চট্টগ্রামের পিলখানায় দূর্গাপূজার মণ্ডপে লেগেছে উৎসবের আমেজ, প্রতিমা দেখতে ভক্তদের ভিড়…
চট্টগ্রামে মোট ৪১৪২টি পূজার আয়োজন হয়েছে তার মধ্যে চট্টগ্রাম নগরীতে এবার মোট ২৭৩টি মণ্ডপে দুর্গাপূজার আয়োজন করা হয়েছে। চট্টগ্রামে এ বারেও বাংলাদেশের সর্বোচ্চ সংখ্যক পূজার আয়োজন করা হয়েছে।
আগামী ২২ অক্টোবর ষষ্ঠীর মাধ্যমে শুরু হবে পূজোর মূল আয়োজন। ২৬ অক্টোবর দশমীর মাধ্যমে শেষ হবে দুর্গাৎসবের আনুষ্ঠানিকতা।
এইদিকে সোমবার ১৯ শে অক্টোবর চট্টগ্রামের পিলখানা পূজা মণ্ডপে মাতৃবরণ অনুষ্ঠানে গিয়ে দেখা যায়, করোনা-আবহেও সাধারণের মানুষের মধ্যে রয়েছে উচ্ছ্বাস, উন্মাদনা।শরতের শুভ্রতায় মায়ের কাছে প্রার্থনায় নতজানু হবে সনাতনধর্মালম্বী মানুষ।পুরোদমে পূজা শুরু হওয়ার আগেই লেগেছে উৎসবের আমেজ।ঢাকের তালে,ওলু দিয়ে,বরণ ঢালা সাজিয়ে,নেচে গেয়ে বরণ করা হয়েছে মা দূর্গার প্রতিমা। বিশ্বব্যাপী মহামারির কবল থেকে মানবজাতিকে রক্ষার প্রার্থনা মাথায় রেখেই সাজানো হয়েছে পূজার আনুষ্ঠানিকতা।
পিলখানা পূজা মণ্ডপে মা দূর্গার প্রতিমা স্থাপনের আয়োজনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ৭ ও ৮ নং ওয়ার্ড সংরক্ষিত মহিলা আসনে আওয়ামীলীগের মনোনীত কাউন্সিলর প্রার্থী জহুরা বেগম।
প্রধান অতিথি জহুরা বেগম বে অব বেঙ্গল নিউজ কে বলেন,”অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছেন বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।আমরা হিন্দু, মুসলমান কাধে কাধ রেখে দেশের উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছি।ধর্ম যার যার উৎসব সবার এই স্লোগানে বঙ্গবন্ধুর অসাম্প্রদায়িক সোনার বাংলা গড়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে কাজ করে যাচ্ছে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ। আপনাদের সকল আপদ বিপদে পাশে থাকার প্রত্যয় নিয়ে শেখ হাসিনার নির্দেশে এই এলাকায় মানুষের জন্য কাজ করার অঙ্গীকার করছি।সবাইকে দূর্গা পূজার শুভেচ্ছা জানিয়ে, সবার মঙ্গল কামানা করছি।”
উক্ত আয়োজনে আরো উপস্থিত ছিলেন- পিলখানা পূজা উদযাপন কমিটির প্রেসিডিয়াম সদস্য বাপী,পিলখানা পূজা উদযাপন কমিটির সাধারণ সম্পাদক জনি সেন, শরীফা খাতুন,ফারজানা আফরিন ফারিয়া সহ পূজা উদযাপন কমিটি ও আওয়ামী মহিলা লীগের নেতাকর্মীবৃন্দ।
মণ্ডপে ঘুরতে আসা ভক্তরা বলেন, ‘করোনার কারণে দূর্গাপূজার আয়োজন সীমিত হওয়ায় মন খারাপ হলেও মা দেবী দূর্গার আগমনে পৃথিবী থেকে সকল বিপদ ও অশুভ শক্তি বিতাড়িত হয়ে শান্তি ফিরে আসবে বলে আমি প্রত্যাশা করি। আমরা আবারো ফিরে যাব সুন্দর সময়ে।’
পিলখানা পূজা উদযাপন কমিটির প্রেসিডিয়াম সদস্য বাপ্পী বে অব বেঙ্গল নিউজকে বলেন,এবারের দুর্গাপূজায় প্রতিটি মন্ডপে নারী ও পুরুষের আলাদা প্রবেশ ও বাইরের পথ রাখা, ‘নো মাস্ক, নো এন্ট্রি’, প্রবেশ পথে হাত ধোঁয়ার ব্যবস্থা রাখাসহ ভক্তদের মানতে হবে ১১টি শর্ত।
পূজো আয়োজকদের রাখতে হবে হাত ধোঁয়ার ও মাস্কের ব্যবস্থা। স্বাভাবিক সময়ের মত রাতভর থাকবেনা মন্ডপে ভক্তদের পদাচরণা। এছাড়া করোনাকালে দূর্গাপূজায় বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় পূজা উদযাপন পরিষদের পক্ষ থেকে ২৬ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
পিলখানা পূজা উদযাপন কমিটির সাধারণ সম্পাদক জনি সেন বে অব বেঙ্গল নিউজকে বলেন, ‘করোনাকালের দূর্গাপূজার আয়োজন সীমিত করা হয়েছে। স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিকদূরত্ব মেনে পূজার মূল আয়োজন অনুষ্ঠিত হবে। কাউকে মাস্ক ছাড়া মন্ডপে প্রবেশ করতে দেওয়া হবেনা। তাছাড়া মণ্ডপের প্রবেশ পথে থাকবে হাত ধোঁয়ার ব্যবস্থা থাকবে। পূজা আয়োজকদের পক্ষ থেকে পূজায় আগতদের জন্য মাস্কের ব্যবস্থা করা হবে।তবে, এবার মণ্ডপে পুলিশ মোতায়েন না থাকায় কিছুটা শংকা প্রকাশ করেন তিনি।
এর আগে গত ১১ অক্টোবর করোনা মহামারির কারণে আসন্ন দুর্গাপূজায় চট্টগ্রামের পূজামণ্ডপগুলোতে কোন পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হবে না বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি) কমিশনার সালেহ মোহাম্মদ তানভীর। দামপাড়া পুলিশ লাইন্সের পূজা উদযাপন কমিটিসহ সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিদের সাথে মতবিনিময় সভা শেষে সংবাদিকদের এ কথা জানান সিএমপি কমিশনার।
এসি/বে অব বেঙ্গল নিউজ/স্টাফ রিপোর্টার।