কোভিড-১৯ ভ্যাক্সিন কেনার জন্য অর্থ বরাদ্দ রাখা হবেঃ শেখ হাসিনা
ভ্যাক্সিন কেনার অর্থের সংস্থানসহ করোনা মোকাবিলায় সরকারের কিছু উদ্যোগের কথা তুলে ধরেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বুধবার (৯ সেপ্টেম্বর) সংসদে নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনের লিয়াকত হোসেন খোকার প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা জানান।
কোভিড মোকাবিলায় সরকারের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার সম্পর্কে তিনি বলেন, সরকার ও এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) সহায়তায় দ্রুত কোভিড-১৯ ভ্যাক্সিন কেনার জন্য অর্থ বরাদ্দ রাখা, পিসিআরসহ ১০টি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল, ৫টি সংক্রামক ব্যাধি হাসপাতাল ও ৪টি বিশেষায়িত প্রতিষ্ঠানে আধুনিক মাইক্রোলজিক্যাল পরীক্ষাগার সম্প্রসারণ করা, ৮০টি সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান/বিশ্ববিদ্যালয়ের বিদ্যমান পিসিআর ল্যাব কার্যকর করা, ১৭টি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ৫০ শয্যার আইসোলেশন সেন্টার এবং অতিরিক্ত ১০ শয্যার ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিট/আইসিইউসহ মোট ১৭০ শয্যা চালু করা এবং প্রাথমিক পর্যায়ে ৪৯২টি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ইনফেকসন প্রিভেনশন অ্যান্ড কন্ট্রোল ইউনিট স্থাপন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, মে-জুন মাসে জরুরিভিত্তিতে দুই হাজার চিকিৎসক এবং ৫ হাজার সিনিয়র স্টাফ নার্স, ৩৮১ জন ফার্মাসিস্ট ও জুলাইয়ে বিশেষ ব্যবস্থায় ২০২ জন মেডিক্যাল টেকনোলজিস্ট নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া আরও দুই হাজার চিকিৎসক, দুই হাজার ৫৫০ জন সিনিয়র স্টাফ নার্স ও এক হাজার ৮৫০ জন মিডওয়াইফারি নিয়োগের কার্যক্রম চলছে।
এর পাশাপাশি বিশ্বব্যাংকের আর্থিক সহযোগিতায় যেসব পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে তা হলো- পিসিআরসহ ২১টি প্রতিষ্ঠানে আধুনিক মাইক্রোবায়োলজি পরীক্ষাগার স্থাপন, সংক্রামক রোগ শনাক্তকরণের সক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে তিনটি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, ৮টি অভ্যন্তরীণ বিমানবন্দর ও তিনটি সমুদ্রবন্দরে ১৬টি মেডিক্যাল সেন্টার স্থাপন, ৪৯২টি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, ৬৪টি জেলা হাসপাতাল ও ১৭টি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে হ্যান্ড ওয়াশ কর্নার স্থাপন, ১৭টি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ইনফেকশাস ডিজিজেজ ডিপার্টমেন্ট স্থাপন এবং সেকেন্ডারি ও টারশিয়ারি হাসপাতালসমূহে ইনফেকশাস প্রিভেনশন কন্ট্রোল ইউনিট স্থাপন।
স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে বুধবার বৈঠকের শুরুতে প্রধানমন্ত্রীর প্রশ্নোত্তর অনুষ্ঠিত হয়।
বে অব বেঙ্গল নিউজ