৪৪৮/৫০৬ ধারায় একটি মামলাও রয়েছে।
এদিকে কমিটি বিলুপ্তির পর তিন মাস পেরিয়ে গেলেও নতুন কমিটি গঠনের প্রক্রিয়া জীবনবৃত্তান্ত আহ্বান করার মধ্যেই থেমে আছে। কমিটিতে অছাত্র, চিহ্নিত সন্ত্রাসীরা লবিং ও অর্থের বিনিময়ে পদবী পেয়ে যেতে পারেন বলে আশঙ্কা করছেন চকরিয়া তৃণমূল ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে স্থানীয় ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে জড়িতদের মাঝে বিরাজ করছে চাপা ক্ষোভ।
এ বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক উপজেলা ছাত্রলীগের একাধিক নেতা বলেন, ‘এখন ছাত্রলীগের কমিটিতে আগের মতো তৃণমূলের ত্যাগী কর্মীরা স্থান পায় না। টাকার বিনিময়ে হঠাৎ এসে পদ পেয়ে ছাত্রলীগের নেতৃত্ব দখল করে। এ কারণে চকরিয়ায় গত ৮ বছরে আমরা যোগ্য নেতৃত্ব থেকে বঞ্চিত হয়েছি। উপজেলা ছাত্রলীগের কোনো কমিটি পূর্ণাঙ্গও করা হয় নাই। মাত্র পৌরসভার একটি কমিটি পূর্ণাঙ্গ করতে পেরেছে। আমরা চাই রাজপথের ত্যাগী নেতারা এবার চকরিয়া উপজেলা ও পৌরসভা কমিটিতে স্থান পাক।যোগ্য নেতৃত্বের হাত ধরে সাংগঠনিক রাজনীতি গতিশীল হোক’
এ ব্যাপারে কক্সবাজার জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসাইন বলেন, ‘সরকারি বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার রিপোর্টের উপর নির্ভর করে নেতৃত্ব নির্বাচিত করা হবে। কমিটিতে কোন অছাত্র বিবাহিত মাদক ব্যবসায়ীর স্থান পাওয়ার কোন সুযোগ নাই।’