কৃষ্ণ সাগরে তুরস্কের আরেকটি নতুন গ্যাস ক্ষেত্র
কৃষ্ণ সাগরে আরও ৮৫ বিলিয়ন ঘনমিটার প্রাকৃতিক গ্যাস পেয়েছে বলে জানিয়েছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যিপ এরদোগান।এতদিন দেশটি শতভাগ গ্যাস আমদানি নির্ভর ছিল। এখন এই আমদানি শূন্যের কোঠায় নেমে আসবে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
এটি তার দেশের মোট গ্যাস রিজার্ভের পরিমাণ ৪০৫ বিলিয়ন ঘনমিটারে বৃদ্ধি করবে। শনিবার তিনি এ ঘোষণা দেন বলে খবর দিয়েছে আনাদোলু নিউজ এজেন্সি। ‹সাকারিয়া গ্যাসক্ষেত্রের টুনা-১ কূপে প্রাকৃতিক গ্যাসের মজুতের পরিমাণ ৪০৫ বিলিয়ন ঘনমিটারে পৌঁছেছে, এরদোগান গ্যাস অনুসন্ধানী জাহাজ ফাতিহে পরিদর্শন শেষে এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, কৃষ্ণ সাগরে এ পর্যন্ত পাওয়া খনিজ গ্যাস আমাদের অতীত ইতিহাসের সবচেয়ে বড় আবিষ্কার। এর আগে ক্ষমতাসীন জাস্টিস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (একে) পার্টির ডেপুটিদের সাথে এক বৈঠকে এরদোগান বলেন, আমরা ব্যক্তিগতভাবে কৃষ্ণ সাগরে চলমান অনুসন্ধান নিয়ে কাজ করব। একই সঙ্গে নতুন মজুতের পরিমাণ ঘোষণা করব। এছাড়া ২১ আগস্ট তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়েপ এরদোগান ইস্তাম্বুলে এক সংবাদ সম্মেলনে কৃষ্ণ সাগরে নিজেদের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় গ্যাস ক্ষেত্রের সন্ধান পাওয়ার ঘোষণা দেন। তার দুই মাসের মাথায় তার চেয়েও বড় গ্যাস ক্ষেত্রের খবর দিলেন তিনি। আগের খনিজটিতে ৩২০ বিলিয়ন কিউবিক মিটার গ্যাস মজুত রয়েছে বলে জানানো হয়। তুরস্ক ২০২৩ সাল নাগাদ এই গ্যাস ক্ষেত্র থেকে উত্তোলিত গ্যাস ব্যবহার শুরু করবে বলে জানিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট। এতদিন দেশটি শতভাগ গ্যাস আমদানি নির্ভর ছিল। এখন এই আমদানি শূন্যের কোঠায় নেমে আসবে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
অপরদিকে, মার্কিন প্রতিরক্ষা দপ্তর- পেন্টাগন বলেছে, তুরস্ক রাশিয়ার কাছ থেকে কেনা এস-৪০০ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা চালু করলে আঙ্কারা-ওয়াশিংটন সম্পর্ক হুমকির মুখে পড়বে। মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের হুঁশিয়ারির পর এবার পেন্টাগনও আঙ্কারাকে সতর্ক করে দিয়ে বলেছে, এস-৪০০ চালু করার অর্থ আমেরিকার সঙ্গে তুরস্কের সম্পর্ক শক্তিশালী করার পথে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা।
পেন্টাগন বলেছে, কোনো কোনো সূত্রে পাওয়া খবরে জানা গেছে, তুরস্ক এরইমধ্যে এস-৪০০-এর পরীক্ষা চালিয়েছে। যদি এই খবর সত্যি হয়ে থাকে তাহলে মার্কিন প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় তার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছে। মার্কিন সরকার ২০১৭ সাল থেকেই রাশিয়ার কাছ থেকে এস-৪০০ কেনার ব্যাপারে তুরস্ককে সতর্ক করে দিয়ে আসছে। কিন্তু আঙ্কারা বলেছে, দেশটি কোনো অবস্থায় রাশিযার সঙ্গে করা এ সংক্রান্ত চুক্তি বাতিল করবে না।
সূত্রঃ আনাদোলু, সিএনএন।
বে অব বেঙ্গল নিউজ/ BAY OF BENGAL NEWS